একটা ছোট্ট বাড়ি
একটা ছোট্ট বাড়ি
ভাবলাম একটা ছোট্ট বাড়ি বানাবো তোমার জন্যে, যদিও তাজমহল নয়, ছোট্ট একটা বাড়ি যেখানে তুমি আর আমি শান্তিতে বাস করতে পারব।
তাই লেগে পড়লাম ইট, বালি, সিমেন্ট এর খোঁজে, পয়সাও জমাতে শুরু করলাম।
একদিন হঠাৎ তুমি এসে বললে, "আমার জন্য আর বাড়ি বানাতে হবে না, সে একটা মস্ত বড় বাড়ি আমার জন্য বানিয়েছে, আমাকে ভুলে যাও।"
কিছু বুঝে উঠতে পারলাম না, তাই সদ্য আনা উঠোনে রাখা ইট, বালির পাশে জড় পদার্থের মতো বসে পড়লাম, মাথাটা বনবন করে ঘুরতে থাকলো, আমার আর বাড়ি বানানো হলো না।
এখন অনেক বছর হয়ে গেছে, আমি এখন একটা ছোট্ট বাড়িতে থাকি, অবশ্য একা নয় অনেকের সাথে। তারা সব বিদঘুটে, কেউবা হঠাৎ চিল্লিয়ে ওঠে, কেউ হঠাৎ ই গান গেয়ে ওঠে। আমি সর্বদা তাদের থেকে একা থাকার চেষ্টা করি, আর একা যখনই বসে থাকি শুধু তোমার কথা মনে পড়ে, শুধু তোমার।
মনে পরে তোমার কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা, মনে পরে তোমার সঙ্গে নন্দনে ফিল্ম দেখা, যখনই তুমি লাল শাড়িটা পড়ে আসতে আর চুলগুলো খোলা রাখতে মনে হতো স্বর্গে আছি।
একবার দুদিনের জন্য বাইরে গেছিলাম বলে তোমার সে কি কান্না, তোমার বারংবার miss call আর শুধু SMS আজও আমার মনে পড়ে যায়।
ইচ্ছে করে তোমার সেই মস্ত বাড়িটা দেখে আসি কিন্তু কি করি বল, পায়ে যে শিকল বাঁধা, সামনে মোটা লোহার দরজা, অনেকবার পালাতে গিয়ে খেতে হয়েছিল কারেন্ট শক।
জান, সবাই নাকি বলে আমি পাগল হয়ে গেছি আর যে ছোট্ট বাড়িটায় থাকি সেটা নাকি পাগলা গারদ, ওদেরকে কিছুতেই বোঝাতে পারিনা আমি পাগল নই, আমি পাগল নই, আমি আজও তোমায় ভালোবাসি।