MAHIBE HASAN

Horror Fantasy Others

4.0  

MAHIBE HASAN

Horror Fantasy Others

সেদিনের সেই ভয়ঙ্কর রাত

সেদিনের সেই ভয়ঙ্কর রাত

10 mins
179


ঘটনাটি ঠিক রাত ১০টার এক অচেনা অতিথীর আগমন ঘটে। তার আগে মূল ঘটনিা বলে নি যে আমরা বন্ধুরা মিলে কলেজ বন্ধের পর আমরা ঠিক করি যে কোথাও ঘুরতে যাবো,পরে সবাই ঠিক করে যে শুনসান জঙ্গল নামে একটা জঙ্গল আছে সেইখানে সবাই কয়েকদিনের জন্য পিকনিক করতে যাবে। আমরা পরে সবাই ঠিক করি যে আমরা ৫ডিসেম্বর শুনসান জঙ্গলের উদ্দেশ্যে গমন করবো। বলতে বলতে সেই যাবার সময় চলে আসে। আমরা যাবার জন্যে একটা গাড়ি ভাড়া করি। আমরা সকাল ৯টার দিকে আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করি।


আমাদের সেখানে যেতে ৮ঘন্টার মতো লেগেছিল। আমরা বিকাল ৪টার দিকে সেইখানে পৌছাই। জঙ্গলে গাড়ি ঢোকানো সম্ভব না তাই আমরা জঙ্গলের বাহিরে গাড়ি রেখে আমরা জঙ্গলে প্রবেশ করি। বলে রাখি যে আমরা ৫ বন্ধু ‍গিয়েছিলাম। আমি মাহিবী, রকি,মাহিন, রাহিম, তারেক। তো আমাদের জঙ্গলের ভিতরে যেতে বিকাল ৫টা বাজে। আমরা বন্ধুরা সেখানে যাবার পর সমতল যায়গা খুজি তাবু লাগানোর জন্যে। আমরা তিনটি তাবু লাগাই। প্রথমটাতে ছিলাম আমি আর মাহিন। পরেরটাতে ছিল রকি আর তারেক আর একটাতে ছিল রাহিম। রাত ৮ টার দিকে জঙ্গল থমথম করছে। চারদিকে নিস্তব্ধতা কোনো শব্দ নেই। মাঝে মধ্যে হিংস্র প্রাণির আওয়াজ শোনা যায়। সব ঠিকঠাক করতে আমাদের রাত 9টা বেজে যায়। রাহিম, রকি, তারেক জঙ্গলের বাহিরে দোকান খুজে খাবার আনতে বের হয়েছিল।


তারা তিনজন রাত ১১ টার দিকে ফেরে খাবার নিয়ে। সবাই খাবার খেতে খেতে রাত 12টা বেজে যায়। আমরা আগুন জ্বালিয়ে গোল করে বসে আগুনের গরম তাপ অনুভব করছিলাম, সাথে গিটার ‍নিয়ে গিয়েছিলাম তো মাহিন আমাদের গান শোনায়। রাত ২টার দিকে আমরা তাবুতে গিয়ে শুয়ে পড়ি। সবাই গুমিয়ে পড়েছিলাম গভীর ঘুমে। রাত আনুমানিক ৪টা বাজে একটা বিকট শব্দে রাহিমের ঘুম ভেঙ্গে যায়। হঠাৎ কোথেকে যেন ভেসে আসছে ভয়ঙ্কর কান্নার শব্দ। তখন রাহিমের চোখে অজস্র ঘুম। রাহিম আমাদের তাবুতে এসে আমাদের জাগালো। আমরাও সেই কান্নার শব্দ শুনতে পাই কিন্তু এদিক-সেদিকে দেখার পরেও খুজে পাওয়া গেলোনা কে কান্না করছে। যেখানে থেকে কান্নার শব্দ আসছে সেখানে গেলে সে কান্না মিলিয়ে যায়।


