বাংলার কোলে
বাংলার কোলে
হে অনন্ত, ডানা মেলে যাব উড়ে বিহঙ্গের সাথে,
সূর্যের মলিনতা ঢাকে আলোর কুয়াশায় শিশির ভেজা প্রাতে।
ঘুম ভাঙে ছাদের চিলেকোঠায় আলোর গভীরতা মেপে,
অগভীর নিদ্রায় রাতের বিশ্রী স্বপ্নেরা আচমকা ওঠে কে৺পে
পাশেই বিলের জলে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে নীল মাছরাঙা,
শৈশব চুরি করে নিয়ে গেছে কচি-কাচাদের কুমীরডাঙা।
হে অসীম, নীল আকাশে রৌদ্র ফেটে বৃষ্টি হয়ে শেষে
সবুজ পাতায় বিশ্ব নাচে সালোকসংশ্লেষে।
ফুলের কুঁড়ি পাপড়ি মেলে ইতি উতি চায়,
অলীর ছোঁয়ায় মধুর স্বাদ মাদক হয়ে যায়।
ক্ষ্যাপা বাউল গ্রামের পথে একতারাটি সঙ্গে নিয়ে,
ছিন্নতারে ও পোষ মেনেছে খঞ্জনা আর বন্য টিয়ে।
নাম না জানা ডাগর নয়না আজকে নীলাম্বরী,
কুন্দ ফুলের ললন্তিকায় সেজেছে কিন্নরী।
কাজলা দিঘীর ময়নামতী কলসী কা৺খে নদীর বা৺কে,
সূর্যিমামা পাটে বসে রঙ বদলায় গোধূলীর ফা৺কে।
শীতের চাদর বিছিয়ে পালায় সাদা বকের পালক,
মার্বেল গুলি হারিয়ে দুঃখী পাঠশালা ফেরৎ বালক।
জোছনা আমার জানালা দিয়ে গুপ্তচরের বেশে,
ধুর ছাই মন বসেনা পড়াশুনায় যাবো রূপকথার ওই দেশে।
চন্দ্র আমার কলঙ্কেতে মুখ ঢেকেছে মেঘে,
ক্লান্ত আমার লক্ষ্মীপে৺চা রাত্রি জেগে জেগে।
এমন শস্য শ্যামলা সোনার বাংলায় জোনাকীরা ওঠে জ্বেলে
বারবার যেন আসি ফিরে আমি এই বাংলারই কোলে।