উন্নত মস্তিষ্ক
উন্নত মস্তিষ্ক
চেষ্টা করলে, শিখলে মালির মতোই নিজের বাগানে,
মানুষই পারে সুন্দর সুগন্ধি ফুল ফোঁটাতে ।
জীবনটা সুন্দর ভাবে মিলেমিশে চাই যে কাটাতে,
কুম্ভকর্ণের মতো চাই না তাই অতটা ঘুমিয়ে থাকতে!
নির্জনতার প্রয়োজনে দরকার নেই কোনো গুহার।
ঘরের অন্ধকারে সব শব্দ থেমে গেলে রাতে,
দূরের কীর্তনের নাম গান শুনতে শুনতে ____
একটা সময় তো, ঘুম নেমেই আসে এই আঁখি পাতে।
পাহাড়ে অথবা খুব বেশি নির্জন জায়গায়,
ঝিঁঝিঁপোকারা লুকিয়ে থাকে ঘাসেদের ফাঁকে ফাঁকে,
মন দিয়ে না শুনলেও ওদের গান কানে এসে যায়।
ওরা কিন্তু হামেশাই নির্বিবাদে গান শোনায়।
আসলে ভিড়ের মাঝেও তো লোকে কথা বলে যায়,
তার ওপর আবার আমাদের উন্নত মস্তিষ্ক !
অযথা সারাক্ষণ কিছু না কিছু চিন্তা করে যায়।
চিন্তার ভিড়ে তাই একা থাকলেও,
নির্জনতা উপভোগ করার সুযোগ কোথায় !
দুশ্চিন্তার ঘাস গুলো গোড়া শুদ্ধ উপড়ে ফেলা চাই,
ওদের আগাছা না ভেবে যে কোনও উপায় নেই।
কর্মব্যস্ত মানুষের মস্তিষ্ক দুশ্চিন্তার সুযোগ পায় না,
অলস মস্তিষ্ক ছাড়া দুশ্চিন্তাদের ঠাঁই হয়না।
সরীসৃপের মতো মানুষের আচরন,
কখনো কখনো আঁকা বাঁকা ও কুটিল হয়,
ওরকম মাথায় কিন্তু সহজেই দুশ্চিন্তার ঘাস গজায়।
তাই বলি সবাই চেষ্টা করো মেরুদন্ড সোজা রাখতে,
সোজা সরল পথে নিশ্চিন্তে মানুষের মতো চলতে।
হাজার হাজার বছরের বিবর্তনে সরীসৃপ নাকি,
ধীরে ধীরে মানুষ হয়েছে, কথাটা সত্যি নয় কি !
মানুষের মাঝে ভেদাভেদ দূর করো, শুভ চিন্তা করো,
গন্ডি টানা ছাড়ো, সকলকেই আপন ভাবো আরও।
হাজার লোকের ভিড়েও তখন মাথা ঠান্ডা থাকবে,
নিরিবিলিতে না থেকেও তবে নির্জনতা খুঁজে পাবে।