স্বাধীনতা
স্বাধীনতা
স্বাধীনতা! কি জানি কি জিনিস সেটা?
শুনেছি, গালভরা সেই নাম।
তবে পাইনি কখনো।
দীর্ঘদিন ধরে অপরের দাসত্ব শৃঙ্খলে বন্দি থাকার পর,
যে ভারত দাঁড়িয়েছিল মাথা তুলে একদিন,
লক্ষ কোটি ভারতবাসীর রক্তের মূল্যে কেনা —
এই কি সেই স্বাধীনতা!
যেখানে দেশ ও রাজ্যে চলে রেষারেষি,
যেখানে সকলের নেই সমান অধিকার,
যেখানে মাতৃ জাতি অসহায় আজও,
আর যাই হোক,স্বাধীনতার বড়াই চলে না সেখানে।
সামান্য বণিকের দল, ভীনদেশী,
এসেছিল বাণিজ্য বিস্তারে, মুঘল ভারতে।
তখন তো তাদেরও চলছে ক্রান্তিকাল ।
তবু তো বণিক ছিল বণিকের স্তরে ই।
1757র পলাশীর প্রান্তর,
স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল এই স্থানে।
সিরাজ তো ছিলেন না হীনবল।
মানুষ তিনি যেমনই হোন না কেন!
পারতেন তিনি পরাক্রমশালী ওই বণিকদলকে দমন করতে।
চক্রান্তের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে।
ভারত হয়েছিল পরাধীন।
1857 র সিপাহী বিদ্রোহ!
ব্রিটিশ অধিকৃত ভারতের নড়িয়ে দিয়েছিল ভিত।
রাণী লক্ষ্মীবাঈও পারতেন দেশকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে।
কিন্তু পারেননি এই দেশবাসীর জন্যেই।
ভারতবাসী পারে চক্রান্ত করতে,
ভারতবাসী পারে নিজেদের মধ্যে গড়ে তুলতে বিভেদ,
ভারতীয় পুরুষ পারে নারীর অবমূল্যায়ন করতে,
ঐক্যবদ্ধতা শেখেনি ভারতবাসী ।
তাই দিকে দিকে হয়েছিল পরাজয়।
আধুনিক ভারতের সশস্ত্র বিপ্লবের গানও
থেমে গিয়েছিল বেয়নেটের খোঁচায়
আর বন্দুকের গুলিতে।
অবশেষে 1947 র 15ই আগষ্ট,
ভারতবাসীরই রক্তমূল্যে কেনা সেই স্বাধীনতা
ফিরে পেয়েছিল দেশ,
তবুও দাসত্ব করা ভোলেনি ভারত,
ভোলেনি আপামর ভারতবাসী।
বিদ্বেষ, জাতিভেদ, চক্রান্ত
আজও ভোলেনি ভারতবাসী।
স্বাধীনতার তাই মূল্যায়ন হল না আজও।