দৃশ্য দূষন
দৃশ্য দূষন
বলি আজ কিছু কথা দেওঘর ভ্রমনের,
পান্ডার হাত ধরে বাজি রেখেছিলাম জীবনের।
অনেকক্ষণ ধরে আমাদের লাইনে রেখে ভীড় জমিয়ে,
ঘন্টা বাজালো শেষে ঢঙঢঙিয়ে।
শিব ঠাকুরের ঘরে ঘরে ঢুকে হুরহুরিয়ে,
চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে দমটা প্রায় যাচ্ছিলো বেরিয়ে।
যখন পদপিষ্ট না হয়ে অক্ষত শরীরে,
ওখান থেকে বেরিয়ে এলাম, বুঝেছি জীবনের দাম।
ভগবানকে অশেষ ধন্যবাদ ও প্রণাম !
সতীর হৃদয় পড়েছিলো নাকি এই পূণ্য সতীপিঠে,
বেরোবার পথে পান্ডা মশাইয়ের কাছে শুনলাম।
বলছিলেন উনি, এখানে কখনও বন্ধ হয়না পশুবলি,
সবে জল দিয়ে ঝাঁট দেওয়া হয়েছিলো সেই গলি।
সব কিছু একেবারে ধুয়ে হয়নি তখনও সাফ,
দেখা যাচ্ছিল সরু সরু রক্তের দাগ, মাগো চাই মাফ!
কি দোষ করেছিলো ঐ অত গুলো অবলা জীব !
পা ফেলতে গিয়ে দিন দুপুরে গা করে ওঠে ছমছম,
অসময়ে বেছে বেছে ওদের কেন যে ডেকে নিল যম!
ঠাকুর বা মানুষ, হোক না জ্যান্ত অথবা পাষান,
নিষ্ঠুর যতোই হোক, হতেই পারে রাগ বা অভিমান।
কিন্তু চাইতে পারেনা কখনও সন্তানের রক্ত বা প্রান,
উল্টে বরং করতে পারে সহজে, নিজের জীবনদান।
জন্মাবধি "মা" ছাড়া কোনও ডাক জানেনা যারা,
বিনা দোষে হাঁড়িকাঠে বলি প্রদত্ত হবে তারা?
রক্ত বয়ে যাবে পাষানের মেঝেতে নদীর মতন!
ওদের যেহেতু নেই কোনো মানবাধিকার কমিশন।
শুধু তাই নয়, এভাবে হয় যদি প্রকাশ্যে বলিদান,
হয় না কি তাতে মানুষের চোখের পীড়া বা দৃশ্যদূষণ!