হায় ভোলা মন
হায় ভোলা মন


হায় ভোলা মন কি করে যে
কি করি উপায়
এক ভাবনা ভেবে সকল বেলা যায়
হায় ভোলা মন কী করে যে
কি করি উপায়!
বলি পেটের ময়লা চলে গেলে
দেহটা রোজ হালকা যে হয়,
মাথার পোকা কিলবিলিয়ে
দিনেরাতে আমায় তো খায়,
অখাদ্য সব চিন্তাগুলি,
বল না ভোলা কি করে যায়
হায় ভোলা মন কী করে যে
কি করি উপায়!
মাছ, মাংস, ডাল, ভাতের হাঁড়ি
তারই ওপর তরকারি
মিষ্টি আবার রকমারি
চেটে পুটে খাওয়া হয়,
তার সবই যে নয় উপকারী
জিভ, চোখ, কান, বোঝে না তা
বোঝে শুধু দেহেরই লয়,
তাই যা কিছু সব দরকারি
শুধুই সে সব নিয়ে নেয়,
বাকি যা সব আবর্জনা
মল মূত্র হয়ে বেরিয়ে যায়,
হায় ভোলা মন কী করে যে
কি করি উপায়!
শত শত চিন্তা যত
মাথায় পচে বাসি যে হয়
গ্রাস করে তা দিবারাত্রি
আমার যত সুখ শান্তি;
এ জঞ্জালের জঙ্গলে যে,
মনটা জ্বলে ছারখার হয়,
হায় ভোলা মন কী করে যে
কি করি উপায়!
ও ভোলা তুই বল না রে তাই
দেহের মত মনেরও কি
মলমূত্র আর পচন হয়?
হায় ভোলা মন কী করে যে
কি করি উপায়!
ভোলা এসে আমায় বলে
মন দিয়ে শোন কানটা খুলে
মনের শুদ্ধি শ্বাসেই যে হয়,
পথটা যে খুব সহজ সরল
যাবে যত মনের গরল
মন দিয়ে বস ঘরের কোনে
শ্বাস নিয়ে যা ধীরে ধীরে
মনের যত বিকার আছে
আপনা থেকেই যাবে সরে,
দুঃখ কষ্ট জ্বালা যত
পালাবে সব পোকার মত
রইবে না আর অসুখ, ক্ষত।
আছি পড়ে ঘরের কোনে
চেষ্টা করছি মনে মনে
মাঝে মাঝে হালকা হয়ে
গেয়ে উঠছি গুনগুনিয়ে,
কখনও আবার কাতর হয়ে
পুরোনো সুর যায় কাঁদিয়ে,
হায় ভোলা মন কী করে যে
কি করি উপায়!