মাগো আমার
মাগো আমার
মাগো, শিউলি বকুল পলাশে
আমি দেখিনু যে তোমার ছায়া,
তবে লোকে যে বলে তুমি হারিয়ে গেছ
ও কেবলই আমার দৃষ্টির মায়া।
আমি যে তোমায় পাই ছুঁতে
তোমার স্মৃতি বিজড়িত সমৃদ্ধ বাগানে,
যেথা পুষ্পে সমাহিত তোমার অঙ্গ সৌরভ
প্রতিটি বৃন্তের সমাদৃত লাবণ্যের মাঝারে।
আমি পাই যে তোমায় ছুঁতে মাগো
হাওয়ায় দোলা তোমার শাড়ির রঙিন আঁচল,
নরম সুতো বুনছে সোহাগের জাল,
তুমি মোছাও আমার আঁখি সজল।
পড়ন্ত বেলার নরম রোদে
যখন আমার ক্লান্ত দেহ লোটায়,
তোমার কোলের কোমল উষ্ণতা
আমার নিরূদ্বেগ নিদ্রিত আঁখিকে স্বপ্নে জরায়।
আমি অনুভব করি তোমায়
যখন মধ্যাহ্নের ভাতের থালা আর একলা আমি পাশে,
তুমি মিছে ক্রোধের ছলে দিচ্ছ আমায় তারা
বলছ, “আহারে কেন করি অবহেলা, বেলা যে পরে আসে”।
তোমার কমল স্বরের মাধুরী
কত পরিচিত উপস্বনে বারে বারে ভেসে আসে
আমার শৈশবের শরৎবেলার স্মৃতি গুচ্ছ
স্বচ্ছ মেঘের ভেলার মত খেলে বেড়ায় চারিপাশে।
আমার সকল নিবিড় চাওয়ার মাঝে
মাগো সদা তোমায় যে ছুঁয়ে যাই,
মুছে যাবে তুমি কেমন করে
তোমার পায়ে পায়ে ছায়া সঙ্গী হয়ে বেড়াই।
লুকিয়ে তোমার হিয়ার মাঝে, ইচ্ছের স্রোতে ভাসি
তবু যখন বেদনার আষাঢ়ে, বিষণ্ণতার আঁধারে
আমি পাই না ছুঁতে তোমায়, একাকি বসে কাঁদি।
আমায় কভু একা ছেড়ে যেওনা মাগো
এই অতনু স্বার্থের পৃথিবীতে,
পরম স্নেন মমতার মন্দির তুমি
পাই অমত্র্য অনুভূতি তোমার চরণধূলিতে।
মার প্রতি আমার ভালবাসা ও শ্রদ্ধার নিবেদন।
