দেবতার পূজায়
দেবতার পূজায়
মহুলের ঘ্রাণে মন মাতাল করা
উগ্র নেশাকে অতিক্রম করে
ফিরে আসা সাধারণের কম্ম নয়,
মনন চিন্তন চেতন শক্তিশালী না হলে
অনেকেই হারায় সে মারাত্মক নেশায়,
শিউলি বকুল তাদের গন্ধ দিয়ে
রাখতে চেয়েছিল তাকে মাতিয়ে,
পলাশ শিমুল কৃষ্ণচূড়া
তাদের লালিমা জর্জরিত করে
চেয়েছিল রাখতে ভুলিয়ে,
তার ব্যক্তিত্বের কাছে হার মেনে
সকলেই একে একে ফিরে গিয়েছে।
কেউ জানেনা তার মনের স্বর্গদ্বারে
সে এক পারিজাত বৃক্ষ রোপণ করেছিল,
স্নিগ্ধ সুগন্ধি পারিজাতের বুকে মাথা গুঁজে
সে যে সুখ অনুভব করে
তা আর কারও পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়
তার পক্ষেও নেওয়া অসম্ভব ।
দেবত্ব না থাকলে দেবীর আসনে
কাউকে বসানো অতি সহজ কথা নয়,
পারিজাত সত্যিই কোন জনমে
অনেক পুণ্য সঞ্চয় করে রেখেছিল,
নিজের আরাধ্যই যদি তাকে
দেবী জ্ঞানে পুজোর আসনে বসায়
সে সুখ যে কি সুখ
তা ভাষায় প্রকাশ করা বাহুল্য।
পারিজাতের দায়িত্ব অনেক গুন বেড়ে যায়
তার দেবীত্ব রক্ষায়,
কোন অবহেলা তার পক্ষে সম্ভব নয়
তার আরাধ্য দেবতার পূজায়।

