আধুনিক বাঙালিয়ানা
আধুনিক বাঙালিয়ানা


বাঙালিয়ানা সময়ের আয়না, বাঙালির প্রতিচ্ছবি।
যুগের ইশারায় বদলাচ্ছে বাঙালির চলন-বলন।
ধুতির চলন উঠেই গেছে, পাঞ্জাবীটা এখনো আছে।
মেয়েদের হাজার পোশাকের মাঝে শাড়িতে মন আজও মজে।
দুধে-ভাতে বাঙালি, মাছে-ভাতে বাঙালি,
সুড়সুড়ি গায়ে মাখে ইতিহাসের পথে ঘাটে।
চায়ের কাপেতে চুমুক, আড্ডা যেখানেই জমুক,
তর্কের মগজে শান পড়ে দিনে-রাতে।
কুসংস্কারের কাঠি গায়ে বেঁধে বিজ্ঞানেতে সোজা যায় হেঁটে।
উৎসবের খোঁজ রাখে অলস দুপুরে ভাত-ঘুমের বিরতিতে।
বিরিয়ানির যুগেও বাঙালি করে ঘি-ভাতের গল্প।
রোজ রাতে ঘুম না এলে চলে সংসারের গল্প।
কম্পিউটারের যুগেও বাঙালি হিসেব রাখে লাল খাতায়।
পয়লা বৈশাখে হালখাতা করে, থাকে ক্যালেন্ডার, মন্ডা-মিঠাই।
বাঙালির শৈশবে দিদা ঠাকুমা রেখে যায় রূপকথা ও ভূতের ভয়।
জন্মদিনে পায়েস ভরা বাটি খাঁটি বাঙালির পরিচয়।
বাঙালি পুরুষেরা ভুঁড়ির যত্ন নেয়, থাকে বেশ খুশি।
মহিলারা লাল টিপেতেই লাগে মনোরমা রূপসী।
আমরা বাঙালি
বাংলা ভাষায় খাই, বাংলা ভাষায় ঘুমাই।
বাংলা সাহিত্য শিরোনামে থাকলে
গর্বে বুকটা ভরে যায়।
বাঙালি এখন অনেক আধুনিক দমিয়ে রাখা সহজ নয়।
দম দেওয়া ঘড়িতে বাঙালিয়ানা মাপা বৃথা তাই।
---------