পরে কিছুক্ষন কান্নার শব্দ বন্ধ হয়ে যায়। সবাাই তাবুতে ফিরে আসে তাবুতে চলে যাই। এইভাবে প্রথম রাতটি কেটে যায়। সকাল হবার পর সবাই রাতের ঘটনা নিয়ে কথা বলা শুরু করে। পরে আমি রকি আর মাহিন জঙ্গলের বাহির থেকে সকলের জন্য সকালের খাবার আনতে বের হই। আমরা তিনজন হাটছিলাম। আমরা দেখলাম কয়েকজন কাঠুরে কাঠ কাটতেছিল, আমরা তিনজন তাদের নিকট যাই। তারা আমাদের দেখে কাঠ কাটা বাদ দিয়ে অন্যদিকে হাটা ধরলো। আমরা বললাম এইযে চাচারা দাঁড়ান ! তাদের আমাদের দেখে পালিয়ে চলে যাবাটা আমারদের থেকে অদ্ভত লাগলো। পরে আমরা তাদের জিগেস করলাম চাচারা আমাদের দেখে পালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন আপনারা? তারা বলল বাবারা আমরা গরিব, কাঠ কেটে বাজারে বিক্রি করে আমরা আমাদের সংসার চালাই।


বাবারা এখানকার যিনি ফরেস্ট অফিসার তিনী খুবই খারাপ ব্যক্তি। রকি বলল কেন চাচা কি হয়েছে? কাঠুরে একজন বলল বাবা আমরা ১০ বছর ধরে জঙ্গলে চুরি করে কাঠ বাজারে বিক্রি করি। তোমরা হয়তো আমাদেরে এখানে চারজন কাঠুরেকে দেখতে পাচ্ছ, আসলে বাবারা আমরা চারজন ছিলাম। মাহিন চারজন ছিলাম মানে চাচা আরেকজনের কি হয়েছে? কাঠুরে বলল আমরা দিন ধরা পড়ে যাবার ভয়ে রাতে কাঠ কাটতাম। সেদিনের রাতের কথা আজো মনে পড়ে যখন আমরা চারজন হাসিখুশি ভাবে বের হচ্ছি কাঠ কাটতে। আমরা চারজন একসাথে জঙ্গলে আসি কাঠ কাটার জন্যে। আমরা চারজন নিজ নিজ মতো কাট কাটছিলাম। এমনিতে আমাদের জঙ্গলে কাঠ কাটার ব্যাপারে সরকারিভাবে নিষেধ ছিল।


আমাদের ফরেস্ট অফিসার কয়েকবার সাবধান করেছিল জঙ্গলে কাঠকাটার ব্যাপারে। কিন্তু বাবারে আমরা গরিব এটা করেই আমাদের পেট চালাই, আমাদের পরিবার চালাই। সেইরাতে হঠাৎ ফরেস্ট অফিসার এসে যায়। আমাদের বলল তোমাদের বারবার সাবধান করার পরেও তোমরা জঙ্গলের কাঠ কাটতেছো। হারু অফিসারের হাতে পায়ে ধরে বলল স্যার আমরা গরিব এই কাঠ কেটে বিক্রি করার মধ্যে দিয়েই আমাদের পরিবার চালাই। আমাদের ছেড়েদেন স্যার আর আমরা জঙ্গলে আসবোনা কাঠ আর কাটবোনা। কিন্তু ফরেস্ট অফিসারের মনে দয়ামায়া কাজ করেনা। তিনি হারুকে তার হাতে থাকা বন্ধুক দিয়ে হত্যা করে।


সঙ্গে সঙ্গে হারু সেখানে মৃত্যুবরন করে। আমরা ভয় পেয়ে যাই। সেখান থেকে ভয় পেয়ে আমরা চলে যাই। কয়েকদিন আমরা আর জঙ্গলে কাঠ কাটতে আসিনা। বাবারা কয়দিন আর কাজ ছাড়া বসে থাকা যায়? এদিকে ঘরের চাল-ডাল শেষ হয়ে আসতে লাগলো। সেই কাজ ছাড়াতো অন্য কাজও ছিলোনা। তাই আমরা রাতে জঙ্গলে কাঠ কাটতে যাই। কাঠ কাঠছিলাম, হঠাৎ কান্নার শব্দ আসতে লাগলো সবাই কান্নার দিকে অনুসরন করতে করতে সামনের দিকে যাই। সামনে গিয়ে দেখি বসে বসে কে যেন কাঁদতেছে গিয়ে বললাম ভাই তুমি কাঁদছো কেন? কিছুই বলল না। আমােদের একজন তার গায়ে হাত দিয়ে তাকে দেখার জন্যে গিয়ছিল তারা দেখল যে সেই কান্না করা লোকটি আর কেউ নয় আমাদের বন্ধু হারু। আমরা দেখে সবাই তাকে ভয় পেয়ে যাই।


