তুই
তুই
হাতের আঙুলের মাঝে আবিরের স্পর্শ তোর,
বিকেলের পর সন্ধ্যা নামে, সকালের আগে ভোর|
বিশ্বাসের মর্যাদা তো রাখিসনি?
পিছন ফিরে তো তাকাসনি?
না দেখিসনি!
ফিরে আসিসনি|
আকাশের সাদা ধূলোয়-
মিশেছে অনেক দূষণ,
চোখের জলে ভিজেছে-
চোখের পাতা, দু-গাল আর মাথার কুশন|
খাওয়া-দাওয়া হয়েছিল বন্ধ,
বাতাসে ছড়ানো কুয়াশার গন্ধ|
দ্বন্ধ? হ্যাঁ দ্বন্ধ!
বেড়েছিল সন্দেহ, পরিস্থিতি ছিল মন্দ|
চিঠিখানি ছিল বুকপকেটে,
চিঠির ভাঁজে ছিল কিছু লেখা;
কেটেছিল অনেক প্রহর,
ঘড়ির সাথে আমিও করেছিলাম তোর অপেক্ষা|
গণ্ডি? হ্যাঁ গণ্ডি-
কেটেছিল, করেছিল বন্দী|
সন্ধি করিনি তবু,
ঠাণ্ডায় একদম জবুথবু!
জ্যাকেটের পকেটে ছিল তোর হাত,
বাইকটা চালাচ্ছিলাম আমি;
হেলমেট না পড়ার ছোট্ট ভুলে,
চিরতরে হারালে তুমি!
দুর্ঘটনা? হ্যাঁ দুর্ঘটনা|
উথাল পাথাল মনটাকে করেছিলাম তুলোধনা|
আজও তোর দু-হাত খোঁজে,
কাজল পড়া চোখদুটোও,
লেগে আছিস মনে;
জ্যাকেটটা জানিস আজও আছে,
নেই পকেটে তোর হাতদুটো,
তাই-ই হয়তো ফেলে রেখেছি,
ধুলোজমা আলমারির কোণে|
জানিস? আজও আছিস মনে,
মনে পরলে আজও জল আসে চোখের কোণে|
নেই শুধু তুই,
হারিয়ে গেছিস বোধ হয়... চিরতরে...