মুখর বাদরধারা, মন হয় দিশাহারা
মুখর বাদরধারা, মন হয় দিশাহারা
মুখর বাদরধারা, মন হয় দিশাহারা
ও সুজন! বর্ষার বিষণ্ণ নিঃসঙ্গ ধারায়
তোমার নিশ্চুপ আগমনের পদধ্বনি শুনি,
প্রতীক্ষার কারাবাসে রূদ্ধ করেছি শ্বাস
আঁধারে চোখ জ্বেলে নির্বাপিত প্রহর গুনি।
বৈরাগী করুণ শুরে বাজে মনের পিউকাহা
উড়ে ফেড়ে নিস্ফল আশার তীরে,
অবুঝ চেতনের দ্বারে আঁচড়ে পড়া করাঘাত
আজও পারেনি করতে আঘাত ধ্যানস্ত চিত্ত গভীরে।
শ্যামাঙ্গি সুন্দরীর রসধারায় উখলিত হোক রিক্ত প্রমের ডালি
লাবণ্যের কানন হতে টুপটাপ বিমুক্ত বিন্দু তুলুক নূপুরধ্বনি,
আমার নিষ্প্রভ আশা হরষে জাগুক উচ্ছলিত নব রূপে
পুনরপি, তোমার ফেরার পদধ্বনি শুনি, শুধু শুনি।
ওগো কাজলা মেঘের আঁধার, আমার আঁখিতে
দিও বাহার
এ চোখে চোখ রেখে টুটে যেন সুজনের অভিমানের পাহাড়,
তোমার উদ্ভ্রান্ত নাচনে আমায় ও নিও করে সঙ্গী
মধুর উষ্ণতার প্রবাহে ধিকিধিকি দগ্ধ কোর আমার পরান মাঝার।
সুজনের আশায় প্রহর গোনার অবসান ঘটবে কবে আর
নদীর কূলের লাগি ভাঙ্গে নিত্য হৃদয়ের পার,
তোমার মুখরতার স্রোতে, দুই হৃদ মাঝে এনেছ যে ব্যবধানের আড়
কিছুক্ষণ না হয় রইলে বিরত আমার সঙ্গী হয়ে, সুজনের পথ চাওয়ার।