সে আমাদের দেখে বলতে লাগলো আমাকে সেদিন তোরা বাঁচালিনা কেন? আমাকে কেন তোদের মাঝে সে থাকতে দিলোনা? আমরা সবাই ভয় পেয়ে সবাই বাড়িতে চলে আসি। সেই থেকে আমরা আর রাতে কাঠ কাটতে বের হইনা। সবকিছু শোনার পর আমি বললাম যে চাচা! হারু চাচা আজও কান্না করে। কাঠুরে বলল তোমরা কি করে জানো? মাহিন বলল কারন চাচা আমরা গতকাল তার কান্না শুনতে পেয়েছি। আমরা সবাই কাল শুনতে পেয়েছি কান্নার শব্দ। চাচা হারু চাচার আত্তা আজও শান্তি পায়নি। আপনাদের ৩জনের উচিত তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেয়া তার কাছে। কাঠুরে বলল ও আমাদের পেলে আমাদের মেরে ফেলবে কারন আমরা তাকে সেদিন বাঁচাতে পারিনী। রকি না চাচারা ওনিতো আপনাদের বন্ধু ছিলেন ওনি আপনাদের কেন মারবেন? আপনারা আজ রাতে আমাদের সাথে আসুন ওনি আপনাদের কিছু করবেননা আমরা বুঝিয়ে বলব ওনাকে।


ওনারা রাজি হয়না পরে অনেক অনুরোধের পর তারা তিনজন রাজি হয় আমাদের সঙ্গে যেতে। রাতে তারা তিনজন আমাদের সঙ্গে ছিলো। রাত ১০টার দিকে আমরা সবাই হারু চাঁচার কান্না শুনতে পাই। আমরা কান্নার শব্দ ধরে সেইখানে যাই দেখি কেউ যেন বসে বসে কান্না করছে। সেটা আর কেউ ছিলোনা হারু চাচা তার কাছে গিয়ে বললাম চাঁচা আমরা আপনার কাছে জানতে চাই আপনি কাঁদছেন কেন? বলল তোমরা এখানে কেন এসেছো? চলে যাও। আর এই তিনজনকেও নিয়ে যাও। এই তিনজনের জন্যে আমার জীবন গিয়েছে। আমি বললাম কেন চাচা তারা কি করেছে? বলল আমার অকালে মৃত্যু হয়। আমি কতটা কষ্ট পেয়ে মরেছিলাম তোমরা জানোনা। আমারে তারা সেদিন বাঁচাতে পারতো কিন্তু তারা সেদিন আমাকে রেখে পালিয়ে চলে যায়।


তাদের জন্যে আমি আমার পরিবার থেকে দূরে চলে এসেছি। আমার বউ বাচ্চা অনাথ হয়ে গেছে। মাহিন বলল চাচা মৃত্যুকে সবাই ভয় পায় তারা সেদিন ভয় পেয়ে পালিয়ে চলে গেছিলো। কাঠুরেরা তার কাছে ক্ষমা চাইতে লাগলো বলল বন্ধু সেদিন ভয় ঘটনাটি ঠিক রাত ১০টার এক অচেনা অতিথীর আগমন ঘটে। তার আগে মূল ঘটনিা বলে নি যে আমরা বন্ধুরা মিলে কলেজ বন্ধের পর আমরা ঠিক করি যে কোথাও ঘুরতে যাবো,পরে সবাই ঠিক করে যে শুনসান জঙ্গল নামে একটা জঙ্গল আছে সেইখানে সবাই কয়েকদিনের জন্য পিকনিক করতে যাবে। আমরা পরে সবাই ঠিক করি যে আমরা ৫ডিসেম্বর শুনসান জঙ্গলের উদ্দেশ্যে গমন করবো।


