কল্পসিদ্ধতরু বটতলা
কল্পসিদ্ধতরু বটতলা
বেড়াতে যেতে চাও যদি কেউ,
নিরিবিলিতে, এই পূজোর ছুটির অবসরে।
যেতেই পারো তোমরা তবে,
বর্ধমানের মেমারীর কাছে আমাদপুরে।
মা আনন্দময়ী, পোড়া মাটির শিবমন্দির, দুর্গাবাড়ি,
এসব তো আছেই ছড়িয়ে চৌধুরী বাড়ির ধারে।
দেখতে পাবে নিঃশঙ্ক আশ্রম গেলে হেঁটে একটু দূরে।
আদিবাসী পাড়াটা পেরোতেই লোকবসতি শেষ!
রাস্তাটা চলে গেছে জমিজমার মধ্যে দিয়ে,
একেবারে সোজা সেই বৈষ্ণব আখড়াতে।
একটু দূরেই সেই বিশাল পুরোনো বটগাছ টা !
টিকে রয়েছে যে এখনও কোনোমতে।
ডালপালা তার ছড়িয়ে আছে হাতগুলো বাড়িয়ে!
গাছটা যেন কাছে যেতে ডাকবে তোমারে।
একটা সময় এই বটগাছ এর তলার বেদীতে,
বসেছিলেন নরহরি বাবা তাঁর সাধনাতে।
সিদ্ধিলাভ তো তিনি করেছিলেন অবশ্যই,
বনের পশুর মনের কথা বুঝতে পারতেন অনায়াসেই।
জায়গাটা তখন ছিলো যে এক অরণ্য গহীন,
যোগবলে তিনি নাকি বাঘকেও পোষ মানিয়েছিলেন।
বটতলাতে রয়েছে নানা মহান্তদের সমাধি মন্দির,
আর নরহরি বাবার সমাধি রয়েছে,
একেবারে মূল আশ্রমের ভেতর।
বটের পাতার ফাঁকে ফাঁকে কথা বলতে চায় ইতিহাস,
হাজার বছর ধরে কতো লোক এসেছেন এখানে,
জুড়িয়েছেন মন, নিয়েছেন প্রাণ ভরে শান্তির বাতাস।
প্রকৃতির কোলে দাঁড়িয়ে কল্পতরুসিদ্ধ বটতলা,
এই গাছের কাছে কায়মনবাক্যে যা চায়,
লোকে নাকি তাই পায়, এটাই স্হানীয়দের বিশ্বাস।