STORYMIRROR

Koushani Paul

Tragedy Inspirational

3  

Koushani Paul

Tragedy Inspirational

যোগ্য জবাব

যোগ্য জবাব

11 mins
240

- মাম্মা , স্কুলে গিয়ে কিন্তু একদম কাদবে না । ওখানে কিন্তু আমি থাকব না

ছোট্ট ৪বছরের মেয়ে অনামিকাকে স্কুলের জন্য রেডি করিয়ে দিতে দিতে বললো আদৃতা 

- তেনো দো মাম্মা , অ্যান্টি লা তি থুব লাদি হয় ??

- না অ্যানা , ma'am রা একদম রাগী হয় না

- তাহলে আমি তাদবো তেনো (অ্যানা )

- উফ্ বাবা কি প্রশ্ন !! হ্যা রে তুই কি question bank ??

- তশ্চেন বান্ত মানে তি ?( অ্যানা )

- জানি না বাবা , নে তুই একদম ready ; এক্ষুনি বাস কাকু চলে আসবে । নে এই দুধটা খেয়ে নে

- থিতাছে দাও

- অ্যানা , রত্না মাসির কথা শুনিস কিন্তু

- না লতনা মাছি ভালো না , খালি leaves খাওয়ায়

- কিন্তু অ্যানা , শাক সবজি না খেলে তো তুমি বড়ো হবে না

পিপ পিপ পিপ পিপ

- মাম্মা , বাত তাতু মনে হয় এতে গেতে

- হ্যা এই নাও ব্যাগ আর water bottle আর পুরো টিফিন টা finish করবে । ও আর একটা কথা , বাইরে কেউ কিচ্ছু দিলে নেবেও না আর খাবেও না । ওরা কিন্তু ভালো ভালো জিনিস খাইয়ে অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেয় , ওখানে মাও থাকেনা আর রত্না মাসিও থাকে না ( আদৃতা )

- ওলে বাবা লে , নানা আমি তিত্তু তালোল থেতে নেবো না

- আচ্ছা bye , মন দিয়ে পড়া শুনো

- bye mamma


মেয়েকে স্কুলের জন্য বের করে দিয়ে চায়ের কাপটা নিয়ে বসলো আদৃতা । না রত্নার আসতে আসতে সকাল ১০টা আর এখন সবে সকাল ৭টা । চা টা খেতে খেতে ৩বছর আগের পুরোনো স্মৃতিতে ডুব দিলো আদৃতা ।

ছোট্ট মেয়েটাকে নিয়ে যখন শশুর বাড়ির সদর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো তখনই বুঝে গেছিলো যে ওকে বা ওর মেয়েকে এবাড়ির কেউই মেনে নেবে না ।


Flashback এ , 

ক্রিং ক্রিং ক্রিং ক্রিং

- উফ্ আবার কে এলো ( দরজা খুলতেই আদৃতা কে মেয়ে কোলে দেখে বেশ অসন্তুষ্ট হলেন তার শাশুড়ি , সুজাতা । কি চাই বাছা তোমার এখানে ??

- মা , দেখুন আপনার নাতনি

- ও আমার নাতনি না , ও একটা অপয়া । ও হওয়ার পরই আমি নিজের স্বামীকে হারালাম

- কিন্তু মা এতে ওর কি দোষ

- চুপ করো তুমি , একে তো এমন মেয়ের জন্ম দিয়েছো যে আমার বাবাকে খেয়ে নিলো তারপর আবার মায়ের মুখের ওপর কথা বলছো ?? তোমার সাহস তো কম নয় !


- কি সব বলছো তুমি ?? ও আমার আমার একার মেয়ে , তোমার নয় ?

- একটাও কথা বলবে না , বেরিয়ে যাও এখান থেকে

- মা দাদাভাই , বৌদিদি কে কি সব যা তা বলছিস তোরা

- তুই চুপ কর , আর্যা !! যা বুঝিস না তাই নিয়ে কথা বলিস না

- কি হলো কি ? তুমি নিজে থেকে যাবে নাকি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবো ?


