মাংসাশী
মাংসাশী
মাংসের টুকরোগুলো প্লাস্টিকে ভরে দোকানদার দিল হাতে
আজ রবিবার বাড়িতে তাই মাংস হবে ।
কিন্তু মাংসের বন্য দিকটা আজ কেন জানি আমার মাথার নিউরনে
রক্ত ,শরীর আরো কত কি।
হতাশ জীবনের ভূমিকায় আসলে আজ ফ্রী সময়
তাই এই উদ্ভট ভাবনা।
দুপুরে খাওয়া হলো
তারপর ঘুম , না আসছে না।
জানলার পাশে কোনো ক্যালেন্ডারে নারী শায়িত
আবার সেই মাংস।
অর্ধ নগ্ন শরীরে লেগে যাচ্ছে আঠার মতো চোখ
ক্রমশ একটা চিন্তা উৎসের দিক থেকে আরো দূরে চলে যাচ্ছে।
দূরে দূরে ধোঁয়াশার ভিতর কোথায় যেন
ক্রমশ ফিট হওয়া জানলে অন্য চোখ।
ধুস জানলা বন্ধ করি ,দরজাটাও
আমিও শেষ অবধি মাংসাশী কোনো দিনে আমিষের গন্ধ।
মাংসের টুকরোগুলো পেটের ভিতর অদ্ভুত অস্বস্তি করছে
না মাংস আমার হজম হবে না।
পাশের বইয়ের তাক থেকে তুলে নিলাম সুনীলের কবিতা
সেই বিখ্যাত লাইন আমার মাথায়।
এই কবিতার জন্য আর কেউ নেই ,শুধু তুমি নীরা
এই কবিতা মধ্যরাত্রে তোমার নিভৃত মুখ লক্ষ্য করে।
