Dibakar Karmakar

Romance Classics Others

2.6  

Dibakar Karmakar

Romance Classics Others

তোর ভালোবাসা

তোর ভালোবাসা

4 mins
489


রাধিকা বিদ্যাসাগর কলেজে পড়া একজন 2nd year er ছাত্রী। ও পড়াশোনায় খুব ভালো খুব ভালো। কারো সাহায্য করতে কোনদিন না করে না। কলেজে যাদের যখন প্রয়োজন সব কিছু দিয়ে সাহায্য করে। এবং কলেজে খুব রেগুলার থাকে । ক্লাসে সব শিক্ষকদের খুব প্রিয় ছাত্র রাধিকা। রাধিকার ভালো বন্ধু বলতে আছে শুধু পাঁচজন, বিমল, সুজাতা, সুরজ, কমল এবং সুরভী- ওরা সব সময় কলেজে মোটামুটি একসঙ্গে থাকে ওদের মধ্যে সুরভী শুধু আছে যার নাকি পাঁচটা বয়ফ্রেন্ড হয়েছে ।এই নিয়ে সুরভির খুব অহংকার সব সময় ও শুধু বয়ফ্রেন্ড , বয়ফ্রেন্ড করে থাকে ।সব ঠিকঠাকই চলছিল কিন্তু একদিন রাধিকা কলেজে আসেনি আসেনি আসেনি সবাই দেখে অবাক সবাই বলছিল এ রেগুলার মেয়েটা মেয়েটা কিভাবে আজকে কলেজ বন্ধ করলো ।সব বন্ধুরা ওকে ফোন করছিল কিন্তু পাইনি। অনেকদিন পর রাধিকা কলেজে আসে । সবাই দেখে অবাক ,সবাই ওকে বলছে বলছে কিরে কোথায় ছিলে এতদিন ,ও বলল কিছু না আমার শরীর খারাপ ছিল তাই আসতে পারিনি। এই কথা কথা বলে। এই কথা বলে রাধিকা সেখান থেকে চলে গেল


।ঐদিন থেকে রাধিকা খুব চুপচাপ থাকতে শুরু করলো ।তারপর আবার ওই দিন থেকেই রাধিকা কলেজ ছুটি হওয়ার পর যেভাবে বাড়ি যেতো সে রাস্তা দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিল না। অনেকদিন ধরেই রাধিকা অন্য রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে যেতে শুরু করে কলেজ ছুটি হবার পর। এত কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা দেখে ওর বন্ধুরা সিদ্ধান্ত নিলো যে কলেজ ছুটি হবার পর রাধিকার পেছনে পেছনে সবাই যাবে সবাই যাবে সবাই যাবে এবং দেখবে সে কোথায় যায় ।পরের দিন কথা অনুযায়ী সবাই রাধিকার পেছনে পেছনে যেতে যেতে পেছনে পেছনে যেতে যেতে লাগলো তারপর দেখলো একটা কবরস্থানের দিকে যাচ্ছে রাধিকা। ওরা সব একটা কবরস্থানে একটা গাছের পেছনে লুকিয়ে ছিল। সব শুনতে পারছিল কিন্তু কিছুই দেখতে পারছি না। তারপর ওরা শুনতে পেল যে যে রাধিকা কাকে জানি বলছে -"দেখো আমি চলে এসেছি সময় মত, তোমার প্রিয়, তোমার প্রিয় জামাটা পরে, তুমি তো জানো আমি তোমায় কত ভালবাসি, তোমার জন্যই, তো আমি আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছি "- এ কথা শোনার পর রাধিকার বন্ধুরা গাছের পেছন থেকে এসে রাধিকার কাঁধে হাত দিয়ে বলে কিরে এখানে এসব কি করছিস এবং এই কবরটা কার, রাধিকা বিমলের দিকে দেখে হঠাৎ চমকে যায় এবং বলে তোরা এখানে কি করছিস এখান থেকে তোরা চলে যা