- না তার আর প্রয়োজন নেই , আমি নিজেই চলে যাচ্ছি । তুমি ডিভোর্সের notice টা পাঠিয়ে দিও আমি sign করে দেবো । আমার যা educational qualification তাতে আমি একটা না একটা চাকরি ঠিক জোগাড় করে নেবো । আর মা , অর্ক আমি তোমাদের দুজনকে কথা দিচ্ছি , আমি আমার মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করে দেখিয়ে দেবো at any cost । একদিন আমার মেয়েরই পায়ে এসে পড়তে হবে তোমাদের (আদৃতা)

- হু

- বৌদিদি , তুমি যেও না বৌদিদি । আমি কার সাথে গল্প করবো বলো ? যেও না তুমি

- না আর্যা , আমায় যেতেই হবে । তুমি ভালো থেকো


ওখান থেকে বেরিয়ে আদৃতা ঠিক করলো যে বাপের বাড়ি ও যাবে না কারণ ওখানে গেলে আবার ওর বাবা মা ওকে adjust করার advice দিয়ে শশুর বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেবে । তাই ও সোজা চলে যায় ওরই বন্ধু অনুষ্কার বাড়ি । সেখানে কয়েকদিন থেকে একটা multinational company তে চাকরি জোগাড় করে two roomed একটা তিন তলা বাড়ি কিনে মেয়েকে নিয়ে চলে আসে আর কয়েকদিন পর অর্কর ওকে notice পাঠাতে হয়নি বরং ওই অর্ককে ডিভোর্সের notice পাঠিয়ে দেয় এবং ওদের divorce টা হয়ে যায় । আর এখন ওর নিজেরই একটা বিজনেস আছে যদিও এতে ওকে 90% সাহায্য করেছে অনুষ্কা

বর্তমানে , 


- দিদি , ও দিদি

- হ্যা কি ? ও রত্না দি তুমি এসে গেছো ?? (আদৃতা)

- হ্যা আপনি স্নান করতে যাবেন না ?(রত্না)

- ৯টা বেজে গেছে না ? যাই স্নান টা সেরে আসি (আদৃতা)


সন্ধেবেলা , 

- লতনা মাসি , মাম্মা তথন আব্বে ?? (অ্যানা)

- এই তো বাবু , এক্ষুনি চলে আসবে তোমার মা (রত্না)

- তুমি লোজ লোজ আমায় তেনো এথব থাওয়াও ? আমাল ভালো লাদে না (অ্যানা)

- কি ভালো লাগে না আমার অ্যানা ডার্লিং এর (আদৃতা)

- মাম্মা !! তুমি এতে দেথো (অ্যানা)

- হ্যা সোনা , তা তোমার কি ভালো লাগে না (আদৃতা)

- দেখো না দিদি অনুকে কখন থেকে বলছি এটা খেয়ে নিতে কিছুতেই খাচ্ছে না

- দেথো না মাম্মা , লতনা মাছি লোজ লোজ আমায় হল্লিত ( হরলিক্স ) তলে দেয় , আমাল থেতে এদ্দম ভালো লাদে না

- আচ্ছা মাম্মা তুমি যদি হরলিক্স না খাও তাহলে তুমি গায়ে জোর পাবে কি করে ?

- হ্যা দায়ে দোর না পেলে তুলে মাল্পিত তব্ব টি তলে ?

- অ্যানা , স্কুল টাকি মারপিট করার জায়গা ?

- মাম্মা , অন্তুষ আমায় থুব দালায় , তনদিন আমি আমি অতে পিতিয়ে দেবো (অ্যানা)

- আচ্ছা আচ্ছা বেশ বেশ , স্কুলের গল্প পরে শুনবো । এখন তো অ্যানার জন্য অ্যানার তার favourite food এনেছে

- তি থাবার মাম্মা ?

- মোমো !

- আমাল পিয় থাবার !

- হ্যা তো , রত্না দি এই নাও এটা তোমার জন্য

- ওমা দিদি আবার আমি কেনো

- তুমি কেনো মানে ? রত্না দি , অ্যানা আর তুতুল একদম এক বয়সী । আমি আমার মেয়ের জন্য আনবো আর তোমার মেয়ের জন্য আনবো না ? যাও এটা নিয়ে বাড়ি চলে যাও । গরম গরম খাইয়ে দাও


রত্না মাসি চলে যাওয়ার পর , আদৃতা অ্যানা কে পড়াতে বসায় । 

রাত্রিবেলা dinner করতে বসে , 

- মাম্মা , আমাল এত্তা পশ্ন আতে ?

- কি বলো (আদৃতা)

- আত্তা মা আমাল পাপা তথায়

- হঠাৎ এই প্রশ্ন কেনো আমার অ্যানা রাণীর মুখে ?