বলতে বলতে সেই যাবার সময় চলে আসে। আমরা যাবার জন্যে একটা গাড়ি ভাড়া করি। আমরা সকাল ৯টার দিকে আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করি। আমাদের সেখানে যেতে ৮ঘন্টার মতো লেগেছিল। আমরা বিকাল ৪টার দিকে সেইখানে পৌছাই। জঙ্গলে গাড়ি ঢোকানো সম্ভব না তাই আমরা জঙ্গলের বাহিরে গাড়ি রেখে আমরা জঙ্গলে প্রবেশ করি। বলে রাখি যে আমরা ৫ বন্ধু ‍গিয়েছিলাম। আমি মাহিবী, রকি,মাহিন, রাহিম, তারেক। তো আমাদের জঙ্গলের ভিতরে যেতে বিকাল ৫টা বাজে। আমরা বন্ধুরা সেখানে যাবার পর সমতল যায়গা খুজি তাবু লাগানোর জন্যে। আমরা তিনটি তাবু লাগাই। প্রথমটাতে ছিলাম আমি আর মাহিন। পরেরটাতে ছিল রকি আর তারেক আর একটাতে ছিল রাহিম। রাত ৮ টার দিকে জঙ্গল থমথম করছে। চারদিকে নিস্তব্ধতা কোনো শব্দ নেই।


মাঝে মধ্যে হিংস্র প্রাণির আওয়াজ শোনা যায়। সব ঠিকঠাক করতে আমাদের রাত 9টা বেজে যায়। রাহিম, রকি, তারেক জঙ্গলের বাহিরে দোকান খুজে খাবার আনতে বের হয়েছিল। তারা তিনজন রাত ১১ টার দিকে ফেরে খাবার নিয়ে। সবাই খাবার খেতে খেতে রাত 12টা বেজে যায়। আমরা আগুন জ্বালিয়ে গোল করে বসে আগুনের গরম তাপ অনুভব করছিলাম, সাথে গিটার ‍নিয়ে গিয়েছিলাম তো মাহিন আমাদের গান শোনায়। রাত ২টার দিকে আমরা তাবুতে গিয়ে শুয়ে পড়ি। সবাই গুমিয়ে পড়েছিলাম গভীর ঘুমে। রাত আনুমানিক ৪টা বাজে একটা বিকট শব্দে রাহিমের ঘুম ভেঙ্গে যায়। হঠাৎ কোথেকে যেন ভেসে আসছে ভয়ঙ্কর কান্নার শব্দ। তখন রাহিমের চোখে অজস্র ঘুম। রাহিম আমাদের তাবুতে এসে আমাদের জাগালো। আমরাও সেই কান্নার শব্দ শুনতে পাই কিন্তু এদিক-সেদিকে দেখার পরেও খুজে পাওয়া গেলোনা কে কান্না করছে। যেখানে থেকে কান্নার শব্দ আসছে সেখানে গেলে সে কান্না মিলিয়ে যায়। পরে কিছুক্ষন কান্নার শব্দ বন্ধ হয়ে যায়। সবাাই তাবুতে ফিরে আসে তাবুতে চলে যাই। এইভাবে প্রথম রাতটি কেটে যায়। সকাল হবার পর সবাই রাতের ঘটনা নিয়ে কথা বলা শুরু করে। পরে আমি রকি আর মাহিন জঙ্গলের বাহির থেকে সকলের জন্য সকালের খাবার আনতে বের হই।


আমরা তিনজন হাটছিলাম। আমরা দেখলাম কয়েকজন কাঠুরে কাঠ কাটতেছিল, আমরা তিনজন তাদের নিকট যাই। তারা আমাদের দেখে কাঠ কাটা বাদ দিয়ে অন্যদিকে হাটা ধরলো। আমরা বললাম এইযে চাচারা দাঁড়ান ! তাদের আমাদের দেখে পালিয়ে চলে যাবাটা আমারদের থেকে অদ্ভত লাগলো। পরে আমরা তাদের জিগেস করলাম চাচারা আমাদের দেখে পালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন আপনারা? তারা বলল বাবারা আমরা গরিব, কাঠ কেটে বাজারে বিক্রি করে আমরা আমাদের সংসার চালাই। বাবারা এখানকার যিনি ফরেস্ট অফিসার তিনী খুবই খারাপ ব্যক্তি। রকি বলল কেন চাচা কি হয়েছে? কাঠুরে একজন বলল বাবা আমরা ১০ বছর ধরে জঙ্গলে চুরি করে কাঠ বাজারে বিক্রি করি। তোমরা হয়তো আমাদেরে এখানে চারজন কাঠুরেকে দেখতে পাচ্ছ, আসলে বাবারা আমরা চারজন ছিলাম। মাহিন চারজন ছিলাম মানে চাচা আরেকজনের কি হয়েছে? কাঠুরে বলল আমরা দিন ধরা পড়ে যাবার ভয়ে রাতে কাঠ কাটতাম।


