একটা বছর পেরিয়ে গেল হাজার কাজের মাঝে,
ছিলেম বসে প্রতীক্ষা করি, গুনছিলেম দিন;
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হল আজি শুভলগ্নে,
আবার বুঝি এল ফিরে সেই মধুর আশ্বিন।
ছিন্ন হল পায়ের শিকল, সকল বাঁধন গেল টুটি,
মেলে দিলেম নীলগগনে ময়ূরপঙ্খী ডানাদুটি;
মুক্ত কণ্ঠে দীপ্ত প্রাণের বাঁধনহারা বাণী আসে,
সাঁঝবেলা'তে মেঘের ভেলা দিগন্তের বুকে ভাসে।
শিউলি ফোটা শারদপ্রাতে নবীন আশা জাগে মনে,
দখিন হাওয়া হৃদয়ে দোলা দিয়ে যায় ক্ষণে-ক্ষণে;
আয় ছুটে আয় বাইরে সবাই, মা এসেছে পিতৃগৃহে,
পুষ্পগন্ধে ভরিয়ে ভুবন, নবীন রূপে ধরণী সাজে।
পূজার গন্ধ ছড়িয়ে আছে অখিল ভুবন জুড়ে,
হিয়ার এই পুলকরাশি, কুসুমে-কাননে বেড়ায় ভাসি;
ঢাকের তালে নাচে আকাশ, কাশের মেলা মোহিছে বাতাস,
সোনাঝরা রৌদ্রছায়ায় বিষণ্ণ এক উদাসী সুবাস।
মাতৃচরণে নয়নদুটি, অরুণালোকে দিনু মেলি,
ধুয়ে দাও সকল কালো, প্রাণে ঢালো শান্তির আলো;
মহালয়ার এই মহালগ্নে ঘরে বন্দী থাকতে মানা,
বাইরে আয় মন রে আমার, মেলে ময়ূরপঙ্খী ডানা।
**** সমাপ্ত ****