অল্প স্বল্প গল্প
অল্প স্বল্প গল্প
এমন একটা সময় ছিলো, শুরু হতেই শুধু অপেক্ষা ,
গল্পের রেলগাড়িটা এমন ভাবে ছোটা শুরু করতো!
হয়তো আমাদেরই কারো একটু ঠোকা লেগে।
তারপর স্পিড কন্ট্রোল হারাতো, আর চলতো বেগে।
কখনও কখনও যে করতো নিজেই ট্র্যাক পরিবর্তন!
কিছুতেই পারিনি বুঝতে, সব গল্পই যে মনের মতন।
যেকোনো একজন নিয়ে যেতো তার ছোটোবেলায়,
না জানা সেই ঘটনার সারি সারি ছবির মেলায় !
দেখতে পেতাম সেসব, অন্য জন অতি অবহেলায়।
যেন পুরোটাই কোনো এক পুতুল নাচের গল্প কথা,
আবার চলতো আমার ইচ্ছে মত বিরতি হেথা হোথা।
স্টেশন কিংবা হল্টের জন্য ওয়েট করার নিয়ম নেই,
ট্রেনকে থামতে হতো আমাদের খুশী বা দরকারেই।
কিন্তু বেশী কথা বললে যা হয় আর কি !
না, না, নয় এটা কোনো রকম ইয়ারকি !
আসলেই কখনওই এতো বেশী কথা বলা উচিত নয়,
কথার পিঠে কথা বলতে বলতেই কথার অমিল হয়।
তা থেকেই মনোমালিন্য বা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে যায়,
তখন লকডাউন ছাড়া আর থাকেনা কোনো উপায় ।
ব্যস! শুরু হয় মাথাব্যাথা, চোখের জলের বানভাসি,
মনটা সদাই খারাপ, মুখ থেকে যায় যে উড়ে হাসি।
"যত হাসি তত কান্না, বলে গেছে রাম স্যান্না"
কথাটা কে যে প্রথম বলেছিলেন, তা আমি জানি না।
আর এই রাম সেন বা স্যান্না যেই হোন, বিচক্ষণ বটে!
এমন কথা,অভিজ্ঞতা থেকে হয় তৈরী, এভাবেই রটে।
মনের টান গাঢ় হলে, হঠাৎ করে, ফের ভাব হয়ে যায়,
এটাই তো মনের কষ্ট দূর করার একমাত্র উপায়।
মনে মনে বাপু,আমি একা একাই বেশ কান মলা খাই,
বুঝি হয়তো, বেশীবেশী কথা বলা, কাজের কথা হয়।
সবসময় খুশী থাকতে, ভালো অল্প স্বল্প গল্প করাই।