বৃষ্টিস্নাত শহরের ইতিকথা
বৃষ্টিস্নাত শহরের ইতিকথা
রাত নামে আমার শহরের অন্তঃসারশূন্য অলিগলি পথে,
বৃষ্টি শুঁকছে ধুলোয় মেশা লালসার খুচরো পাপ।
সময়ের অন্তরালে চাপা পড়েছে অনেক নিবেদিতার শরীরের কষ্ট,
যখন কপালের কালো দাগে লেগেছে চন্দনের ফোঁটা।
আমার শহরে তখন তুমুল বৃষ্টি।
ভিজে গলিতে বসতবাড়ি, লোকজনের আনাগোনা।
চর্চা শুধু একটাই, সে ছিল অনন্যা।
তবু সে নিলো শহরের শেষ বিষাক্ত শ্বাস।
পুরুষোত্তের সংজ্ঞায় উঠছে মিছিলের লাশ।
কলরবের ফাঁকে মুখ লুকিয়ে ন্যায় বিচার!
আমার শহরে নেমেছে অশান্তির ঘূর্ণিঝড়।
আজ কচি-বুড়ো বয়সের নেই ফারাক, সবাই
তাই নীরব হতাশ।
ধর্ষণ-খুন আজ যেন সাত কাহিনীর প্রধান।
যাদৃশ্য বদলাচ্ছে নগরের রাত দুপুরের গল্প।
মানুষের শরীরে বইছে হিংস্র পশুর কালচে রক্ত।
মিশে আছে রগরগে চক্ষু পিপাসা, কাম লালসা।
ভদ্রতার কুড়ে ঘরে নেই মর্ষহীন কঠোর শাস্তি, বিধিব্যবস্থা।
আমার শহরের আনাচে কানাচে ঢুকেছে ওই টর্নেডো।
ঝড়ে উড়িয়ে দিক নোংরা মানসিকতার বর্বর বিংশ শতাব্দীর সভ্যতা,
ফুটুক চারিদিকে প্রথম সারির স্নিগ্ধ আলো।
হয়তো সেদিন মাতৃকোড়ে জন্ম নেবে আবার এক শিশু নিবেদিতা।
সিক্ত নয়নে হাসি মুখে দেখবে মাতৃত্বের ছায়া।
আমার শহরে বর্ষা ফিরবে, মেলবে প্রজাপতি ডানা।
ভিজব আমি তোমার আনন্দের অশ্রু কণায়,
বুক চাপড়ে বলবে সবাই আমাদের আর ভয় নাই ।
শরীরের কাপড়ে লাল দাগ হবে ফ্যাকাসে, মনের মাঝে
জাগবে ভালোবাসার উৎসব নীল আকাশে।
মায়ের বুকে সন্তানদের জন্য রাজিত হবে ভালোবাসা।
আমার শহরে মেঘলা রঙের সূর্য্য দেবে সুস্থ সমাজের দিশা।
_________