বিমল এরা বলল বলল না আজ আমরা এখান থেকে যাব না কিছু না জেনে এখান থেকে আমরা যাচ্ছি না। তারপর রাধিকা কাঁদতে কাঁদতে বলল বলল এই কবরটা সিরাজের । সিরাজ আমার ভালোবাসা এবং আমার জীবন ।আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসতাম আমাদের বিয়ের জন্য আমাদের বাড়ির সবাই ও রাজি হয়েগেছিলো । আমাদের বিয়ে দিতে সবাই চাইছিল ।আমরা আমাদের জীবনে খুব খুশি ছিলাম। কিন্তু একদিন আমি বাড়িতে ঘর ঝাড়ু দিতে দিতে মাথা ঘুরে পরে যায় এবং অজ্ঞান হয়ে যাই । হাসপাতালে চিকিৎসার পর ডাক্তার বাবু বাবু ডাক্তার বাবু বাবু বলেন আমার বুকে একটা জীবাণু আক্রমণ করেছে এবং আমার 90% হৃদয় ও জীবাণু টা খেয়ে নিয়েছে। ডাক্তারবাবু আরো বললেন এই জীবাণুটা সংক্রমিত হয়ে , লক্ষণ দেখা দিতে অনেক সময় লাগে এবং সংক্রমিতের শেষ ধাপে এসে সব কিছু ধরা পড়তে শুরু করে।


ডাক্তারবাবু আরো বললেন যদি তাড়াতাড়ি হার্ট ট্রানস্প্লান্ট না করানো হয় তাহলে আমি মারা যাবো।খবরটা কোথায় থেকে জানি সিরাজ পেয়ে যায়। আমার পরিবারের সকলে খুব চেষ্টা করেছে আমাকে বাঁচাবার জন্য আমার জন্য চিকিৎসার সুবন্দোবস্ত করতে ।তারপর সিরাজ হটাৎ করে সিদ্ধান্ত নিল যে ওর হৃদয় আমাকে দেবে এবং একথা আমিও জানতাম না হলে আমি ওকে এ কাজ টা করতে দিতাম না। আর আমার পরিবারের কেউ এ কথাটা যদি জানতে পারতো সিরাজ কে এই পদক্ষেপ নিতে আটকাতো । সিরাজের মা-বাবা ও ছিল না । তা নাহলে আজকে এ সব কিছুই হতো না। আমার অপারেশন ও হয়ে যায়। সিরাজ কিভাবে জানি ডাক্তার বাবুকে বলে রেখেছিল বলে রেখেছিল যাতে ট্রান্সপ্লান্টের কথা অপারেশনের আগে কেউ না জানতে পারে।


যে সিরাজ নিজের হৃদয়টা নিজের হৃদয়টা আমাকে দিচ্ছে ।ডাক্তারবাবু সিরাজের কথা ফেলতে পারলো না এবং ডাক্তারবাবু চুপ করে রইলেন। অপারেশনের পর সিরাজ আমার প্রাণ বাঁচিয়ে নেয় কিন্তু নিজে বাঁচতে পারেনি ।সে আমাকে একা ফেলে রেখে চলে যায়। এজন্য আমি এতদিন কলেজে আসনি এবং প্রতিদিন ওর সাথে কথা বলতে ওর সাথে একটু সময় কাটাতে আমি এখানে চলে আসি।আমি আজ ওর শরীরটা হয়তো আমার সাথে নেই কিন্তু ওর মন হৃদয় ভালোবাসা সব আমার মধ্যে আছে। এবং রাধিকার বন্ধুরা রাধিকার কথা শোনার পর কেঁদে ফেলে এবং বিমল বলে দেখেছিস সুরভি খুব boyfriend boyfriend করিস এবং খুব ভালোবাসা ভালোবাসা করিস, আসল ভালোবাসা বুঝতে বুঝতে পারলি কি?


একেই বলে আসল ভালোবাসা আমরা। ভালোবাসার নামে ছলনা করে ছলনা করে নামে ছলনা করে ছলনা করে এসেছি আজকে কাউকে ভালবাসছি পরের দিন অন্য কাউকে ভালবাসছি। আসলে আমরা আমাদের পছন্দ কে ভালোবাসার নাম দিয়ে দিয়েছি এটা করা একদমই উচিত নয়। আমরা ভালোবাসাটাকে কোনদিন ভালোবাসিনি।


আজ সিরাজ মরে গিয়েও রাধিকার মধ্যে নিজের ভালবাসাটাকে বাঁচিয়ে রেখেছে রেখেছে। হে নিজের ভালোবাসা কে বাঁচিয়ে রেখেছে।


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance