মানবতা
মানবতা
ধর্ম ধর্ম করছো তুমি,জানো আসলে ধর্ম কী?
খায়, না পরে, না দেয় মাথায় বালিশ করে?
হিন্দুর ঘরে জন্মেছ তুমি, হিন্দু হয়েছে তাই
মুসলিমের ঘরে জন্মালে, মুসলিম হতে ভাই।
ধর্মের পিয়াদা ওরা, ধর্মের লেবেল দিয়েছে সেঁটে
রঙ,ফুল,ফল আর খাদ্য ভেদে
পোশাক-আশাক শব্দেও আজ
দিয়েছে ওরা বিভেদ এঁকে।
আর কতকাল চোখে ঠুলি বেঁধে
ধর্মের ধ্বজা গায়ে সেঁটে রেখে
মানুষে মানুষে বিভেদ করে
ভাইয়ের রক্তে রাঙাবে নিজের হাত।
ওঠো মানুষ, জাগো তুমি,খুলে দেখো ঠুলি
মানুষ হয়ে জন্মেছ তুমি
ধর্মের জামা অনেক পরে উঠেছে তোমার গায়।
যে মাটিতে গড়ছো তুমি দুর্গা প্রতিমা
সেই মাটিটা দিয়েছে এনে রহিম কিংবা করিম কোনো
যে কলকায় উঠেছে সেজে মহরমের তাজিয়া গুলো
খোঁজ নিয়ে দেখো, সেই কলকা তৈরি করেছে হিন্দু শিল্পী কোনো।
কোরান-পুরাণ-বেদ-বাইবেল-গীতা–যেখানে আছে ধর্মগ্রন্থ যত
তা কখনও দেখেনি পড়ে ধর্মের পেয়াদারা
জানেনা ওরা সবেতেই আছে লেখা
শিব জ্ঞানে জীব সেবার কথা।
কোনো ধর্মই দেয়নি এঁকে মানুষে মানুষে বিভেদ রেখা।
ধর্মনিরপেক্ষতা যে দেশের আত্মা
মনে রেখ ভারতবর্ষ সে দেশের নামটা।
হেতা শঙ্খের সাথে আজানের সুর মিশে
ঘোষণা করে দিনের অন্তিম কালটা।
হেতা সত্যপীরে এক হয়ে গেছে নারায়ণ আর পীর
"মিলে গেছে হেথা-মিশে গেছে হেথা মসজিদ, মন্দির!"
যে চাঁদটায় পূর্ণিমা হয়, সেই চাঁদেতেই ঈদ
একই সূর্য দেয় গো প্রভা সে হোক হিন্দু কি মুসলিম।
মত আর পথ বাদে সবই যখন একই,
তখন কেন এতো বিভেদ করে মরো?
রক্তের দরকারে কখনও কি রক্তদাতার ধর্ম জিজ্ঞাসা করো?
খাঁটি হিন্দু, খাঁটি মুসলিম, হবার চেষ্টা না করে
বরং তুমি খাঁটি মানুষ হবার চেষ্টা করো।
মানুষ হয়ে এসেছ ধরায় মানবতা হোক ধর্ম তোমার
ধর্ম নয়,'মানুষ' -ই হোক তোমার আসল পরিচয়।
