হঠাত কয়েক ঘন্টার স্তব্ধতা
হঠাত কয়েক ঘন্টার স্তব্ধতা
ঘড়িতে বাজে তখন দুপুর বারোটা পয়তাল্লিশ
হঠাত করেই হল হোয়াট্সঅ্যাপ স্তব্ধ
সাথে সাথেই শুরু হল একটা কোলাহল
সবাই কেমন যেন হয়ে গেল বেশ জব্দ ।
দেশজুড়ে দেখা দিল হোয়াট্সঅ্যাপ বিভ্রাট
ব্যহত হল মেসেজিং পরিষেবা
ছুটাছুটি লেগে গেল আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোয়
আরে ধুর ! এতো বেশ ঝামেলা ।
অন্যদিকে প্রেমিক ছিল প্রেমিকার সাথে হোয়াট্সঅ্যাপ অডিয়ো কলে
হঠাত করে ফোন কেটে যেতেই ভাঁজ দেখা দিল প্রেমিকের কপালে
দশ মিনিটের ব্যর্থ মেসেজের পর করল প্রেমিকা নর্মাল কল
ও মা ! ফোন ধরেই প্রেমিক বলে, এবার কিভাবে কি হবে তা আগে বল ?
প্রেমিকা বলল, কি আবার হবে, কিছুক্ষণ পরেই তো ঠিক হয়ে যাবে
চিন্তাগ্রস্ত প্রেমিক বলে, বিকেলে যে মিটিং আছে সেটা কি করে হবে?
ওদিকে তো পয়সট্টি বছরের শিশির বাবু
বসেছেন তখন দুপুরের খাবার খেতে
স্যোশাল মিডিয়ায় কি ঘটে গেল
ওনার কি বা এসে যায় তাতে
এদিকে দেশজুড়ে তো ভুরি ভুরি অভিযোগ
জমা পড়লো ওয়েবসাইট ট্র্যাকিং সংস্থায়
অথচ নেই কোনো অফিশিয়াল প্রতিক্রিয়া এখনও
ভর দুপুরে কেন মুখোমুখি হল সবাই এই সমস্যায়
কয়েক মিনিটে গোটা দেশে ফেলে দিল হুলুস্থুলু
এই একটা মাত্র স্যোশাল অ্যাপ
অন্যদিকে আবার এই স্যোশাল মিডিয়াগুলোর জন্যই
মানুষে মানুষে সৃস্টি হয়েছে আজ এত গ্যাপ
দিন দিন দেশটা হচ্ছে অফিসিয়াল থেকে ডিজিটাল
ভেবে দেখুন তো একবার
তবে এই সব স্যোশাল মিডিয়াগুলো
দেশের কি উপকার না অপকার ?