বকুনি ২
বকুনি ২
এই পৃথিবীতে অস্তিত্বশীল মানবসত্তা অর্থাৎ ডাজাইনের একমাত্র সত্য হল উদ্বেগ উদ্বেগ নির্ধারণ করে মানবসৃষ্ট যা কিছু সে সাহিত্য হোক বিজ্ঞান হোক আর দর্শন যে পৃথিবীতে ঈশ্বর মৃত কোন আশ্রয় নেই মানুষের কাছে ঠাই নেওয়ার মতো কোনো সম্বল নেই সেই পৃথিবীতে উদ্বেগ একমাত্র সত্য নিটশের দর্শন বিকৃত করে তৈরি হয়েছে নাজিবাদ হিটলার হয়েছেন অতি মানব অথচ নিচ্ছে কিন্তু উন্মাদ ছিলেন অন্তত জীবনের শেষ দশ বছর তিনি উন্মাদ অবস্থায় কাটিয়েছেন বদ্ধ উন্মাদ একটি ঘোড়াকে বেত্রাঘাত করতে দেখে ক্রন্দন করিতে করিতে তিনি সরিয়ে দেন শোহিস কে ও ঘোড়াটির আপাদমস্তক জড়িয়ে ধরেন সুতরাং বুঝতেই পারছেন যিনি ঈশ্বর মৃত ঘোষণা করেছেন তার প্যারাডক্স ঈশ্বর হয়ে দাঁড়ালেন স্বয়ং মানুষ মানুষই হয়ে উঠল ঈশ্বর জার্মান জাতীয়তাবাদের কাছে হিটলার ছিলেন ঈশ্বর ঈশ্বর ও তার অভাব সেই সময়ের পর থেকেই মানব সভ্যতা ও ব্যক্তিসত্তাকে কন্ট্রোল করছে যে পৃথিবীর কোন ধারক নেই বাহক নেই সেই পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব কি বাতুলতা মাত্র যদি বলি বিজ্ঞান ঈশ্বরের দিকে যাচ্ছে যদি বলি বিজ্ঞান পিছন দিকে যাচ্ছে যদি বলি বিজ্ঞান গ্যালিলিওর আগে চলে যাচ্ছে তাহলেতো বিজ্ঞানকে মৃত বলে ঘোষণা করতে হয় অনুবাদ সম্ভবপর নয় অন্তত দেরিদীয় স্হগন সে কথাই বলে ভাষার কোন অস্তিত্ব নেই এই ব্রহ্মাণ্ড এর কোন শুরু নেই কোন শেষ নেই বিগ ব্যাং তত্ত্ব অন্তত আমি বিশ্বাস করিনা আমি মাল্টিভার্সে বিশ্বাস করি আর তার কোনো শুরু থাকতে পারেনা কোন শেষ হয় না এখনো ঠিক তাই লিখন ঠিক তাই এর কোন শুরু নেই কোন শেষ নেই অতএব আমার এই কবিতা চিরকাল চলবে আমার এই প্রবন্ধ চিরকাল চলবে আমার এই গদ্য চিরকাল চলবে আমার এই ধারাবাহিক উপন্যাস চিরকাল চলবে এর কোনো শেষ নেই এর কোন শুরু নাই অদ্বয় অদ্বৈত ও অসমাপ্ত।
