x=প্রেম
x=প্রেম
স্ট্যানফোর্ডের ডাকটা এত দ্রুত আসবে ভাবিনি । মেলে বলতে হলো , " ভিসার জন্য এখনও এক সপ্তাহ লাগবে । "স্ট্যানফোর্ড কর্তৃপক্ষ আপত্তি করলো না । আগামী সপ্তাহের রবিবার উপস্থিত হবো স্ট্যানফোর্ড ।
কিছুকাল আগে অবধি মানুষ মনে করতো প্রেমটা ধীরে ধীরে ক্রমে ক্রমে উপলব্ধ হওয়ার বস্তু । ওই লাভ অ্যাট ফার্ষ্ট সাইট এটা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি পায়নি ।আই.আই.টি খড়গপুর থেকে এ.আই এ পি.এইচ্.ডি করাকালীনই এই আবিষ্কারের ফর্মুলা বানাই । এমন এক এ.আই মেকানিজম যার মাধ্যমে একটা যন্ত্র আপনার সমস্ত ভাবনাচিন্তা প্রতিমুহূর্তে ডেটার মতো স্টোর করবে । কোনোভাবে কোনো মানুষের দিকে আপনি আকৃষ্ট হলে তার আসল কাজ শুরু হবে । যন্ত্রটি চিপের মতো শরীরের সংস্পর্শে থাকবে , আপনার ও অন্যজনের বাক্যালাপ একদিনেই রেকর্ড রেখে গাণিতিক উপায়ে বলে দেবে আপনার আকর্ষণ আদৌ ভালোবাসা কিনা ?
এক্ষেত্রে যদিও একটি অসুবিধা হলো উল্টোদিকের মানুষের ব্রেনের সিগন্যাল যথাযোগ্য বিশ্লেষণ করতে পারার কিছু প্রবলেম আছে । তার সাথে কোনোভাবে ওই যন্ত্রটি সংস্পর্শ ঘটাতে হবে ।
যাদবপুর বি.টেক লাস্ট ইয়ার । প্রথম রোবোটিক্স কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ । এমন এক রোবটিক ডিভাইস যা কিনা কেউ সত্যি না মিথ্যে বলছে বলে দেবে ও তার সামনাসামনি বলেই দেবে সে মিথ্যে বলছে ।
পারফেক্ট ডেমো যা বলে তাই হয়েছিলো আমার এই প্রথম আবিষ্কারের সাথে । ওই কম্পিটিশনে প্রথম হওয়ার প্রাইজ নিয়ে নামার পর প্রথম অদিতির সাথে দেখা । অদিতি সেকেণ্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট । ওরও একটা পেপার ছিলো । তবে কোনো ফিজিক্যাল ডেমো ছিলো না ।
ও আমায় স্টেজ থেকে নামতেই বলে , " তপোব্রত দা , কংগ্র্যাটস । "
আমি চিনতাম না । এমনিতে খুব একটা জুনিয়রকে চিনতাম না ব্যাক্তিগতভাবে । আমি " ধন্যবাদ " বলতেও ভুলে গেছিলাম , কেন কে জানে ওই প্রথম ও শেষবার কোনো মেয়ের দিকে তাকিয়ে মনেতে " ওরম তাকিও না " বেজে উঠেছিলো ।
ঘোর কাটলো একবার জোরে " কি গো " বলে ওঠায় ।
আমি ধড়মড়িয়ে বলে উঠলাম , " হ্যাঁ হ্যাঁ কি বলছিলি যেন ? "
অদিতি বললো , " বলছিলাম দারুণ বানিয়েছো । আমার রোবোটিক্স নিয়ে থাকতে বেশ লাগে । কিন্তু কিছু বানানো হয়নি আজ অবধি । ওই থিওরি অবধি । "
আমি বললাম , " আরে ঘাবড়াস কেনো ? সময় কি পালিয়ে যাচ্ছে ? প্ল্যান বানানো যে তোর ওই ডিভাইস বানাতে কি কি জিনিস লাগবে ? "
অদিতি বললো , " সেই নিয়েই একটু বসবো তোমার সাথে । প্রাইমারি স্কেচ করা কিন্তু ডিটেল দরকার । "
অদিতির সাথে রোজ দেখা হওয়ার সুযোগ পেয়ে মন তো তখন আকাশে ডানা মেলে উড়ছে । অদিতির ভাবনাটা বেশ নতুন ধরণের তবে বানানো ছিলো সহজ । যে কোনো রকম পশুর ডাক ডিভাইসে নিয়ে তার ভাবটাকে মানুষের ভাষায় পরিণত করা । ও ইভেন বাদুড় বা তিমির আল্ট্রাসনিক ওয়েভ রেকর্ড করে তারও ট্রান্সলেটের থিওরি ভেবেছিলো । তবে শ্রবণযোগ্য রেঞ্জের মধ্যেই ডিভাইস বানানোর প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত তাই তাকে আপগ্রেড করতে হলে বিদেশী নামী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করতে হত । তার সাথে এও বলা যে , ও রীতিমতো ভীতু , বাদুড়ের আওয়াজ তুলে আনার জন্য ব্যবস্থার কথা শুনে ও চোখগুলো বিস্ফারিত করে তোলে ।
আমি হেল্প করে দুমাস তিনমাসে জিনিসটা বানিয়ে ফেলতে পারতাম কিন্তু আমি ওর সাথে রোবোটিক্স সেশনে বসলে আধঘন্টা রোবোটিক্স নিয়ে কথা বলতাম আর ১ থেকে ১.৫ ঘন্টা আমাদের মধ্যের কথা ।
লাইব্রেরী বসে যে অতক্ষণ ধরে আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে বকি না সে বোঝার মতো ইন্টেলিজেন্ট লোকের অভাব নেই ।
একদিন টুপ করে ব্যাগ থেকে একটা কাগজ পড়তে অদিতি তুলতে গিয়ে দেখে ওকে নিয়ে লেখা কবিতা ।
পড়ে নিজের মনেই হেসে যায় । " তপোব্রত ( দা বলাটা আমি দ্বিতীয় দিনেই ছাড়তে বলেছিলাম ) এটা কি ? প্রথম দেখায় প্রেম হয় নাকি পাগল ? "
" ওরে পাগলী হয় রে হয় । "
" তুমি প্রেম বোঝো নাকি , খালি তো পড়াশুনা আর রোবোটিক্স । আমায় তুমি কতটুকু চেনো ? "
" এতটুকু " বুকের যে পাশটায় হার্ট সেটার আয়তনে হাত বড় করে বললাম ওকে ।
" শোনো শোনো আমার সবকথা বোধহয় জানো না ! আমার একটা প্রবলেম আছে । তার জন্য হয়তো কেউ আমায় মেনে নেবে না । "
" কি প্রবলেম শুনি ? আরও কেউ আছে লাইনে ? "
" আরে না , থামো তো । ওরকম মেয়ের দলে আমি পড়ি না । পিছনে দু তিনজন করে টাইমপাশ সামনে একজনের সাথে খোলামেলা আলাপ , ওই নোংরামি কি আমার আছে বলে মনে করো ? "
" না তা নয় , কিন্তু আর কি থাকতে পারে বল । "
" দেখেছো বিশ্বাসই করো না আমায় , আর নাকি আমায় প্রপোজ করবে ! "
ব্যাস হয়ে গেলো । এ.আই মাথায় থাক । ওকে তখন সামলাই কী করে ? ওর অভিমানের কারণ আছে বৈকি ! হয়তো সিরিয়াস কিছু , আমি খিল্লি করে দিলাম । আমি এবার ওর ওড়না ধরে টান দিয়ে আটকাতে গেলাম ।
" আ: ছাড়ো । "
" ভুল হয়ে গেছে , ক্ষমা ক্ষমা । "
" ক্ষমা টমা নয় , আমি বিশ্বাস করি না প্রথম দেখায় প্রেম হয় । দুজনকে জানতে গেলে সময় চাই । তুমি এখন বলছো ভালোবাসো , কদিন পর তোমাকেই দেখবো ... যাক ছাড়ো । রোবোটিক্স নিয়ে আলাপ রোবোটিক্সেই শেষ করছি । "
বাপরে মেয়েদের এত মুড সুইং ! কবিতা পড়ে হাসলো , তারপর প্রবলেম নিয়ে পিছনে লাগলাম যেই অমনি অগ্নিশর্মা । কি এমন প্রবলেম ভাই , যে এতো রাখঢাক !
