পটলের পাতুরি
পটলের পাতুরি
সবটাই স্পষ্ট বুঝতে পারছি,দেখতে পাচ্ছি এখন,
একটা নয়, দুটো নয়, মাথায় যেন জ্বলে উঠেছে,
হাজার মোমবাতির এক বিরাট ঝাড়লন্ঠন।
কড়া, খুন্তি, তেল, নুন, অথবা গ্যাসের আগুন,
হয়তো হয়েছিলো কারোর আমার ওপোর অভিমান।
গরম তেল ছিটে আসাটা তো শুধু একটা ছোট্ট ঘটনা,
পেছনে রয়েছে হয়তো অসহযোগ আন্দোলন।
মনে পড়ে গেল "রান্না" নিয়ে লিখিনি অনেকদিন,
এমন তো হয় আমাদেরও, যদি কেউ খুব ভালোবাসে,
অথচ শুধু শুধু অকারণেই খোঁজ না করে তিনদিন।
তাই ভাবছি বলেই ফেলি রান্নাঘরের কিছুটা খুঁটিনাটি,
এ তো আর নয় সেই ছোটোবেলাকার রান্না - বাটি!
বহুদিন পর কাল রেঁধেছিলাম আলু-পটলের ডালনা,
তাই বলে ডাল না কেন? নামটা "ডালনা" হয়েছে___
কি করে বা কবে থেকে, তা কিন্তু আমি জানি না।
বাড়িতে একমাত্র আমিই ভালোবাসি এই পদটা,
কেন কি জানি আর কেউ খুব একটা পছন্দ করে না।
অবশ্য আগেকার দিনের নেমন্তন্ন বাড়িতেও দেখেছি,
এই পদটা অবশ্যই রান্না হতো গরম কালে, লোকে__
খেতো একটু, কিন্তু কেউ ভালোবেসে তা খেতো না।
ঐ জন্যেই তো দই-পটলকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে,
অভিমানে মেনু থেকে বিদায় নিয়েছে ডালনা।
তবে একটা কথা বলি, এই সব গরমের দিনে,
রয়াল সব্জি বলেই এই পটোলকে হয় মনে।
পটল ভাজা, সেদ্ধ, নিরামিষ অথবা আমিষ চচ্চড়ি,
পাঁচ মিশালি ঘ্যাঁট, সুক্তো, দোলমা, দই-পটোল,
ডালনা, চাপড় ঘন্ট, পাতুরি অথবা মাছের ঝোল।
রুটি-পরোটা র সাথে খাবার ছেঁচকি বা তরকারি,
মনে তো হয়, কোনো কিছুতেই নেই এর জুড়ি।
আরো আছে ক্ষীর ভরা, সিরায় ডোবা, মিষ্টি পটোল!
অবশ্য এই মিষ্টিটা বাড়িতে বানাইনি কক্ষনো ,
খেয়েছি মিষ্টির দোকান থেকেই কিনে কয়েকবার,
তবে গোল তাতে হয়েছিল আমার অক্ষিপটল!
আজ রেঁধেছি পটলের পাতুরি,পছন্দ সকলেরই!
চেটেপুটে সবটা খাবার হয়েছে সাবাড়।