জানি দেখা হবে ( পর্ব ১ )
জানি দেখা হবে ( পর্ব ১ )
একটা ২৫ বছরের ছেলে আরেকটা ২০ বছরের মেয়ে কানামাছি খেলছে
- কানামাছি ভোঁ ভোঁ যাকে পাবি তাকে ছোঁ
কানামাছি ভোঁ ভোঁ যাকে পাবি তাকে ছোঁ
- শুভ তুমি কোথায় ??
- এ বাবা পারেনা , পায়েল আমায় ধরতে পারেন এ বাবা
- ধুর !! এই বলে ও চোখের রুমাল টা সরিয়ে দেয়
এরপর দুজনেই হাসতে থাকে
হঠাৎ একটা গুলি এসে পায়েলের গায়ে লাগে
পায়েল !!!
তারপরের গুলিটা শুভর গায়ে লাগে
- শুভ !!!
তারপর ওরা হাত ধরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং মারা যায়।
আর এই পুরো ঘটনা টা দূরে দাড়িয়ে একটা বছর ২০ র যুবতী মুখে ক্রুর হাসি নিয়ে দেখে আর বলে - তোর খুব অহংকার ছিলো না পায়েল । সব ভালো জিনিস পৃথিবীতে তোর কাছে আছে । এটা তো হতে পারে না। শুভ আমার best friend জেনেও uncle তোর সাথে ওর বিয়ে ঠিক করলো । তোর সাথে শুভর বিয়ে হলে ও আমার সাথে আর আগের মতো কথা বলবে না , ঘুরতেও নিয়ে যাবে না । এমনিতেই সেদিন তোর সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি বলে আমাকে যা নয় তাই বললো , তার revenge নিতে হবে না আর তাছাড়া যদি আমি তোকে একা মারতাম তাহলে শুভ আমাকে সন্দেহ করতো । তাই তোদের দুজনকেই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলাম । হা হা হা হা হা হা হা
২৫ বছর পর
- Mom , mom খেতে দিতে বলো
একটা বছর ২৩ এর যুবক সিড়ি দিয়ে নামলো
একজন ৫৭ বছরের ভদ্রমহিলা - বলছি বেটা । ( চিৎকার করে ) মালতী , মালতী তাড়াতাড়ি ছোটো বাবুকে breakfast দাও ।
এরপর মালতী breakfast দিয়ে গেলো
- এতক্ষণ লাগে breakfast দিতে
একজন ষাটোর্ধ্ব ভদ্রলোক - আঃ রাগিণী , ওরা তো করছে
আশা করি বুঝতে ওই ভদ্রমহিলার নাম রাগিণী দেবী - দেবাশীষ তুমি চুপ করো , সব বিষয়ে কথা বলো না
একজন ৫৫ বছরের ভদ্রমহিলা - দিদিভাই , তুমিও একেবারে breakfast করে নাও না
রাগিণী দেবী - তুমি এই বাড়ির নিয়ম জানোনা শ্রীপর্ণা ? তুমি জানো না এই বাড়িতে সবাই একসাথে breakfast করে ? ঠাকুরপো কোথায় ?
শ্রীপর্ণা দেবী - দিদিভাই ও তো স্নান করছে । এক্ষুনি চলে আসবে
৫৬ বছর বয়সী দেবমাল্য। বাবু অর্থাৎ শ্রীপর্ণা দেবীর স্বামী ( একটু জোড়ে ) - আমি চলে এসেছি ( তারপর রাগিণী দেবীর দিকে তাকিয়ে ) মা.. নে আমি চ..লে এ...সছি । এই শ্রী আমায় breakfast দাও
হঠাৎ আরেকজন ৫৫ বছর বয়সী ভদ্রলোক এসে - দিদি , তুমি যে কাজ গুলো দিয়েছিলে সেগুলো হয়ে গেছে আর আজ কিন্তু চ্যাটার্জী industry র সাথে একটা মিটিং আছে
রাগিণী দেবী - ঠিক আছে , তুমি breakfast করতে বসো অমিত , খাওয়া হয়ে গেলে study তে এসো
অমিতবাবু - ঠিক আছে দিদি । এই সৃজিতা আমায় Breakfast টা দিয়ে দাও
রাগিণী দেবী - লাবণ্য , অনামিকা কোথায় ? ওর কি breakfast করার ইচ্ছে নেই ?
