স্বপ্নের দুনিয়ায়
স্বপ্নের দুনিয়ায়
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখতে চাইনা কিছুতেই,
স্বপ্ন গুলো ছুটে পালায় ঘুমটুকু ভেঙে গেলেই।
সুখস্বপ্ন দেখলে শরীর বায়না করে, আরো ঘুমানোর,
দুঃস্বপ্নের পাল্লায় পড়লে ঘুমটা বলে, ওরে, দিই দৌড়।
ঘুমের ঘোরে দেয়ালা যে মানায় কচি শিশুকেই,
আমার বাবা ওসবের কোনোরকম শখ নেই।
জীবনের কতটা অংশ যে আমরা ঘুমিয়ে কাটাই,
ঘুমটাও জরুরী, শরীরটা যে রিপেয়ার হওয়া চাই।
তাই কখনও কখনও ঘুম না পেলেও ঘুমোতে যাই।
মনকে সারাদিন কি কি খাবার দেওয়া হবে,
তার ওপরেই মানুষের স্বপ্ন নির্ভর করবে।
দুঃস্বপ্ন এড়িয়ে চলতে চাইলে, দুশ্চিন্তা ছাড়তে হবে। ভাবনার জন্যে আছে যে মানুষের মাথা,
এটা তো সকলেরই জানা কথা।
পা আর হাতও তো রয়েছে কাজের জন্যে!
তাই মানুষকে কাজ খুঁজে নিতে হয় হয়ে হন্যে।
হাত পা দিয়ে কোনো কাজ করতে গেলে ____
মাথাটাও যে সেই সাথে কাজ করে চলে।
অলস মস্তিষ্ককে বলা হয় শয়তানের বাসা,
কথাটা কিন্তু একদম মনের মতো, সত্যিই খাসা।
তাই যতদিন বাঁচবে মানুষ, যেন কাজ করে যায়,
দুঃস্বপ্ন হবে ভেবে আকুল, কোথায় সে যে পালায় !
পরিশ্রমে মানুষের মাথাটা যদি একটু কাহিল হয়,
বিনা চেষ্টাতেই তো ঘুম আসে তার চোখের পাতায়।
স্বপ্ন টপ্ন সব দূরে চলে যায়, দেখলেও মনে না রয়,
মসৃন ভাবেই জীবনের পথে যে এগিয়ে যেতে হয়।
একটু চেষ্টা করে মনটাকে ঠিক রাখতে পারলেই,
এই পৃথিবীটাকে সুখ-স্বপ্নের মতো সুন্দর মনে হয়।
