উহুরু
উহুরু
উহুরু তো স্বাধীন, নয় কোনো পর্বতমালার অধীন,
সোয়াহিলি, পিগমি, চাগা থাকতো ওখানে বহুদিন।
সোয়াহিলি ভাষায় কিলিমা মানে পাহাড়,
এনজারো হলো সাদা, এটাই মানে চাগা ভাষার।
দুই ভাষার দুই কথা মিলে হয়েছে কিলিমান্জারো,
পিগমিদের কথা যে পড়েছি, মনে আছে আমারো।
সাদা বরফের চুড়ো পর্বতপ্রেমী দের করে আকর্ষণ,
ভয়ঙ্কর অথচ সুন্দর ঐ পাহাড় চুড়োয়
উঠতে তাদের আনচান করে মন।
টলেমির কথায়, "আকাশের বুকে তুষার দ্বীপ" ,
তানজানিয়ার এই সাদা পাহাড়,
পৃথিবীর মধ্যে চতুর্থ উচ্চতম শৃঙ্গ আছে যার।
আছে ভয়ঙ্কর সুন্দর শিরা, কিবো, মাওয়েনজি গিরি,
আগুন, লাভা ও জ্বলন্ত শিলা বেরোতো সারি সারি।
শিরা আর মাওয়েনজি যদিও এখন মৃত হয়ে গেছে,
কিবো কিন্তু আজও আগুন বুকে নিয়ে সুপ্ত রয়েছে।
গত দশ হাজার বছরে হয়নি এখানে অগ্নুৎপাত,
কখনও আবার হবেনা তাই বলে আগুনের উৎপাত!
বিষুব রেখায় অবস্হিত তানজানিয়ার এই পাহাড়ে,
পৃথিবীর উষ্ণায়ন ও লম্বভাবে সূর্যের তাপের ফলে,
দিনে দিনে ওখানকার বরফ, যাচ্ছে যে শিগ্গির গ'লে।
সমস্ত বরফ যদি একদিন গ'লে শেষ হয়ে যায়,
কিলিমান্জারো/সাদা পাহাড় নামটাই তো মিথ্যে হয়।
অগ্নুৎপাতের কারনেই হয়তো জমি হয়েছে উষর,
পাহাড়ের পাদদেশ থেকে দূরে সরে গেছে যাযাবর। পিগমি আর সোয়াহিলিরা কমে গেলেও চাগা জাতি,
খুঁজে দেখলে পাওয়া যায় ঠিকই করে আঁতিপাতি।
চাগাদের পছন্দ বাঘের চামড়ার রঙের পোষাক,
যোদ্ধা এই জনজাতি পৃথিবী থেকে হারিয়ে না যাক। কলা ও কফি খুব সমাদর পেতো এই সমাজে,
বিনিময়েই আদান প্রদান করতো ব্যবসার কাজে।