স্কুল জীবন
স্কুল জীবন


রাজদীপ প্রতিদিনই ভাবে সে স্টোরি মিরর-এ কিছু লিখবে। কিন্তু যেই লিখতে যায় তখনই ভাবে পরে লিখবে। এই করে তার আর লেখা হয়ে ওঠেনা। সে তার বন্ধু সায়নের থেকে স্টোরি মিররের কথা জানতে পেরেছে। সময় তার নিয়মে চলে যেতে থাকে রাজদীপের লেখা হয়না। সায়ন প্রায়ই জিজ্ঞেস করে,"কিরে লিখলি?" রাজদীপ উত্তর দেয় "এই তো কাল লিখব।" কত কাল যে চলে যায় রাজদীপের হুঁশ থাকেনা। আবার কিছুদিন পর সায়ন একই কথা জিজ্ঞেস করে। রাজদীপও একই উত্তর দেয়। সায়ন একদিন রাজদীপের বাড়িতে আসে আর রাজদীপের ঘড়িটা বার করতে বলে। রাজদীপ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,"ঘড়ি কি হবে?" সায়ন বলে,"এই ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে দেখ। ঘড়িটা তার নিজের নিয়মে চলছে। কিন্তু তুই পিছিয়ে যাচ্ছিস ঘড়ির থেকে। এই ঘড়িটি নিয়ে বসে লেখা শুরু কর আর স্টোরি মিররে লেখাটা পাঠা। জীবনের সব সময় ঘড়িটিকে সঙ্গে রাখবি। আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই মূল্যবান। তাই সময় নষ্ট না করে ভালো কাজ করতে লেগে পর। আমাদের জীবন একটুখানি। যতটা পারবি ভালো কাজ করে যা আর সবার সাথে ভালো ব্যবহার করিস। দেখবি জীবন কত সুন্দর হয়ে উঠেছে।" রাজদীপ সময়ের মূল্য বুঝতে পেরে সে ক্রমে সময়ানুবর্তী হয়ে উঠল। সে আর সময় নষ্ট করে না। সর্বদাই ভালো কাজে যুক্ত থাকে। কেউ যদি বাজে কাজ করে তাকে বোঝায় ভালো কাজ করার জন্য। রাজদীপের সময়ানুবর্তিতা দেখে সবাই মুগ্ধ।