যাইহোক সেই যন্ত্রটা বানানো আর হয়ে ওঠেনি । যেটুকু ছিলো ও সেটা আমার কাছে ফেলে গেছিলো । ফাইনাল সেমের আগে শেষবার কলেজ ফেষ্ট । ঠিক করেছিলাম ঝিন্টি গাইবো । গাইলামও তাই ।
স্টেজ থেকে নামার পর দেখি এককোণে অদিতি গোমরামুখে দাঁড়িয়ে । " সরি তপোব্রত , আমি একটু বেশীই বোধহয় সেদিন ... । "
" আহা ভারী আদিক্ষেতা করতে এয়েচেন । যা যা তোর কথা শোনার ইচ্ছে নেই । "
" জানি খুব রেগে কিন্তু সত্যি কথাটা কি জানলে তুমি ... "
" তো বল সত্যি কীসের প্রবলেম ? সেটাই তো শুনবো বললাম , তুই নিতে পারলি না ইয়ার্কিটা । "
" বলবো , তবে আজ নয় । তুমি ঝিন্টি গানটার লাস্টটা নিয়ে ভেবেছো ? "
" কি এক্স = প্রেম ? "
" হুমম , তো বলছিলাম তুমি এ.আই দিয়ে প্রেমকে গাণিতিক ও যান্ত্রিক দুই উপায়ে বিশ্লেষণ করতে পারবে ? "
" ধ্যার তোর বাজে কাজ নিয়ে ভাবার সময় নেই । " রাগে টগবগে হয় গীটার নিয়ে যেন মাঠ চষে এগিয়ে গেলাম ।
সেই রাতে বারে বারে অদিতির মুখটা আর চ্যালেঞ্জটা মনে পড়ছিলো ।
যাদবপুরের পর অদিতি আমায় ফোন করতো মাঝেমধ্যে , আমি প্রায় একবছর রাগ পোষার পর গেট দিয়ে আই.আই.টি খড়গপুর পেয়ে সব রাগ চলে গেলো । দূর থেকেই কথা হতো । ও তারও পরের বছর বি.টেক পাশ করলো । টি.সি.এসে ঢুকলো । কি জানি ভেতর ভেতর কি মাত্রায় রিসার্চ করতো তো একদিন শুনি ওর পেপারের জেরে স্ট্যানফোর্ডে এম্.এস পড়তে যাবে । তখন আমি অলরেডি আমার বহু আকাঙ্ক্ষিত অদিতির প্রস্তাবিত যন্ত্র বানানোয় ফুলদমে লেগে পড়েছি ।
পি.এইচ্.ডি শুরু করলাম আজ দুবছর হতে চললো , ইতিমধ্যেই আই.আই.এস্.সি , টি.আই.এফ্.আর থেকে কল পেয়েছি ওদের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য ।
আমি চাইছিলাম স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতেই আমার ইনভেনশন নিয়ে বলবো । জার্নাল মেল করে দুসপ্তাহের মধ্যে ঘরে সায়েন্স মিটে আমন্ত্রণ করেছে দেখে চমকে গেলাম ।
খামে বানানটা ভালো করে দেখে উত্তেজনা দুগুণ হয়ে গেলো । সত্যই স্ট্যানফোর্ডের এ.আই ল্যাবে আমার এই ইনভেনশন গ্রাহ্য হয়েছে ।
