The Stamp Paper Scam, Real Story by Jayant Tinaikar, on Telgi's takedown & unveiling the scam of ₹30,000 Cr. READ NOW
The Stamp Paper Scam, Real Story by Jayant Tinaikar, on Telgi's takedown & unveiling the scam of ₹30,000 Cr. READ NOW

Sanghamitra Roychowdhury

Drama Tragedy Inspirational

4  

Sanghamitra Roychowdhury

Drama Tragedy Inspirational

শ্রাবণের ধারার মতো...

শ্রাবণের ধারার মতো...

7 mins
192



দিদিদের সাথে একসাথে বসে বাবার চতুর্থীর কাজ করতে যেতে পারলো না শ্রাবণী। সংসার থেকে ওর নাকি একদিনের ফুরসৎও মিলতে চায় না। বাপের বাড়িতে কোলের মেয়ে শ্রাবণী। বাবা মা দিদিদের জামাইবাবুদের নয়নের মণি ছিলো যে এককালে, আজ সেই শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর সংসারে চূড়ান্ত অবহেলিত। একথা যদিও মুখ ফুটে শ্রাবণী কখনো বাপেরবাড়িতে বলেনি, তবে সবাই বোঝে। মায়ের বুকটা গুঁড়িয়ে যায় যখন শোনে যে শ্রাবণী বাদেও আরো আটজনের, মানে মোট নয়জনের যৌথ পরিবারের দু'বেলার রান্নাবান্না, গেরস্থালির অন্যান্য কাজ সবই শ্রাবণীকে একা হাতে সামলাতে হয়। ওর শাশুড়ি বাতের বেদনায় কাবু, তাই সংসারের কাজ বাদ দিয়ে ঘোরা বেড়ানো শপিং সিনেমা দেখা... এর কোনোটাতেই অসুবিধা হয় না মোটেই। বাড়ির বড়োবৌ শ্রাবণী... তায় আন্তঃরাজ্য বৈবাহিক সম্পর্ক। বিয়েতে দু'বাড়ির কারুরই তেমন একটা মত ছিলো না। তবে ঐ যা হয় আরকি! শেষমেশ সাপের ছুঁচো গেলার মতো করেই দু'বাড়িতে মেনে নেয়। বিয়েও হয় জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করে। শ্রাবণীর সাদামাটা বাঙালি পরিবার ছোট মেয়ের অবাঙালি পরিবারে বিয়েতে সাধ্যাতীত দেনপাওনাও মেটালো। তাও শ্রাবণী রোহিতের সংসার সুখের হলো কি?



বাড়ির বড়ো ছেলে রোহিত। ওর পরে আরো দুই ভাই, এক বোন... অবিবাহিত। এক অল্পবয়সে বিধবা বোন ও তার বছর পাঁচেকের ছেলে এবং রোহিতের বাবা মা। বাড়িতে কোনো কাজের লোক নেই। নিরামিষাশী ও রুটিজীবি পরিবার। মাছেভাতে বাঙালি পরিবারের মেয়ে শ্রাবণীর মানিয়ে নিতে প্রথম প্রথম ভয়ানক অসুবিধা হয়েছে বৈকি। তবুও মানিয়ে নিয়েছে। রোহিতের সাথে শ্রাবণীর প্রেম সেই ক্লাস টুয়েলভে পড়ার সময় থেকে। যদিও উচ্চ মাধ্যমিকের পরেই রোহিত বড়বাজারে পারিবারিক প্লাস্টিকের ব্যবসার গদিতে বসা শুরু করলো বাবার সাথে, তবুও প্রেমটা চালিয়ে গেছে শ্রাবণীর সাথে। শ্রাবণী কোনোরকমে বিএটা পাস করেই বাড়ির অমত অগ্রাহ্য করেই বেঁকে বসেছিলো... রোহিত ছাড়া আর কাউকেই বিয়ে করবে না। দিদিদের জামাইবাবুদের অনেক উপরোধ আরেকবার ভালো করে ভেবে দেখার জন্য কোনো কাজেই আসেনি। শ্রাবণী এক শ্রাবণের ঘনঘোর বর্ষার দিনে শ্বশুরবাড়িতে পা রেখেছে... শ্বশুরবাড়ির দাবিমতো পণ যৌতুক ও উপহার সামগ্রী সঙ্গে করে। দেখতে দেখতে পাঁচটি বছর পার হয়েছে বিয়ের পরে। রোহিতের পরের ভাই মোহিতের বিয়ে হয়ে একটা কোল আলোকরা ছেলেও হয়ে গেছে। শ্রাবণী এই ঘোর যৌবনেও নিষ্ফলা গাছের মতো এখনো... নিঃসন্তান। অনেক চিকিৎসা চলছে নাকি। তবে এখনো কিছু সুখবর নেই। পৌষালী আর বৈশাখী... শ্রাবণীর দুই দিদিও শ্রাবণী রোহিতকে অনেক অনুরোধ করেছে ডাক্তার বদলাবার। রাজি হয়নি ওরা। উল্টে শ্রাবণী দিদিদের আলাদা করে বুঝিয়ে বলে নিরস্ত করেছে, "তোরা বেশি ভাবিস না। ঠিক হবে যখন সময় হবে তখন।" তবে মায়ের বিষাদঘন চোখে ক্ষণেকের জন্যও চোখ রাখতে পারেনি শ্রাবণী। ও খুব ভালো করেই জানে যে মা ওর ভেতরটা পর্যন্ত এক্সরের মতো দেখতে পায়। বাপের বাড়িতে আসা কমিয়েছে শ্রাবণী। ফোনে ফোনেই যেটুকু কুশল বিনিময়। বাবা মায়ের আদরের তিন মেয়ে। যথাসাধ্য যত্নে মানুষ। বাবা মা রবীন্দ্রপ্রেমী... মধ্যবিত্তের সংসারে যেমন হয় আরকি! তিন মেয়ের নামেই তার হদিস মেলে... পৌষালী, বৈশাখী, শ্রাবণী। এই নিয়েও শ্রাবণীর শ্বশুরবাড়িতে শাশুড়ি ননদেরা মশকরা করে। তাদের বাড়ির মেয়েদের নাম রীনা, টিনা ইত্যাদি। শ্রাবণীর জায়ের নাম পিঙ্কি। বাড়ির সবাই ভালোই বাংলা জানে ও বোঝে... তবে ওরা শ্রাবণীকে শুধু বলে "ইতনি বড়ি নাম, বাপরে!" পাল্টা শাশুড়িকে বলতে ইচ্ছে হয় শ্রাবণীর, "সরস্বতী বুঝি ছোট্ট নাম?" কিন্তু চেপে যায়। সাহস করে শাশুড়ির নামের সাইজ নিয়ে কিছু বলেনি শ্রাবণী কোনোদিন।



