কবিতাঃ-পরাণ সখা
কবিতাঃ-পরাণ সখা


কিশোর বয়সে বইমেলায় মা একটা
বই হাতে দিয়ে বলেছিল,সামলে ধর খোকা
তোর চলার পাথেয়,জীবনের শত শত বাঁকে
তুই পাবি প্রেরণা,সান্ত্বনা।
মনে যখন দু'কলি গেয়ে উঠতো,তখন
নামাতাম মাঝে মাঝে ধূলো ঝেড়ে,মর্ম তো
তখনও বুঝিনি,কি দিয়েছিলে মা!
আমার একুশ বছরে যখন রূপকথা শোনানোর
মানুষটা চলে গেল,চিলে কোঠার ঘরে খুলেছিলাম
২৪২ নং পাতা,লেখা ছিল-“তোর আপন জনে ছাড়বে তোরে”
তারপর আনন্দ,প্রেম,উচ্ছ্বাস,জীবনের
প্রতিটি মোড়ে খুঁজে পেয়েছি তোমায়….
পাতার পরে পাতায়
লিখে গেছো জীবনের উপন্যাস।
মাথার ওপর থেকে ছাদ সরতে সরতে
যখন নিজেই একটা ছাদ হলাম, ঝোড়ো
হাওয়ায় খুলে গেল ১৪১ নং পাতার লেখা
“আছে দুঃখ আছে মৃত্যু”জীবনের প্রথম বন্ধু মা
শেষ পর্যন্ত চলার মতো বন্ধুর হাত ধরিয়ে দিয়েছিলেন
আজ বুঝি জীবন মৃত্যুর সীমানা পেরিয়ে,তোমার
অদৃশ্য হাতখানি আছে আমারই হাতে।।