ঠাকুরমার ঝুলি
ঠাকুরমার ঝুলি
ঠাকুরমা'র ঝুলি
–বালা-মা'র বুক-জোড়া ধন— এত কি ছিল ব্যাকুল মন।-ওগো।—
ঠাকুরমা'র বুকের মাণিক, আদরের 'খোকা খুকি'। চাঁদমুখে হেসে, নেচে নেচে এসে, ঝুলির মাঝে দে উকি! ওগো!
সুশীল সুবোধ, চারু হারু বিনু, লীলা শশি সুকমারি! দ্যাখ তো রে এসে খোঁচা খুঁচি দিয়ে ঝুলিটারে নাড়ি চাড়ি'।
ওগো!- বড় বৌ, ছোট বৌ। আবার এসেছে ফিরে সেকালের সেই রূপকথাগুলো তোমারি আঁচল ঘিরে'। ফুলে ফুলে বয় হাওয়া, ঘুমে ঘুমে চোখ তুলে, কাজগুলো সব লুটুপুটি খায় আপন কথার ভুলে। এমন সময় খুঁটে' লুটে' এনে হাজার যুগের ধূলি চাঁদের হাটের মাঝখানে, মা! —ধুপুস্ করা—
ঝুলি!!
He Ne He Ne Ne
হাজার যুগের রাজপুত্র রাজকন্যা সবে রূপসাগরে সাঁতার দিয়ে আবার এল কবে। হাঁউ মাউ কাউ শব্দ শুনি রাক্ষসেরি পুর— না জানি সে কোন দেশে না জানি কোন্ দূর। নতুন বৌ! হাঁড়ি ঢাক', শিয়াল পণ্ডিত ডাকে:- হেঁটে কাঁটা উপরে কাঁটা কোন্ রাণীদের পাপে?
তোমাদেরি হারাধন তোমাদেরি ঝুলি আবার এনে ঝেড়ে দিলাম সোনার হাতে তুলি'। ছেলে নিয়ে মেয়ে নিয়ে কাজে কাজে এলা— সোনার শুকের সঙ্গে কথা দুপুর সন্ধ্যা বেলা, দুপুর সন্ধ্যা বেলা লক্ষ্মি। ঘুম যে আসে ভূলি'। ঘুম ঘুম ঘুম ঘুমের রাজ্যে ছড়িয়ে দিও
—সুবাস কুম্ কুম্—
ঠাকুরমা'র
ঝুলি!গাছের আগায় চিক্মিক্ আমার খোকন হাসে ফিক্ -ফিক্ । নীলাম্বরীখান গায়ে দিয়ে, খোকার—মাসী এসেছে। নদীর জলে খোকার হাসি ঢেলে পড়েছে।
আয় রে আমার কাজলা বুধি, আয় রে আমার হুমো, গাছের আড়ে থামলো রে চাঁদ, আমার সোনার মুখে চুমো। ঘরে ঘরে লক্ষ্মীমণির পিদিম জ্বলেছে,
দেবতার দুয়ারে কাঁসর বেজে উঠেছে— নাচবে খোকা, নিবে প্রসাদ খোকন আমার গঙ্গাপ্রসাদ-
কোন্ স্বর্গের ছবি খোকন্ মর্ত্যে এনেছে?
ও খোকন, খোকন্ রে।
আর নেচো না, আর নেচো না, নাচন ভেঙ্গে পড়েছে।— দেখসে' আঙ্গিনায় তোর কে এসেছে!
আঙ্গিনেয় এলো চাঁদের মা
দেখসে' খোকন্ দেখে যা,
ঝুলির ভেতর চাঁদের নাচন্ ভরে' এনেছে।
ঝুলির মুখ খোলা,—
খোকার হাসি তোলা— তোলা—
ঠাকুরমা'র কোলটি জুড়ে কে রে বসেছে?