বিয়ের পাঁচবছর পার করেও মা হতে না পারাটা একটা গুরুতর অপরাধ তো বটেই... অন্ততপক্ষে রোহিতের বাড়িতে তো অবশ্যই। শ্রাবণী রোহিতের বিবাহিত জীবনটা অনেকটা যেন ওদের বাড়ির চায়ের আড্ডার আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠছে ইদানিং। শাশুড়ি ও বিধবা ননদের মতে রোহিতের উচিৎ "বাঁজ বহুকে" ডিভোর্স দিয়ে আবার বিয়ে করে ছেলের মুখ দেখার চেষ্টা করা। কারণ রোহিতদের বংশে নাকি প্রথম সন্তান ছেলেই হবার কথা। যেমন হয়েছে মোহিতের বৌ পিঙ্কির এবং রীনার... প্রথম সন্তান ছেলে। সুতরাং বংশের ধারা বজায় রাখতে রোহিতেরও সচেষ্ট হওয়া উচিৎ। শ্রাবণীর ছেলে তো দূর অস্ত... সন্তান হবারই ক্ষমতা নেই। মুখ নীচু করে চুপচাপ শ্রাবণী সব শোনে, টপটপ করে গাল বেয়ে দু'ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ে, হাতের উল্টোপিঠে মুছে নিয়ে শ্রাবণী গৃহকাজে মন দেয়। আরো ফুলকো ফুলকো রুটি গড়ে, সবজি আর ডালে আরো দমদার ছওক দেয়, ঝকঝকে বাসনকে গায়ের জোরে আরো চকচকে করে তোলে। আর রাতে যখন শুতে আসে তখন বেশিরভাগ দিনই কয়েক পেগ চড়িয়ে রোহিত গভীর ঘুমে মগ্ন থাকে। খাটাখাটনির শরীর। বৌ নিয়ে বেশি আদিখ্যেতা করলে শরীর টিকবে কি? নাক ডেকে ঘুমন্ত রোহিতের একপাশে ক্লান্ত শরীরটাকে শ্রাবণীও কোনোমতে গুঁজে দেয়। তারপরে নাস্তায় পরদিন সকালে কি কি করবে ভাবতে ভাবতে একসময় ঘুমিয়ে কাদা হয়ে যায়। আসলে নিজের পছন্দের ও ইচ্ছের বিরুদ্ধে সর্বক্ষণ চলতে চলতে শ্রাবণীর অনুভূতিগুলো আজকাল কেমন একটা যেন ভোঁতা হয়ে গেছে। বিবর্ণ দাম্পত্যে শ্রাবণী আপ্রাণ পরিশ্রমে নিজেকে খাপ খাইয়ে মানিয়ে নিয়েছে। কোনো অনুযোগ অভিযোগ কিচ্ছু নেই। কার কাছে করবে? কি করে? কেনইবা করবে? প্রেমের বিয়ে যে!



