ঠেকুয়া নয়, রুটি
ঠেকুয়া নয়, রুটি
আজ ছট পূজোয় মেয়েরা তিনদিন উপোস করে, বানায় নিজের হাতে ঠেকুয়া অনেক যত্ন করে।
পরোটার ফাঁদ পেতে রাতে একটি ইঁদুর ধরা পড়ে,
তাকে রাত বারোটায় ছাড়া হয় হাইরোডের ওপারে।
গুনে গুনে দুটো পরোটা ঢুকেছে এই পেটে ডিনারে,
একটার পরে এই মেয়েটিই একটি ছোট্ট রুটি গড়ে।
ঠেকুয়া খাবে সূর্য ঠাকুর, রুটি না হয় খাবে ইঁদুর!
বছর কয়েক আগে এই দিনেতেই হঠাৎ রাস্তার ধারে,
এক মাঝ বয়েসী বৌ ধপাস করে উপুর হয়ে পড়ে ।
দৌড়ে তুলতে যেতেই লোকটি ইশারায় বারন করে,
ডালা মাথায় গর্বে যে তার মুখ উঠেছে খুশীতে ভরে।
এভাবেই সারাটা রাস্তা দন্ডি কাটতে কাটতে যাবে, তারা মাইল দুয়েক দূরে, সেই কুলিক নদীর ধারে।
তিন দিন উপোস এর পর এই, ভক্তি বলে কারে!
দেখেছি তো মজুর গিরীন মামা, কতো কাজ করে! তারই সাথে তার বৌ, আর উর্মিলা মাসি, দুজনেই, পাল্লা দিয়ে কাদা জমিতে ধানের চারা রোপন করে।
সুযোগ বুঝে অন্য মরসুমে তারাই আবার বুদ্ধি করে,
দুধ বিক্রি করতে যায় বাসে চেপে কাছের শহরে।
বাড়িতে ফিরে গিরীনমামার জন্যে ওরাই রান্না করে,
এভাবেই মেয়ে হয়ে সাহায্য করে নিজেদের সংসারে।
আজকাল গরীব মেয়েরাও কলেজে পড়াশোনা করে,
আবার কোনোও মুখ কোথাও ঘোমটায় ঢাকা পড়ে।
খোলামেলা পোষাকে ডিস্কোতে কেউ নাচানাচি করে,
গোল্ডেন বিবেক, মদ খেয়ে যে মেয়ে গেছে বিগড়ে,
তাদের খুঁজে বের করে, আর ওদের নিয়ে প্র্যাঙ্ক করে।
ভালো, মন্দ এসব কথা এখন মেয়েরা বুঝতে পারে। প্রায় রাত দুটোতে আরেকটি ইঁদুর সত্যিই ধরা পড়ে!
