শেষ ধর্ষণ( পর্ব -১)
শেষ ধর্ষণ( পর্ব -১)


ওই ঈশানী , কী হয়েছে তোর ? এত চুপচাপ।
অমৃতা , উদবিগ্ন ঈশানী কে জিজ্ঞেস করল।
ঈশানী উওর দেয় না ।
পাশ থেকে আবার আওয়াজ এল : ওই ঈশাানী , ঠিক আছিস তো।
এবার ঈশানী মুখ খুলল : হ্যঁ রে ।
অমৃতা : ওওওওও। ক্লাস শেষ বাড়ি চল......
ঈশানী : তুই যা আমি একা আসছি।
অমৃতা : তুই ঠিক আছিস তো ?
ঈশানী : আরে হ্যঁ রে ।
অমৃতা : ঠিক আছে।
এই বলে অমৃতা চলে গেল ।
এদিকে ইশানী 2 মিনিট ধরে টিউশানে বসেই রইল। সবাই ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে , তবু ইশানী যাচ্ছে না এদেখে , কমলেন্দু বাবু বলে ওঠে
কী হল ঈশানী , ঠিক আছো তো তুমি ?
ঈশানী থতমত হয়ে উওর দিল : হ্যঁ ....... স্যার।
কমলেন্দু বাবু : Any problem ? বলতে পারো , যদি চাও তো ?
ঈশানী : না স্যার ঠিক আছি ।
কমলেন্দু বাবু : তাহলে , সাবধান এ বাড়ি যাও মা ।
ইশানী : হ্যঁ স্যার আসছি ।
এই বলে ইশানী রাস্তায় বেরিয়ে হাটা শুরু করে।
তার মন যেন এ জগৎ এ নেই । কোণ চিন্তা যেন তাকে ভেতরে দগ্ধে দগ্ধে খাচ্ছে ।
মানসিক এক ভয়ে সে হাটতে পাচ্ছে না।
কী সেই ভয় , তা প্রকাশ ও করতে পাচ্ছেনা সকলের কাছে।
মাথা নীচু করে , ভয়ে ভয়ে সে হাটচ্ছে ।
গত দিন কী হয়েছে তার সাথে , সে আজ ও বাড়িতে বলে নি ।
গতদিনের ঘটনা ( রাত 9 টা , কমলেন্দু স্যারের বাড়ি থেকে ফেরার পথে ) ..........
অমৃতা : আজ , ক্লাসটা দারুন হল বল।
ঈশানী: হ্যাঁ রে । দারুণ হল।
অমৃতা আর ঈশানী র বাড়ি বেশি দূর নয় কাছাকাছি প্রায়, শুধু একটা গলির পার্থক্য।
ঈশানী গলির ভিতরে , " আড্ডা ক্লাবের" পাশে থাকে।
অমৃতাকে byee বলে ঈশানী , গলির ভিতর ঢুকে , হাটচ্ছে নিজের মত গুনগুন করতে করতে।
হঠাৎ করে পা
শ থেকে শুনতে পায় " মামনি কোথায় যাচ্ছো?" ঈশানী একটু , অস্তিরতা দেখায়।
ওপাশ দিয়ে , আওয়াজ আসে : " চলো মামনি ঘুরে আসি"।
ঈশানী র মেজাজ চড়ে যায় , রেগে মেগে বলে ওঠে: " shutup , বিকি!!!!!
বিকি : এরকম বলতে নেই সোনা । ( হাত টা স্পর্শ করে)।
ঈশানী: বিকি!!! কী করছিস এসব , ( হাতটা সরিয়ে নিয়ে) , এর তোদের এই ছাগলগুলোকে , আমায় " মামনি" বলতে বারণ কর।
বিকি: ( সিগারেটের ধোয়াটা , উপরে ছেড়ে , ) হাসচ্ছে......
ঈশানী , মুখ ফিরিয়ে যেতে start করলে , বিকি , হাসতে হাসতে বলল : " কাল , দেহটা দিয়ে যেও , সোনা।"
এই কথাটি, ঈশানী শুনতে পেয়েই, বিকির গালে জোরে থাপ্পর মেরে বলল : এসব বলতে লজ্জা করে না ?
বিকি ( জোর গলায় , চিৎকার করে বলল ) না.........................। এই চরের বদলা তুই পাবি( ঈশানী র চোখের উপর আঙুল তুলে ) ।
বিকি , চলে গেল .............
এখন , রাস্তায় সে একা হাটচ্ছে ঐইসব ভাবতে ভাবতে । আজ , তার ,সাথে "কী হবে? " ... এ চিন্তা তাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। আবার কখন ও কখন ও মনে প্রশ্ন জাগচ্ছে , : " কেন , আমি ভয় পাচ্ছি?"
হয়তো এ প্রশ্নের জবাব তার কাছে নেই।
এভাবেই , হাটতে হাটতে কখন যে সে গলির সামনে চলে আসে বুঝতে ই পারে না। খুব ধীরে ধীরে হাটতে থাকে এবং আঁর চোখে দেখতে থাকে , বিকি আর তার দল আছে কিনা।
এদিকে নিলজ্ঞ বিকি , সিগারেট খেতে খেতে দেখতে পায় , ওদিক থেকে ঈশানী আসছে। সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে পথ আটকায় ...
ঈশানী : পথ ছাড় !
বিকি : ছাড়ব না , আজ তোর দেহ চাই আমি ।
ঈশানী: তুই , সীমা অতিক্রম করছিস নিজের স্পর্ধা র।
বিকি: তোর চরের বদলা , আমি তোর দেহ থেকে নেব।
এই বলেই বিকি ঈশানী র ওড়না টা তুলে নেয়,
ঈশানী , লজ্জায় কাঁঁদতে কাঁদতে বাড়ি চলে যায়।
বিকি হাসতে হাসতে চিৎকার করতে থাকে : " দেহ চাই সোনা " ।
( শ্লীলতাহানিদৃশ্য - পর্ব - ১)
...........................