ডাক্তারখানা থেকে বেরিয়ে খুব কাঁদছিলো শ্রাবণী। রাস্তাতেই রোহিতের পা জড়িয়ে ধরেছিলো। মন গলেনি রোহিতের তাতেও। ছেলেই যে চাই তার। নইলে পারিবারিক এতোবড়ো ব্যবসার দখলদারিত্বের লড়াইয়ে অপুত্রক রোহিত যে পিছিয়ে পড়বে। শ্রাবণী ট্যাক্সিতে বসে পুরো সময়টাই কেঁদে গেলো। পাঁচবছরে এই নিয়ে তিনবার কন্যাসন্তান ধারণ করেছে শ্রাবণী। কিছুতেই তাদের ভূমিষ্ঠ হয়ে পৃথিবীর আলো দেখতে দেওয়া যাবে না। তাদের উৎপাটন করা হয়েছে মাতৃগর্ভ থেকে। এবার চতুর্থ বারেও আবার কন্যা। মুখ বন্ধ রাখার হুমকিতে শ্রাবণী হাক্লান্ত হয়ে নিরাশার অন্ধকার গহ্বরে ডুবে গেলো। স্বামীর পৈতৃক সম্পত্তির মালিকানা পাওয়ানোতে স্ত্রী হিসেবে তারও একটা ভূমিকা আছে বৈকি। দিনরাত পাখিপড়া করে সেকথাই বুঝিয়ে চলেছে রোহিত। শ্রাবণীর কানে ঢুকছে বিনবিন করে কথাগুলো। মাথায় বা মনে ঢুকছে না কিছু। জড়ভরতের মতো বসে আছে শ্রাবণী। পরেরদিন সকালে সেই পরিচিত নির্দিষ্ট নার্সিংহোমে গিয়ে শ্রাবণী রোহিতের চতুর্থ কন্যাভ্রূণ হত্যা করা হলো। কী গালভরা নাম... এমটিপি... মেডিকেল টার্মিনেশন অফ প্রেগনেন্সি... সহজ করে বললে অ্যাবরশন... বাংলায় গর্ভপাত।

এবারে খুব কষ্ট পেয়েছে শ্রাবণী... শরীরে মনে। জরায়ুর দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত... সাবধানবাণী শুনিয়েছে ডাক্তার। শ্রাবণীর কান্না শুকিয়ে গেছে... হয়তো আর কখনো মা হতেই পারবে না শ্রাবণী। তাতে কার কি এলো গেলো? ফেরার পথে রোহিত একগ্লাস মুসুম্বির রস খাওয়াতে চেয়েছিলো। "বহোৎ ধকল হুই না!" শ্রাবণী ঠেলে সরিয়ে দিয়েছিলো রোহিতের হাতে ধরা গ্লাসটা। ফেরার পথে ট্যাক্সিতে বসে সিটে হেলান দিয়ে শাড়ির আঁচলে নিজের মুখ ঢেকেছিলো শ্রাবণী। রোহিতের মুখদর্শন করতে ইচ্ছে হয়নি শ্রাবণীর।



এরপর আরো মাসছয়েক পার হয়েছে। শ্রাবণ ফিরে এসেছে। শ্রাবণী রোহিতের বিবাহবার্ষিকীর দিনেই ওদের বাড়িতে সাজো সাজো রব। রোহিতের জন্য আসছে "লেড়কিওয়ালো"। সকাল থেকে বৃষ্টির কামাই নেই। বাইরের বৃষ্টি এসে শ্রাবণীর ভেতরেও জাঁকিয়ে বসেছে। চোখ তো উপলক্ষ্য মাত্র সেই অঝোর বৃষ্টি ঝরাতে। বসার ঘরে তখন রোহিতের বাবা মা দরদস্তুর করছে... শ্রাবণী চুপচাপ একলা বেরিয়ে পড়লো শ্যামবাজারে ওর শ্বশুরবাড়ি থেকে। কাউকে কিছু না বলে কয়ে। বৃষ্টির বেগ বাড়ছে। শ্রাবণী ভিজছে। একা একা ভিজতে ভিজতে শ্রাবণী হাঁটতে হাঁটতে গঙ্গার পাড়ে চলে এসেছে। বৃষ্টির ধারায় ভেপার ল্যাম্পের আলোগুলো ভৌতিক দেখাচ্ছে। রাস্তায় লোকজন নেই তেমন। উদ্দেশ্যহীন হাঁটতে হাঁটতে আহিরীটোলা লঞ্চঘাটের সামনে চলে এসেছে শ্রাবণী। ও জানে না এরপর ও কী করবে? রাত কত হয়েছে তাও বুঝতে পারছে না। লঞ্চের টিকিট কাউন্টারের সামনের শেডের তলায় গোটা তিনেক কুকুর কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়েছিলো। শ্রাবণী ওদের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো। কৌতূহলী চোখে তাকালো কাউন্টারের লোকটি। শ্রাবণী অস্বস্তিতে আবার সরে গেলো ওখান থেকে। আরো খানিকটা এগিয়ে গেলো। আলোটা কমে এসেছে ওখানে। টানা রিক্সা দাঁড় করানো একটা। চালকটি রাস্তার ধারের রোয়াকটিতে বসে আছে। বসে বসে খৈনি ডলছে। কখন বৃষ্টি ধরবে পুরোপুরি তার অপেক্ষায়... যদি একটাও অন্ততঃ সওয়ারি মেলে।



