রূপে তোমায় ভোলাবো না
রূপে তোমায় ভোলাবো না


আমি কাব্যে কাব্যে জনমুখেই চাই বাঁচতে,
কার্পেটে মোড়া ত্বকে সমাজের আঁচড় দেখালে ...
যাক ছাড়ো ,এখন তো তবে পোয়া বারো |
কত সুন্দর পাঠিয়েছ বনলতাকে ডাক্তারলেনের ঝি করে,
রমাকে পাগল বানিয়ে ঢুকিয়েছো গারোদখানায় !
তাই থাকি না আমি পাতায় পাতায় চিত্রমধুর বাক্যে ;
লাল আলোয় আর ভয় হয় না আমার -
কারণ প্রতিমুহূর্তে সেই স্পটলাইটটাই পড়ছে |
আমি বাঁচতে চাই বুদ্ধিজীবীর চুরুটের ধোঁয়ায় ;
রূপ আছে ? থাকুক না সে গানের কথায় ,
বাঁচুক না তার স্ফূরণ রচনার অঙ্গীকারে |
কে বলিছে করিতে আপন , বাক্যব্যায়ে প্রেমজ্ঞাপন ?
থাক না ওসব, নইলে ছিন্নবস্ত্রা হয়ে দেখবে কোনোদিন
মন্দিরের দাসী হয়ে রয়েছি বা বাবুর চাকরানী ,
নয়তো খবর হয়ে বিজ্ঞাপনের ভিড়ে হবো কলঙ্কিত পরিবৃত্তি ;
কিছু ভোলানো নয় , এ মাধুরীর নয় ও কীর্তি |
তাই বলি রেখেই দাও নয় মোরে , চর্চায় কাঁটাছেঁড়া অপ্সরা করে -
মুখরোচক হবে সকালটা ...
কিংবা সমাজের পরিচয় গুঁড়িতে বেঁধে দাও চিত করে ,
ঠুকরে যাক একে একে চিল-শকুন ;
তারপর না হয় তুলে নিয়ে ফেলবে জঞ্জালে
যেখানে আরো শিয়াল কুকুরেরা মুখ দেবে ,
তারপর স্ফুলিঙ্গের ঝলকানিতে ছাই করে ...
ওফ না না - আর পারি না |
তার চেয়ে বরং রইনা ব্যথিত চিত্তের সুখের দোকানি হয়ে |
পলাশবনে শেষ বেলার রোদ্দুর হয়ে যাইনা -
আসব না ফিরে কোনোদিনও কোনোকালে , চর্চায় ,
শেষে আমিও নয় বাদ পড়লাম কঠিন কাব্য হতে,
রূপে আর কেউ ভোলাতে আসবে না ;
আসবে এক কঠিন মায়াজাল বিছানো মহাকাল |