স্বাধীনতার রং
স্বাধীনতার রং
স্বাধীনতার রং খুঁজতে বসলাম। কখনও ইসলামপুরের চাষা হাতে দিয়ে গেল সদ্য বন্যায় ডুবে যাওয়া কয়েকটি ধানের মৃত বীজপত্র। অন্ধকার ঘর বেছে কয়েকটি জোনাকির খিদে ধরিয়ে দিয়ে গেল গোঘাটের এক সদ্য আঠারো পেরোনো কিশোর।
ভোররাতে নানুরের এক মা আমার হাতে তুলে দিয়ে গেল তার বিষাক্ত সন্তানের নীল শরীর।
এই সবকিছুর পরিবর্তে আমি স্বাধীনতা বিলিয়ে দিলাম ওদের।
ভাগের সম্পত্তি বুঝে নিয়ে তারা চলে গেল। কেউ মাঠে নতুন করে ছড়িয়ে দিল স্বাধীনতার বীজ।
কেউ কৃত্রিম আলোয় দাঁড়িয়ে উলঙ্গ ছেলেটার গায়ে তুলে দিল স্বাধীন সম্ভ্রম।
বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করা চাষাটা আবার কুড়িয়ে নিল নিঃশ্বাস আর একটুকরো স্বাধীন ফসলের দাম।
তারা সবাই আজ স্বাধীন। তারা সবাই আজ ধার্য করেছে নিজের বিনিময়মূল্য।
আমি রং খুঁজছি স্বাধীনতার। সমস্ত রক্তের বিপরীতে যে স্বাধীন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আমার বিলিয়ে দেবার কথা ছিল, আমি তা গুছিয়ে রাখছি প্রতিদিন। কেবল একটু একটু করে স্বাধীনতা ঘোষণা করব আর অবাধে বিলিয়ে দেব বলে।
আপাতত নানুর, ইসলামপুর আর গোঘাটে আজ পালিত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ।