উল্কা
উল্কা
আষাঢ়ের এক বিষণ্ণ সন্ধ্যায়,
পূবালী হাওয়ায় ভেসে আসে কামিনীর ঘ্রাণ ।
উদ্বেলিত উচ্ছ্বাসে কদম্বের শাখা —
ফুলভারে কাঁপে থরোথরো,
উতলা বাতাসে ভেসে আসে —
কোন সে বিরহীনির গোপন দীর্ঘশ্বাস ।
বাদলের রিমঝিম ধারায়,
কার যেন নীরব অশ্রুপাত, মিশে গেছে আজ ।
সময়ের অভিপ্রায়ে ,
সন্ধ্যা মেশে রাতের মোহনায়।
থেমে যায় অবিরল ধারাপাত ।
বর্ষণক্ষান্ত সজল মেঘের দল,
ফিরে চলে অলোকাপুরীর পথে ।
মেঘমুক্ত নীলাকাশ সেজে ওঠে আবার,
অগণিত তারার মালায় ।
কোনো এক অভিমানী তারা, সহসা,
মালা হতে খসে পড়ে নীরবে,
নীলাকাশ মনেও রাখে না তাকে ।
দূর থেকে চোখে পড়ে সে নক্ষত্রের পতন,
প্রজ্বলিত উল্কা হয়ে ঝরে পড়ে ধরণীর বুকে ।
নিথর পাথর সম যুগ যুগ ধরে,
পড়ে থাকে হয়তো বা কোনো মরুভূমে,
হয়তো বা নির্জনে কোনো নদীতীরে।
কি এমন বেদনায়, সে যে ত্যাজিল দেহখানি তার!
সে সংবাদ রাখেনি কেউ আর॥