লাবণ্য দেবী - নানা বৌদি , আসলে ও এখনো ঘুম থেকে ওঠেনি
রাগিণী দেবী - What !! তোমাকে আর কতবার বলতে হবে ওকে তাড়াতাড়ি ওঠানোর জন্য । পড়াশোনা কি ছেড়ে দেওয়ার সখ হয়েছে
লাবণ্য দেবী অববিমান করেন।
দেবাশীষ বাবু - রাগিণী , অনু তো ছোটো
রাগিণী দেবী রেগে যান
এরপর ওরা breakfast করতে বসলো।
চলুন পরিচয় করিয়ে দিই নায়কের সাথে
এক্ষুনি যে ছেলেটা breakfast চাইলো সে হচ্ছে আমাদের নায়ক - ঋষি রায় চৌধুরী
বাবা - দেবাশীষ রায় চৌধুরী , একজন প্রকৃত ভদ্রলোক ও রায় চৌধুরী creation এর নামমাত্র মালিক
মা - রাগিণী রায় চৌধুরী , রায় চৌধুরী বাড়ির গৃহকর্ত্রী , রায় চৌধুরী creation এর ডিরেক্টর আর বাকি পরিচয় গল্পে পাবেন
বোন - তিতিয়া রায় চৌধুরী যে এখন বাড়িতে নেই , London এ আছে
মামা - অমিত সেন
মামী - সৃজিতা সেন
পিসি - লাবণ্য বাসু
পিসির মেয়ে - অনামিকা বাসু
কাকা - দেবমাল্য রায় চৌধুরী
কাকিমা - শ্রীপর্ণা রায় চৌধুরী
ঋষির কাকা কাকিমার একমাত্র মেয়ে আনোভী যে কিনা তার জেম্মার কথা মতো হোস্টেলে থাকে
চলুন ওদিকে দেখি আমাদের নায়িকা কি করছে ।
Mrs চ্যাটার্জী - মেঘা উঠে পর , অনেক বেলা হয়ে গেছে
মেঘ - উঠছি মাম্মা আর দু মিনিট
Mrs চ্যাটার্জী - দু মিনিট করতে করতে এক ঘন্টা হয়ে গেলো । এবার না উঠলে কিন্তু পাপা তোকে ফেলেই office চলে যাবে ।
মেঘা একলাফে উঠে বসে - হ্যা তাইতো , আমি তো আজ প্রথমবার office এ যাবো । নানা ওঠে পড়ি
একটা ১৯ বছর বয়সী মেয়ে ঘরে ঢুকে - দিভাই , মাম্মা পাপা কিন্তু খুব তাড়াহুড়ো করছে । তাড়াতাড়ি যাও
একটা ২৩ বছরের ছেলে - আরে অনু , মেঘের তো ১৮ মাসে বছর
মেঘা - দাদাভাই !!!
Mrs চ্যাটার্জী - অনি আমি কিন্তু রেগে যাচ্ছি
নীচ থেকে একজন ভদ্রলোক ডাক দিলেন - মেঘা , মেঘা মা তাড়াতাড়ি fresh হয়ে breakfast করে নাও । আমাদের কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই বেরোতে হবে
মেঘা - আসছি পাপা । মাম্মা , পৃথু মনে হয় অনেক্ষণ ধরে ফোন করছে । তুমি একটু রিসিভ করে কথা বলে নিও
চলুন পরিচয় করিয়ে দিই ।
আমাদের গল্পের নায়িকা - মেঘাশ্রী চ্যাটার্জী
বাবা - গৌতম চ্যাটার্জী
মা - অনুরাধা চ্যাটার্জী
বোন - অনুশ্রী চ্যাটার্জী
দাদা - অনির্বাণ চ্যাটার্জী
মেঘার কাকা কাকিমা ও ঠাকুমা এখানে থাকে না , ওদের দেশের বাড়িতে থাকে ।
চলবে .........