শীতযাপন
শীতযাপন
রাত তখন ৯টাও বাজেনি।অটো থেকে নেমে স্যাঁতস্যাঁতে গলি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মনে মনে নিজেকে ধিক্কার দিতে থাকল সুজয়। এটা কি একটা জীবন! ও যেটা চায় সেটা কি পাওয়ার অধিকার ওর নেই? ও তো খারাপ মানুষ না।
সৌরভ ওর জন্মদিনের পার্টিতে ইনভাইট করেছিল আজ সুজয়কে। এছাড়া ছিল মৃনাল, রক্তিমা, ঐশিকা আর কৌশিকী। রক্তিমা সুজয়ের ল্যাব পার্টনার হওয়ার সুবাদে সুজয় ওকে অনেক কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু ঐটুকুই। ফেসবুক আর হোয়াটসাপে সাহস করে দুটো কথা লিখলেও, সামনাসামনি কিছু বলার সাহস পায়না ও।
মনের কথা বলতে না পারার দুঃখটা সুজয় নিজের ইন্ট্রোভার্ট হওয়ার দোহাই দিয়ে ভুলতে চায়। আত্মকরুনায় কি যেন একটা কুটিল আনন্দ আছে।
রক্তিমার উন্নত শরীরের ওপর ডিপ-নেক টাইট ড্রেসটা যেন ওর সৌন্দৰ্যকে আরো বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছে আজ রাতে।নিজেকে আয়নায় দাঁড়িয়ে বহু নিরীক্ষণ করে এসেও, ওর রূপের অগ্নিশিখায় যেন সুজয়ের হীনমন্যতায় ভোগা মন জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে গেছে। রক্তিমার শরীর স্পর্শ করার গুপ্ত ইচ্ছাটাও আজ ওর রূপের স্পর্ধায় লজ্জায় মুখ ঢাকতে চাইছে।
আজ কৌশিকী অন্তাক্ষরী খেলার কথাটা বলতেই কাল হল। একটা গানও গাইতে পারেনি সুজয়। সবাই জেনে গেছে কতটা আনস্মার্ট ও। সবাই কি ঠাট্টাটাই না করল আজ। জীবন টা বৃথা হয়ে গেছে যেন।
বাড়ি ফিরে নিজের ঘরে ঢুকে সুয়ে সুজয় চাদরটা টেনে নিয়ে ইউটিউবে সার্চ করতে লাগল 'হাউ টু বি এক্সট্রোভার্ট'।