এক মাস পরেই ওদের অ্যানুয়াল সায়েন্স মিট | কিন্তু ভিসা আসতে আসতে দেখলাম অনুষ্ঠানের দুদিন বাকি । তাই মেল লিখে পাঠালাম যে আমার আসতে দুদিন দেরী হবে , শনিবারের বদলে আসবো সোমবার ।
ওরা জানালো , নো প্রবলেম । আমি যথারীতি সময়মতো বেরিয়ে পড়লাম । রবিবার রাতে পৌঁছলাম ।
পরের দিন বিশ্বখ্যাত স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পা দিলাম । ক্রমে এগিয়ে এলো সেই বিশেষ মুহূর্ত । হলভর্তি লোকজনের মধ্যে এক্কেবারে পিছনের দিকে আমি কিন্তু একজনকে স্পষ্ট দেখলাম । অদিতি , সেই অদিতি , মনকেমনের অদিতি , খামখেয়ালের অদিতি ... ও এখানে আছে জানি | কিন্তু এখানে কি যারা পড়ছে তাদের সবাই উপস্থিত ? কই না , বাকিরা তো সকলেই বেশ অভিজ্ঞ ফ্যাকাল্টি মনে হলো ।
যাই হোক প্রেসেন্টেশনের টাইম এলো , যথাযোগ্য প্রেসেন্টেশনের পর সকলের মধ্যেই ডেমো দেখানোর জন্য প্রস্তাবের গুঞ্জরন ছড়াচ্ছিলো দেখে আমি আবেদন করলাম , " অ্যানি ওয়ান হু হ্যাস নিউলি ফেল ইন লাভ , প্লিজ কাম অন টু স্টেজ , মেক সিওর ইওর হি অর সি মাস্ট বি প্রেসেন্ট ইন দিস হল । "
একটা ছেলেকে দেখলাম দরজার বাইরে থেকে একজন ফ্যাকাল্টি বকতে বকতে আনছে । " যা বাবা , এ আবার কি , এখানে বকাবকি হয় নাকি ? তাও সব এতবড় বড় স্টুডেন্টদের সাথে ... কে জানে । " , মনে মনে বললাম ।
পরে বিষয়টা বুঝলাম । ওই ফ্যাকাল্টি জানতো ওই ছেলেটা হলে থাকা একটা মেয়েকে ভালোবাসে । সে এসে দাঁড়াতেই প্রফেসর মেয়েটিকে নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসে । আমি বলি , " প্লিজ কনভার্স নর্ম্যালি অ্যান্ড টেক দিজ ইন ইওর হ্যান্ড । "
হাতে যন্ত্রটা ধরিয়ে কনভারসেসন শুরু করলো । খানিকক্ষণের মধ্যেই যন্ত্রটিতে গ্রিন সিগন্যাল দিলো ও মেয়েটির হাতে দিতেও একই ফল । অতএব , লাভ সাকসেসফুল । হলভর্তি হাততালি । এরপর জোড়ায় জোড়ায় আসছে একই টেস্ট দিতে । সবাই স্টুডেন্ট । শুধু তিনজনের নেগেটিভ এলো অর্থাৎ শুধু আকর্ষণ ।
সবশেষ এলো ... একি অদিতি ! সে কিছু বলার আগেই একজন প্রফেসর বললেন , " কাম অন ডিয়ার নাও স্টার্ট ইওর কনভার্সেসন উইথ তপোব্রত । "
এর কি মানে ? ওদেরকে কি অদিতি আমার কথা ...
