দুষমণ
দুষমণ
মানুষ কখনও কখনও বানরের যত্ন করলেও,
বানরেরা কিন্তু ভালোবাসে একটু জংলী থাকতেই।
ওরা কবেই বা কোথায় মানুষের পরোয়া করে!
জানে তো, মানুষের বাঁদরামোর কোনো সীমা নেই!
নিজভূমে ঘুরে বেড়ানোও এখন ওদের অপরাধ,
ম্যাকাক ধরে ধরে জি.পি.এস. সেঁটে দেওয়ার সাধ!
নিজেদের গতিবিধির ওপর নিয়ন্ত্রণের নেই ক্ষমতা,
বানরের ওপরে দেখাতে আসে অতিরিক্ত মমতা !
কারা বেশী লাফাঝাপি করে, তাদের চিহ্নিত করে,
মুক্তবন থেকে ধরে নিয়ে সংরক্ষিত বনে পাচার করে।
জিব্রাল্টারের মানুষ আবার ম্যাকাকদের মনোস বলে,
সময় সুযোগ পেলে বন্ধু বানায়, কোলেও তোলে !
টুরিস্টদের সাথে কখনও সখনো পোজ দিতেও বলে।
কিন্তু বানরের বেশী লাফাঝাপি সহ্য করতে পারেনা,
ওদেরকে তখন দুষমণ বলতে কিন্তু মোটেও ছাড়েনা।
মনোসদের খাতির এতোটাই বেশী ছিল সে সময়,
জিব্রাল্টারে বেড়াতে এসে ডিউক অফ এডিনবার্গ,
দ্বিতীয় এলিজাবেথ, ম্যাকাকের সাথে ছবি তোলায় !
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একটা ধারণা তৈরী হয়েছিল,
যতদিন জিব্রাল্টারে ওদের অস্তিত্ব বিপন্ন না হবে,
দিকে দিকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাষন অব্যাহত রবে।
সে সময়টা চোখের সামনে দিয়ে কি করে চলে গেছে!
উনিশশো অষ্ট আশি সাল হোক বা দুহাজার চার,
ম্যাকাকের ছবি কিন্তু কয়েনে ছাপা হতে দেখা গেছে।
মানুষ যে নেতা হতে ভালোবাসে, এ তো জানা কথা,
তবে গল্পকথায় মনোসদের নেতা বোঝে ওদের ব্যাথা।
কে কার দুষমণ, বুদ্ধিমান মানুষ তো সেটাও বোঝেনা,
কে যে বন্ধু, আর কে যে শত্রু, সহজে চিনতে পারেনা।