শ্রাবণী ফুটপাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে হোঁচট খেয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়লো। পায়ে কী একটা ছেঁড়াখোঁড়া কাপড়চোপড়ের পুঁটুলি জড়িয়ে গেছে। শ্রাবণী পড়ে গিয়ে নিজের ব্যাথা ভুললো... একটি ক্ষীণস্বরে শিশুর কান্নায়। রাস্তার আবছা আলোয় ঝুঁকে বসলো শ্রাবণী পুঁটুলিটার মধ্যে তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে। ছেঁড়াখোঁড়া কাপড়চোপড়ে জড়িয়ে পড়ে একটি সদ্যোজাত শিশুসন্তান, অবাঞ্ছিত, অযাচিত। শ্রাবণী দুহাতে সযত্নে তুলে নিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরলো শিশুটিকে। ইস্, একেবারে ভিজে গেছে। আহা রে! শ্রাবণীকে দেখে রোয়াক থেকে টানারিক্সার চালকটি নেমে এসে সামনে দাঁড়িয়েছে। 



এরপরের কাহিনী খুবই সংক্ষিপ্ত। শ্রাবণী শিশুটিকে বুকে জড়িয়ে রিক্সায় উঠে বসলো। চালক বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে ঠুনঠুন করে ঘন্টি বাজিয়ে ছুটছে। গন্তব্য হাসপাতাল। শ্রাবণী হাসপাতালে গিয়ে পরিচয় দিলো নিজের সন্তান নিয়ে বাপের বাড়িতে যাওয়ার পথে পড়ে গিয়ে ভিজে গেছে। শিশুর বাবা মৃত। শ্রাবণীর সিঁথি ধুয়ে গিয়েছিলো। শ্রাবণী ভিজে আঁচলে মুছে ফেলেছিলো সিঁদুরের অবশিষ্টাংশ। সেই বয়স্ক অবাঙালি রিক্সাচালকটিই পিতৃস্নেহে শ্রাবণীকে পৌঁছে দিলো কলেজ স্ট্রিটে শ্রাবণীর বাপের বাড়িতে প্রায় মধ্যরাতে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিয়েছিলো... ভালোই আছে শ্রাবণীর কুড়িয়ে পাওয়া কন্যাশিশু। হাসপাতালের খাতায় নাম লেখা হলো শিশুর... শ্রাবণধারা। শ্রাবণীর মা হেসে কেঁদে মেয়ে আর নাতনিকে ঘরে তুললো বুকে জড়িয়ে। টিভিতে কিছু একটা গানের শো চলছিলো তখন... শ্রাবণীর কানে এসে বাজছে রবীন্দ্রসঙ্গীত...

"শ্রাবণের ধারার মতাে পড়ুক ঝরে, পড়ুক ঝরে, তােমারি সুরটি আমার মুখের ’পরে, বুকের ’পরে..."



পরেরদিন সকালে এসে হাজির রোহিত। অধৈর্য্য কলিংবেলের আওয়াজে দরজা খুললো শ্রাবণী নিজেই। মাও পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে। শান্ত গলায় শ্রাবণী বললো, "দুশ্চিন্তা কোরো না। কালই আমি ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দেবো সই করে।" রোহিতের মুখের ওপরেই দরজাটা সশব্দে বন্ধ করলো শ্রাবণী। তারপরই মা আর শ্রাবণী ছুটলো ওদের শোবার ঘরে... শ্রাবণধারা কাঁদছে তারস্বরে... মায়ের উষ্ণ নরম কোল চাইছে যে সে।


Rate this content
Log in

More bengali story from Sanghamitra Roychowdhury

Similar bengali story from Drama