কালবৈশাখী
কালবৈশাখী


যখন স্তব্ধতার সম্মুখীন দিনের গতি, অবসরের সন্ধানে উন্মুখ মন
অজান্তেই পর্দার ফাঁক গলে চুরি করতে উদ্যত হয় এক বাক্স আকাশ।
কখনো হঠাৎ করেই আকাশের বুক চিরে বিদ্যুতের তীব্র ঝলকানি
দৃষ্টিগোচর হয় সবই প্রায়; তবু মন ভুলে যায় সাবধানী হতে
ফলস্বরুপ লন্ডভন্ড আমার ঘর,
ঢুকছে কালবৈশাখী।
ছিটকিনি বিহীন জানালার অনিয়ন্ত্রিত উল্লাস
সুরার নেশায় লেগেছে উন্মত্ততা;
আমার আঙুল ফেটে নামে রক্তের স্রোত
উষ্ণ থেকে শীতল হতে হতে সেও শেষমেশ জমাট বাঁধে
শীতল বাতাসে পুঞ্জিভূত হয় দীর্ঘশ্বাস।
অনেক দূরে ওই বড় শহরের বুকে
যেখান নাকি রাতেও দিনের মত আলো
তারকারা নাকি সেখানে মর্ত্যে বিরাজমান
সেই শহরের কংক্রিটের ভিড় ঠেলে এগিয়ে যাওয়া
একটা মোরাম বিছানো রাস্তা
যার শেষ প্রান্তে তোমার ঘর।
যেখানের উষ্ণ বাতাস শুষে নেয় তোমার রক্ত
উজ্জ্বল আলোক ধাঁধিয়ে দেয় তোমার চোখ
তোমার মন নিত্য দিন হয়ে ওঠে আরো সতর্ক সাবধানী।
সবই বুঝি, তবু কেমনে না জানি মাঝেমাঝেই
যুক্তি তক্কের হিসেব গুলো তুলে নেয় তাদের পাহারা, আর
আমার ক্ষনিকের জন্য মুক্তি পাওয়া অবুঝ ইচ্ছেরা
বোকার মতো জিজ্ঞেস করে ফেলে
“তোমার ওই এক কামরার ফ্ল্যাটের দেওয়াল পেরিয়ে
দাঁড়িয়ে যে ছোট্ট ব্যালকনি
সেখানে কখনো কি আছড়ে পড়ে না কালবৈশাখী?
লণ্ডভণ্ড হয় না তোমার ঘর?”