- দানো মা আদ অন্তুশ বলেথে আমাল নাতি পাপা নেই

- তা তুমি কি বললে ?(

- আমি পত্ত দবাব দিয়ে দিয়েথি যে আমার মাই আমাল মা আল মাই আমাল পাপা

- বাঃ তুমি স্পষ্ট জবাব দিয়ে দিয়েছো , very good very good

- মাম্মা এবাল আমাল birthday তেলেবেতান ( celebration ) হবে না ?

- ওমা হবে না কেনো এবার আমার অ্যানা 5 years old হবে , আর তার birthday celebration হবে না ?? হবে তো

- মাম্মা দানো আমাল না থুব তত্ত্ব হয় দথন আমাল ফেন্ডস দেল বাবালা তাদের দিতে ইত্তুলে আতে

- মন খারাপ করে না অ্যানা । তোমার পাপা আমাকে বা তোমাকে কাউকেই পছন্দ করে না । সে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে নিজের ইচ্ছায় (

- কেনো তলে দেথে ?

- বড়ো হও বুঝতে পারবে , কেমন ?

- আত্তা


এরপর কেটে যায় অনেক অনেক গুলো বছর । আর এই এতো বছরে অনামিকার বাড়িতেও অনেক কিছু পাল্টেছে । আদৃতার অনুরোধে অনুষ্কা তার মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে সেন বাড়িতেই থাকে । বর্তমানে , অভ্রও সেন creation's এর managing director । আসতে আসতে অ্যানা বড়ো হয় তার সঙ্গে হয়ে ওঠে খুবই মেধাবী ছাত্রী । স্কুলে প্রত্যেক বছর প্রথম হয় । মা অন্ত প্রাণ । আজ সে ২৫বছরে পদার্পণ করতে চলেছে । এখন সে একজন সফল ডাক্তার , world এর top 5 heart surgeon দের মধ্যে অন্যতম , এখন সে আর শুধু অনামিকা সেন নয় , Dr অনামিকা সেন ।


আজ সকাল থেকে আদৃতা ভীষণ ব্যস্ত কারণ আজ ওর মেয়ের জন্মদিন আর আজই ওর মেয়ে ইন্ডিয়ায় ফিরছে ৫বছর পর । যদিও এই ৫ বছরে মায়ের সাথে তার নিয়মিত কথা হয়েছে । জন্মদিনটা অবশ্য ওদের ওই তিনতলা বাড়িটাতেই হবে। 

- কি গো তোমাদের হলো সাজানো , ঠিক করে সাজাবে কিন্তু । আজ আমার অ্যানা ডার্লিং ফিরছে তারপর অনেক গেস্ট আসবে

- এই তো হয়ে গেছে ম্যাডাম

- অনুষ্কা ক্যাটেরের দের ফোন করেছিলি ? ওদের বলবি সবথেকে best টা যেনো আনা হয় আমার মেয়ের জন্মদিনে

- আচ্ছা দিতি , তুই আমায় কোনো কাজ দিয়েছিস আর আমি সেটা করিনি , এমন কখনো হয়েছে ?

- ওরে বাবা , তোর সঙ্গে আমি কথায় পারবো না । আচ্ছা বলছি অভ্র কোথায় রে ?

- সে তো সেই সাত সকালে স্নান করে বেরিয়ে গেছে তার strawberry কে আনতে

- সত্যি , অভ্র পারেও বটে )

- মনি !!

- ওমা আয়ু তোর হয়ে গেছে ?

- মানী দেখো , দিদিয়ার জন্য welcome cake টা

কেমন হয়েছে ?- বাঃ অপূর্ব !! আমার আয়ু ডার্লিং তো খুব কাজের !!(আদৃতা)

- তুই আর ওকে মাথায় তুলিস না দিতি 😏😏(অনুষ্কা )

- এই তুই ওকে সব সময় এমন করিস কেনো রে ?(আদৃতা)

- আরে মনি , তুমি জানো না ? ( আয়ুশি )

- ওমা কি ?(আদৃতা)

- আরে তুমি জানো না , আমার মা রাক্ষস লগ্নে জন্মেছিলো ?😂😂😂( আয়ুশি )

- মার খাবি চিনি ( আয়ুসি র ডাকনাম ) (অনুষ্কা )

- আচ্ছা বাবা তোরা ঝগড়াটা থামা (আদৃতা)


