স্মৃতি, তুমি থাকো
স্মৃতি, তুমি থাকো
বসেছিলাম শূন্যতাকে আশ্রয় করে |
চোখের সামনে শূন্যতা, অন্তরে শূন্যতা;
অসীম শূন্যতা শুধু চারিদিক জুড়ে |
হঠাৎ, বিরাট শূন্যতার মোহজাল ভাঙ্গি
কে যেন বলে গেলো--
স্মৃতি, সেও কি শূন্য,
সে কি হারিয়ে যাবার মতো ?
ফিরে দেখো-- স্মৃতি কত মধুর, কত সুন্দর |
চমক ভাঙিল যেন |
ফেলে আসা বছরের স্মৃতি তো ভোলবার নয় |
সে যে শুধু সুন্দর, মধুর তাই নয়;
সে চিরনতুন, চিরস্থায়ী, চির অমলিন |
একে একে নাটকের পর্বের মতো
চোখের সামনে এবং মনের আঙিনায়
হাজির হতে থাকে সেই লুপ্ত স্মৃতি;
কি সুন্দর, কত সুন্দর |
আহা, কি দিনই না ফেলে এসেছি পিছনে,
তোমাকে স্মরণ করে পাই আনন্দ, দুঃখ ভুলি |
তোমায় ভালো লাগলেও --
আর কি সে দিন পাওয়া যাবে ফিরে ?
অতীত, তুমি বড় নিষ্ঠূর;
হারিয়ে দিয়ে যাও আমাদের সুন্দরতম দিন |
কষ্টের দিনগুলোয় স্মরণ করিয়ে তুমি
তোমার নিষ্ঠূরতার চরম উদাহরণ রেখে যাও |
আমাদের মনটাকে বিচলিত করে, নাড়া দিয়ে
তুমি অলক্ষে কেমন হাসো--
বড় অভিমান হয় তখন তোমার ওপর |
কি লাভ পাও জানিনা,
পারোনা কি শুধু আনন্দের ভাগীদার হতে |
খুব ভালো লাগছিলো |
একের পর এক পট পরিবর্তনের সাথে
ঠোঁটের কোণে হাসির রেখা উঠছিলো ফুটে |
মাঝে কেমন গম্ভীর, কেমন চিন্তান্বিত |
আবার কেমন উচ্ছলতা,
কেমন স্নিগ্ধতা, সম্পূর্ণতা |
হঠাৎই শুরু হলো হিসেবে নিকেশের পালা |
কি পেলাম এতদিনে, কিই বা দিলাম |
চিন্তা বড় কঠোর শত্রূ,
মনটাকে করে তোলে ক্ষুদ্র,সীমাবদ্ধ, কূট, হিংস্র |
কেন যে হঠাৎ সব হাজির হয়-- জানিনা |
পারি না কেন এই সব হিসেবের উর্দ্ধে উঠতে |
নিশ্চয়ই পারি, পারি বইকি,
এই তো আমার চোখের সামনে
কেমন সুন্দর দিনগুলো সব ফুটে উঠছে |
আসলে আমি পেয়েছি তৃপ্তি, পরিতৃপ্তি |
প্রতিদানে দিতে পেরেছি আমার অনুভব |
স্মৃতি, তুমি মধুময় |
তোমার ছোঁয়া লেগে থাকে আমাদের মনে |
তোমাকে স্মরণে রেখে--
এগিয়ে চলার শক্তিটুকু পাই |
ভেবোনা, এগিয়ে চলতে গিয়ে তোমায় ভুলে যাবো;
তোমা হতে বিচ্ছিন্ন হবো, ভেবোনা |
তুমি রইবে আমাদের সাথে,
তোমায় স্মরণে রেখে-- আমাদের জীবন
হয়ে উঠুক চির মধুময়, চির সুন্দর |
কি শান্তি, কি পরিতৃপ্তি, আহা |
