পদস্খলন
পদস্খলন
জীবন পথে চলতে গিয়ে,
অনেক কটু ব্যঙ্গ সয়ে,
চড়তে হবে ঘোরালো এক সিঁড়ি;
বৃষ্টি জলে পেছল ধাপে;
শ্যাওলা জমায় বুকটি কাঁপে,
পা হড়কে যদি কোনোদিন পড়ি।
ছেলেবেলায় বন্ধুরা সবে,
মেতেছিলেম আনন্দ উৎসবে;
সিঁড়ির খবর ছিল না কারো জানা;
হেলায় ফেলায় কেটেছে দিনে,
চিন্তা, ভাবনা জাগেনি মনে,
ইচ্ছে হয় নি উপদেশ বাণী মানা।
একটুখানি বড় হতেই,
জীবন পথের সন্ধানেতেই,
প্রতিযোগিতায় উঠলাম মেতে জনে;
ঘোরানো সিঁড়ির প্রথম ধাপে,
পা রাখতেই বড় অনুতাপে,
পিচ্ছিল পথে নেমে আসি পিছু টানে।
বিচার বুদ্ধি ছিল না ক্ষুরধার,
জীবনের বাঁকে পাইনি কখনো ছাড়,
সমাদর কেউ করে না বুদ্ধিহীনে;
ভীষণ জটিল ধাঁধাঁর মতো,
হোঁচট খেয়ে অনবরত,
পিছিয়ে পড়ে হারকে নিলাম মেনে।
একটু যদি বুদ্ধি করে,
জীবন নদীর সোপান 'পরে,
যুদ্ধ জয়ের কৌশল জেনে নিতাম;
নেমে আসার সহজ সিঁড়ি,
বেঁধে দিতাম সর্বোপরি,
সন্তর্পনে ওপর পানে যেতাম।
আমার মতোই বন্ধু অনেক,
সিঁড়ির মুখেই দাঁড়িয়ে ক্ষণেক,
ওপরে ওঠার চেষ্টা দিলো ছেড়ে;
তাদের হতাশ দৃষ্টি দেখে,
বুক ফেটে জল আসে চোখে,
সিঁড়ির পাশে নেহাতই কপাল জোরে ।
দৃঢ় মতি কয়েক জনে,
বিপদ জেনেও ওপর পানে,
হাসি মুখে পৌঁছে গেলো চূড়ায়;
বুদ্ধি করে চলার মাপে,
পেরিয়ে গেলো পেছল ধাপে,
আমরা ক'জন ছেড়েই দিলাম লড়াই।