ওইদিকে airport এ , একটা মেয়ে চোখে sunglass , ঠোঁটে nude lipstick , মুখে একদম হালকা মেকআপ , পরনে একটা jeans আর একটা top 

- strawberry !!! কত্ত বড় হয়ে গেছিস মা !!( অভ্র )

- মেসো মনি !!! একি তুমি এরকম দাদু মার্কা হয়ে গেছো কেনো ?? কালকেই তোমায় hair colour করে দিতে হবে (অ্যানা)

এরপর ওরা press conference এর সাথে কিছুক্ষন কথা বলে বাড়ি ফিরলো 


বাড়িতে পৌঁছতেই অ্যানা দেখে সারা বাড়ি অন্ধকার । 

- মাম্মা ! মনি ! চিনি ! (অ্যানা)

পিছন ফিরে দেখে অভ্রও নেই 

- একি রে বাবা , সবাই গেলো কোথায় ?(অ্যানা)

যতই বড় ডাক্তার হোক না কেনো অ্যানা এখনো ভূতে প্রচন্ড ভয় পায় ।

- ও মাম্মা , তোমরা সবাই কোথায় গেলে ? (অ্যানা)

হঠাৎ সব লাইট জ্বলে ওঠে আর সবাই একসাথে গান করে - happy birthday to you , happy birthday to you , happy birthday dear অ্যানা , happy birthday to you !!!!!!

অ্যানার চোখের কোন টা চিকচিক করে ওঠে 

- মাম্মা !!!(অ্যানা)

- অ্যানা ডার্লিং !! কেমন আছো dear ??(আদৃতা)

- bindass !! তোমরা ??(অ্যানা)

- আমরাও ভালো আছি রে দিদিয়া , তুই চল ওপরে । আজ সব তোর favourite রান্না হয়েছে । তারপর আবার রাতে party আছে ( আয়ুশি )

- হ্যা চল (অ্যানা)


ঘরে গিয়ে অ্যানা চমকে যায় , এই ৫বছরে এই ঘরটার একটা জিনিসও এদিক থেকে ওদিক করা হয়নি ; যেমনটি রেখে গেছিলো তেমনি আছে । ও সারা ঘরটা একবার ঘুরে , teddy গুলোকে আদর করে স্নান করতে চলে গেলো ।


সন্ধ্যেবেলা , অ্যানা খুব সুন্দর করে সাজে । পরনে একটা black coloured stylish gown , এক হাতে diamond এর একটা bracelet , ring finger এ একটা diamond ring , গলায় একটা সরু diamond chain , মাথায় একটা designer diamond crown , কানে একটা diamond earrings , পায়ে একটা Stiletto আর মুখে সামান্য makeup ।


আয়ুসিও কম যায় না । ও পড়েছে একটা black one piece , তার সঙ্গে একটা diamond chain , একটা diamond earrings , একটা diamond ring আর তার সাথে একটা Stiletto আর ওরও মুখে হালকা মেকআপ ।





ওদিকে আদৃতা আর অনুষ্কা black নেটের শাড়ি আর তার সঙ্গে সামান্য কিছু ornaments আর পায়ে high hill balley shoes আর অভ্র পড়েছে একটা একটা white shirt , black suit আর পায়ে একটা snickers ।


কিছুক্ষণ পর , সব guests , press media র লোকজন চলে আসে এবং cake কাটা হয়ে যায়। 


বেশ অনেক্ষণ পর , 

- happy birthday অ্যানা !! ( আগন্তুক )

- মাম্মা , এই লোকটা কেনো এসেছে এখানে (অ্যানা)

- আঃ অ্যানা , উনি তোমার বাবা হন আর ওনাকে আমি invite করেছি (আদৃতা)

- কি তুমি করেছো !!! কেনো মা ? তুমি কি সব ভুলে গেছো ?(অ্যানা)

- না অ্যানা , আমি ভুলিনি । আজ আমি ওনাকে শুধু মাত্র এটা দেখাতে invite করেছি যে আমি আমার করা promise রাখতে পেরেছি । কি অর্ক , দেখো আমি কিন্তু আমার promise রেখেছি , আমার মেয়েকে আমি মানুষের মতো মানুষ করে তুলতে পেরেছি । আজ সে world top 5 heart surgeon দের মধ্যে অন্যতম , জগৎ শ্রেষ্ঠ !!(আদৃতা)

- অ্যানা আমারও মেয়ে আদৃতা ( অর্ক )


- না !!! ও তোমার মেয়ে নয় , ও শুধু আমার । ওর ১দিন বয়সে যখন hospital থেকে ফিরে আমি তোমাদের বাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন নির্দ্বিধায় আমায় বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলে , একবারও ভেবেছিলে যে এই দুধের শিশু টাকে নিয়ে আমি কোথায় যাবো ? এই ২৫বছরে একবারও খোঁজ নিয়েছিলে আমার বা আমার মেয়ের ? আর এখন এসেছো পিতৃত্ব ফলাতে ?