" এক্সকিউজ মি স্যার ... "
" নো এক্সকিউসেস ইওং ম্যান । "
বাধ্য হয়ে শুরু করলাম কথা বলা ।
" কেমন আছিস অদিতি ? "
" ভালো , তুমি ? "
" ভালো , তোকে ছাড়াই ভালো ... "
" আরে আবার কেনো ? ওসব তো কবেই মিটে গেছে । "
" আজ কিন্তু তোর কথামতো জিনিসটা বানিয়ে দিয়েছি । এবারে ... " বলতেই সবুজ সিগন্যাল ।
এবার অদিতির পালা । ও হাতে নিয়ে বললো , " আমি সেদিন লজ্জায় বলতে পারিনি । আমি কোনোদিন কনসিভ করতে পারবো না , পরীক্ষা হয়েছে প্রচুর । এইজন্যই আমাদের মধ্যে প্রেম সম্পর্ক হওয়া উচিৎ কিনা ভেবে পাচ্ছিলাম না । "
" ধন্যি মেয়ে তুই । ওই ছোট্ট প্রবলেমটাকে তুই ... আমি তোকে পেয়েই খুশি , আর কনসিভ না করতে পারলে বহু অন্য পদ্ধতি আছে । তুই আমি প্রাথমিকভাবে শুধু এক ... " কথা শেষ হলো না আরও একবার গ্রীন সিগন্যাল ও হলভর্তি হাততালি , দুজনে দুজনকে জড়িয়ে ধরলাম ।
ওর কাঁধে মাথা রেখে বললাম , " আমার প্রথমদিনের তোর সাথে দেখা হওয়ার রেকর্ড আছে সেটা এই যন্ত্রে ফেললে সেখানেও সবুজ সংকেতই পেয়েছি । সেসব এখানে তো দেখাতে পারি না , তোকে দেখাবো পরীক্ষা করে । "
" আর কিচ্ছু চাই না , আমি তোমার সাথে আলাদার পর থেকে প্রচুর কেঁদেছি , আমি পাগলীই বুঝলে । "
একজন মহিলা প্রফেসর এসে বললেন , " গিভ হিম আ কিস অদিতি । "
এবার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ | হলভর্তি লোকের মাঝে আমার ঠোঁটে ঠোঁট রাখলো সে ।
অনুষ্ঠান শেষে ইউনিভার্সিটির চত্বরে বেস্ট ইনভেনশন ফ্রম স্টুডেন্ট লিস্টে অদিতির নাম দেখে চমকে গেলাম । কানে এসে অদিতি বললো শুনলাম , " নিজে নিজে বাকিটা বানিয়েছি আমার সেই পশুর ডাক মানুষের ভাষায় পরিণত করার যন্ত্র । "
" বাহ আমি ভাবলাম ওটা তো আমার বাড়িতেই রয়ে গেলো ... কোনোই অগ্রগতি হলো না ... "
" এখানে আমি একজনের থেকে তিমির আওয়াজ পেয়েছি তাকেও কিন্তু ট্রান্সলেট করতে পেরেছি । "
" ব্রাভো লেডি ব্রাভো । "
আমি পরে শুনলাম দুদিন পরে অদিতির এম্.এস এর কনভোকেশন সেরেমনি | আরেব্বাস ! সব শুনে মনে হচ্ছে , " আদৌ সায়েন্স মিট ছিলো তো ? " পরে ওর কাছে জেনেছিলাম , প্রত্যেক বছর কনভোকেশনের আগে ওই বিজ্ঞান সম্মেলন হয় ।
যাক ডিগ্রি নিয়ে অদিতি দেশেই ফিরলো । দুজনেই ঠিক করলাম টি.আই.এফ্.আর এ জয়েন করবো , একবার অদিতির পি.এইচ্.ডি কম্প্লিট হলেই ।
১০ বছর পর
কর্মক্ষেত্রে সাকসেস পাওয়ার পর সেটল করলাম দুজনে । অদিতিকে নিয়ে লন্ডন যাচ্ছি ওর কনসিভ করার খুব ইচ্ছে , তাই টপ গাইনোদের দেখাচ্ছি । লন্ডনে কী হয় জানাবো । আমাদের সাথে থাকুন ।