চায়নি তো বেশি
চায়নি তো বেশি
পৃথিবীতো চায়নি কিছু বেশি
ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের কাছে
শুধু চেয়েছিল অনন্তকাল ধরে
সে যেন স্বমহিমায় বাঁচে।
দিল না মানুষ তারে
নিজের গতিতে চলতে
নিজের মতো করে।
যত অত্যাচার অনাচার তার উপরে
কত যে আঘাত হানলো মানুষ।
নিজের কর্মের ফল নিজেরাই পেল
মরণ ভাইরাস ঘরে ডেকে আনল
মৃত্যুকে সাথে ডাকলো,
সেও কি ছেড়ে কথা বলল?
নিজেদের পাপ নিঃশ্বাস ছড়িয়ে দিল
বিশ্বময় কি করুণদশা হায় হায়!
বিবেকহীন নির্মম দেশ,
কত নিরীহ প্রাণ কেড়ে নিল।
পাপের করালগ্রাসে পৃথিবী আজ ক্লান্ত
বড্ড অসহায় সে দেখে মৃত্যুর উল্লাস।
দুচোখে তার বইছে রক্ত অশ্রু
বুক ফেটে চৌচির।
কত অসহায়ের তীব্র আর্তনাদে
হচ্ছে অবিরত তার অন্তর দহন
অহরহ হৃদয় চিরে লাল উষ্ণ তরল ক্ষরণ।
উফ্ আর কত সইবে সে!
পৃথিবীর মানুষের আজ ঘরের দরজা বন্ধ
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
কত যে মানুষ নিরন্ন
কত মানুষ যে বিপন্ন
কত যে মন আজ বিষন্ন।
পৃথিবী জানতে চাইছে হে ঈশ্বর!
কবে ফিরতে পারবো আমি নিজের গতিতে?
সব যে যাচ্ছে থেমে দেখছো না?
আমি পৃথিবী বলছি হে ঈশ্বর আমায় বাঁচতে দাও।
হে ঈশ্বর আমি বাঁচতে চাই।
শিক্ষা হয়েছে ওদের ঢের
মুক্তি দাও এবার তুমি সব পাপীদের ,
নিরীহদের রক্ষা করো, দাও বাঁচতে ওদের ।