- আমায় ক্ষমা করে দাও আদৃতা , আমি মানছি আমি ভুল করেছি

- সব অন্যায়ের ক্ষমা হয়না , যে মেয়েকে তুমি আর তোমার মা অপয়া বলেছিলে সেই মেয়ে আজকে ডাক্তার

- মারে তুইও আমায় ক্ষমা করবি না ?

- কেনো আমি তো অপয়া ? আজ আপনাকে আমার বাবা বলতে লজ্জা করছে

- অ্যানা !

- shut up Mr Sen !!! ওই নামে ডাকার অধিকার শুধু আমার আপনজন দের আপনার নয় । স্কুলে যখন সবার বাবা মা আনতে যেতো তখন আমার কষ্ট হতো , কিন্তু তখন আমি অনেক টাই ছোটো তাই বুঝতে পারিনি যে আপনার মতো মানুষও বাবা হয় !! কিন্তু বড়ো হওয়ার সাথে সাথে আপনার পরিচয় টা আমার কাছে জলের মতো স্বচ্ছ হয়ে গেছে । আসুন আমার সাথে

- অ্যানা মা , কোথায় যাচ্ছো ?

- আসছি মাম্মা

বলে অনামিকা অর্ক কে স্টেজে নিয়ে ওঠায় ।

- hi guys !! Today is my birthday , that's you all know . But on this there is another event also . Today I'm going to tell you my life story which is not very usual like others . এই যে মানুষটা আমার পাশে দাড়িয়ে , ইনি হচ্ছেন আমার বাবা । আমার যখন একদিন বয়স তখন আমাকে আর আমার মাকে ইনিই বাড়ি থেকে বের করে দেন । সেই আমার মায়ের struggle শুরু । আমায় একা হাতে বড়ো করে তোলা , নিজের business সামলানো , এতো বড়ো একটা সাম্রাজ্য গড়ে তোলা সবই আমার মায়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল , হ্যা এখানে আর দুজনের নাম না উল্লেখ করলেই নয় । তারা হলেন আমার মনি আর মেসো মনি , Mrs অনুষ্কা চ্যাটার্জী আর Mr অভ্রদীপ চ্যাটার্জী যারা আমাদের দুঃসময়ে আমাদের পাশে দাড়িয়ে ছিলেন till now । আর এখন যখন আমি আমার মা দুজনেই well established তখন আমার so called বাবা এসে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইছেন । এরপর আপনারাই বলুন আমার কি করা উচিৎ না ক্ষমা না করা উচিত ? (অ্যানা)

- ক্ষমা না করা !

- দেখলেন তো Mr Sen , সবাই এক কথাই বলছেন । So have something, enjoy the party and get lost

- আদৃতা আমাকে এভাবে insult না করলেই পারতে

- এটা আপনার প্রাপ্য Mr Sen , আর আমি বা আমার মা কারোর প্রাপ্য বাকি রাখি না । আপনিও আমার মাকে একদিন আপনাদের বাড়ির চৌকাঠে এভাবেই অপমান করেছিলেন , মনে পড়ে ? আর আমরা তো তাও আপনাকে বাড়িতে ঢুকতে দিয়েছি।Now get lost !

এরপর অর্ক বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় । আর অ্যানা আর আদৃতার মুখে ফুটে ওঠে প্রশান্তির হাসি , কথা রাখতে পারার হাসি আর অপমানের প্রতিশোধ নেয়ার হাসি ; হ্যা আজ ২৫বছর পর ওরা পেরেছে ওদের সেদিনের অপমানের যোগ্য জবাব দিতে ।


কিছু কিছু সম্পর্ক একবার ভেঙে গেলে আর জোড়া লাগে না । অর্ক , অ্যানা , আদৃতার সম্পর্কটাও এরকমই । 


সমাপ্ত


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Tragedy