পিরিয়ড
পিরিয়ড
অতি সাধারণ একটি ব্যাপার...
যা আমরা প্রতি মুহূর্তে জটিল করতে থাকি।
মাসিকের চার থেকে পাঁচ দিন...
তলপেট ব্যথা দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে।
একটা বয়সের পর এই সবটাই অতি সাধারণ,
নিজের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
শিশু প্রসাবের সময় ওই যন্ত্রণা থেকে,
সামান্য এই যন্ত্রণা মেয়েদের কাছে কিছুই না।
বিবাহিত জীবনের আগে পর্যন্ত এই সামান্যতম
যন্ত্রনাটা আমাদের জন্য অনেকটা...
প্রতি রাতের ঘুম কেড়ে নেয়।
মন শরীর কোনটাই আর সঙ্গ দেয়না।
ঠিক এই সময় গুলোতে আমরা একটা
পুরুষের ভরসার হাতের সন্ধান চাই।
নিজেকে বড্ড দুর্বল লাগে...
সেই পুরুষ প্রেমিক বন্ধু সবাই হতে পারে,
শুধু দিনের শেষে ভরসা জোগাতে যেন পারে।
একজন পুরুষ ছোটো থেকে,
দায়িত্ব পালনে অভ্যস্ত থাকে।
তাদেরকে হাতে ধরিয়ে...
শিখিয়ে দেওয়া হয় না কিছুই।
তবু সে সবটা সামলাতে পারে,
পরিবার ও প্রিয় মানুষকে আগলাতে জানে।
তার স্বপ্ন খেলনা সবটা কেড়ে নেওয়া হয়,
তাকে বলা হয়...
পুরুষ মানুষ হাজার কষ্টে কাঁদে না,
দুর্বল হলে ভেঙ্গে পরলে চলে না।
নিজের সব স্বপ্ন একাধারে বিসর্জন দিয়ে,
পরিবারের স্বপ্নগুলো পূরণ করতে হয়।
আমরা মেয়েরা খুব দুর্বল,
অল্পতে কাঁদতে জানি...
তবে একটা পুরুষ হাজার কষ্টেরও
চোখ থেকে একফোঁটা জল পড়ে না।
কেবল তাদের পরিশ্রমের ঘাম ঝরে,
তবু মুখ ফোটে না।
আমাদের মাসিকের সমস্যার কথা পুরুষরা
সকলে জানে বোঝে কিছুটা অনুভব করতে পারে।
তবে আমরা খুব কম মেয়ে আছি যারা,
একজন পুরুষের কষ্টটাও বুঝতে পারি।
তবু লোকের নজর কাড়ে একটা মেয়ের
মাসিকের দিনগুলো পরিশ্রম করার কথা।
মেয়েরা মেয়েদের অনেকসময় বিদ্রুপ করে,
কিন্তু একটা ছেলে একটা মেয়ের পাশে
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় সর্বক্ষণ।
সব পুরুষই ধর্ষকের বদনাম করায় না,
কিছু পুরুষ মেয়েদের দিনের শেষে ভরসা হয়ে রয়।