পালা
পালা
রজনী গভীর হল
ছায়ামূর্তির মত হৃদয়ে এঁকে দিল
এক স্বপ্নের চূড়া।
স্বপ্ন তুমি এমন স্নিগ্ধ সতেজে
মন বড় শান্ত হওয়ার পাহারা।
নিঝুম রাতের স্বপন
গভীর মগ্নে একাকীর লগন
মন যেন বাতাসে উরিল
বেদনার সাগর মুছে নিল
ঘন আঁধারে তড়িৎবাহী হৃদয় দোলার অংকন।
এল ভোর ধীরে ধীরে গগনের পারে
পুবের লাল মহিমায়
বাতাস বইল আপন পোশাকে
অঝোর মৃদু প্রভায়।
আলো ফুটলো প্রভাত বাতায়নে
ফুল ঝরিল থরে থরে
মনের কোনের বিহগন শিখা
চমকিয়া পুলকের জোয়ারে।
আলস্যের বিছানায় আবেগিত হাওয়ায়
আঁখি ভরা স্বপনের দুত
ঢেলে দিয়েছিল অযাচিত ভালো
মন পিয়াসের কত আপ্লুত।
দেখিয়া দেখিতে রয়েছ হৃদয়
এমন ভরিবার কারবার
জীবন ভরে যেত নদীর স্রোতে
স্বপ্নের যত দরবার।
ক্ষত ,বিক্ষত হৃদয় খানি অকূলে যায় ভেসে
দরদিয়া মন স্বপ্নের কোলে নিজেকে ভাসিয়ে হাসে
এ জীবন যেন ক্রন্দনরত কি না পাওয়ার জ্বালা!
ধুকে ধুকে জীবন যেখানে কন্টক ময়ের পালা।
