ঠুনকো হৃদয়
ঠুনকো হৃদয়
ছিলো অতীতে এমন একটা সময়,
এই প্রেমে আঘাত পাওয়া কথাটা শুনে, খুব হেসেছি।
বুঝিনি, কথায় কথায় যে সব হৃদয়,
এমন, টুকরো টুকরো হয়ে যায় _______
সে সব কতটা ঠুনকো হৃদয় !
কেন জানিনা মেয়ে অথবা ছেলে, সব বন্ধুরাই,
মন খুলে বলতো কথা, বোধহয় ভাবতো,
আমি ওদের সব কথা মন দিয়ে শুনছি।
হ্যাঁ মন দিয়েই তো শুনতাম, বুঝতে চেষ্টা করতাম।
একটা জিনিস আমি লক্ষ্য করেছি,
মেয়েদের চেয়ে আঘাতটা ছেলেরাই বেশি পায়,
পরিসংখ্যান দেখে, এটাই ভাবতে বাধ্য হয়েছি।
অথবা হয়তো মেয়েরা অনেকেই গোপন করতো,
ঐ বিদ্যাটা নাকি আবার মেয়েদের সহজাত !
তবে কেউ প্রেমে আঘাত পেয়ে ভেঙে পড়েছে _____
এমনটা দেখলে ভেতরে ভেতরে খুব রেগে গিয়েছি।
হয়তো অভ্যাস বশে কিছুটা জ্ঞান দিয়ে ফেলেছি !
ওদের ব্যাথায় সমব্যাথী হতে পারছিনা দেখে,
হয়েছে হয়তো ওদেরও মন খারাপ !
কি আর করা যাবে, আমার অবস্থা তখন,
ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি, বাপরে বাপ !
কেউ কেউ তো এমন কথাও বলে ফেলেছে,
সারাজীবনে কখনও না কখনও ____
প্রেমে আঘাত পেয়ে চোখের জল নাকি,
ফেলতেই হয়, এটাই নাকি পৃথিবীর নিয়ম !
কথাটা শুনে ভয় যেমন পেয়েছি, সাবধানও হয়েছি।
আর যাই করি না কেন, প্রেম কক্ষনো নয় !
প্রেমে পড়ে কান্নাকাটি করার চেয়ে,
খুশি থাকাটাই ভালো, আমার তো তাই মনে হয়।
এমনিতেই ছিঁচকাঁদুনে আমি, সেতো জানা কথা,
প্রেমে পড়ে আর পেতে চাইনি কোনরকম ব্যাথা।
তাই বলে কি কান্না থেকে রেহাই পেয়েছি?
মন কষাকষি, ভুল বোঝাবুঝি, ঠকে যাওয়া, ভুলেছি!
কারো মৃত্যু অথবা আত্মীয়-বন্ধু বিচ্ছেদ !
এসব তো জীবনে আছেই, থাকবেই।
এসব থেকে বোধহয় কারোরই রেহাই নেই।
"জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর"
এটাকেই মূল মন্ত্র ভেবে নিয়েছি ।
তাই ভালো সবাইকেই বা সবকিছুকেই বাসি,
কেউ কেউ হয়তো এটাকেই দুর্বলতা ভাবে ।
প্রয়োজনে, দুর্জন কাউকে চেষ্টা করি দূরে রাখতে,
একটুও কষ্ট হয়না জীবন থেকে কেটে বাদ দিতে। তাতে করে যদি রক্তাক্ত সব হৃদয়,
পথে গড়াগড়ি খায়, আমি দৃশ্য দূষনের ভয়ে,
চোখ বন্ধ করে ছুটে পালাই, চারিদিকে যদি কোথাও পা ফেলার মতো জায়গা না পাই,
জানি, মহাকাল শুয়ে রয়েছেন বুক পেতে,
ওখানে তো আমার ঠাঁই হবেই।