সেদিনের রাতের কথা আজো মনে পড়ে যখন আমরা চারজন হাসিখুশি ভাবে বের হচ্ছি কাঠ কাটতে। আমরা চারজন একসাথে জঙ্গলে আসি কাঠ কাটার জন্যে। আমরা চারজন নিজ নিজ মতো কাট কাটছিলাম। এমনিতে আমাদের জঙ্গলে কাঠ কাটার ব্যাপারে সরকারিভাবে নিষেধ ছিল। আমাদের ফরেস্ট অফিসার কয়েকবার সাবধান করেছিল জঙ্গলে কাঠকাটার ব্যাপারে। কিন্তু বাবারে আমরা গরিব এটা করেই আমাদের পেট চালাই, আমাদের পরিবার চালাই। সেইরাতে হঠাৎ ফরেস্ট অফিসার এসে যায়। আমাদের বলল তোমাদের বারবার সাবধান করার পরেও তোমরা জঙ্গলের কাঠ কাটতেছো। হারু অফিসারের হাতে পায়ে ধরে বলল স্যার আমরা গরিব এই কাঠ কেটে বিক্রি করার মধ্যে দিয়েই আমাদের পরিবার চালাই। আমাদের ছেড়েদেন স্যার আর আমরা জঙ্গলে আসবোনা কাঠ আর কাটবোনা। কিন্তু ফরেস্ট অফিসারের মনে দয়ামায়া কাজ করেনা। তিনি হারুকে তার হাতে থাকা বন্ধুক দিয়ে হত্যা করে। সঙ্গে সঙ্গে হারু সেখানে মৃত্যুবরন করে। আমরা ভয় পেয়ে যাই। সেখান থেকে ভয় পেয়ে আমরা চলে যাই। কয়েকদিন আমরা আর জঙ্গলে কাঠ কাটতে আসিনা। বাবারা কয়দিন আর কাজ ছাড়া বসে থাকা যায়? এদিকে ঘরের চাল-ডাল শেষ হয়ে আসতে লাগলো। সেই কাজ ছাড়াতো অন্য কাজও ছিলোনা। তাই আমরা রাতে জঙ্গলে কাঠ কাটতে যাই।


কাঠ কাঠছিলাম, হঠাৎ কান্নার শব্দ আসতে লাগলো সবাই কান্নার দিকে অনুসরন করতে করতে সামনের দিকে যাই। সামনে গিয়ে দেখি বসে বসে কে যেন কাঁদতেছে গিয়ে বললাম ভাই তুমি কাঁদছো কেন? কিছুই বলল না। আমােদের একজন তার গায়ে হাত দিয়ে তাকে দেখার জন্যে গিয়ছিল তারা দেখল যে সেই কান্না করা লোকটি আর কেউ নয় আমাদের বন্ধু হারু। আমরা দেখে সবাই তাকে ভয় পেয়ে যাই। সে আমাদের দেখে বলতে লাগলো আমাকে সেদিন তোরা বাঁচালিনা কেন? আমাকে কেন তোদের মাঝে সে থাকতে দিলোনা? আমরা সবাই ভয় পেয়ে সবাই বাড়িতে চলে আসি। সেই থেকে আমরা আর রাতে কাঠ কাটতে বের হইনা। সবকিছু শোনার পর আমি বললাম যে চাচা! হারু চাচা আজও কান্না করে। কাঠুরে বলল তোমরা কি করে জানো? মাহিন বলল কারন চাচা আমরা গতকাল তার কান্না শুনতে পেয়েছি।


আমরা সবাই কাল শুনতে পেয়েছি কান্নার শব্দ। চাচা হারু চাচার আত্তা আজও শান্তি পায়নি। আপনাদের ৩জনের উচিত তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেয়া তার কাছে। কাঠুরে বলল ও আমাদের পেলে আমাদের মেরে ফেলবে কারন আমরা তাকে সেদিন বাঁচাতে পারিনী। রকি না চাচারা ওনিতো আপনাদের বন্ধু ছিলেন ওনি আপনাদের কেন মারবেন? আপনারা আজ রাতে আমাদের সাথে আসুন ওনি আপনাদের কিছু করবেননা আমরা বুঝিয়ে বলব ওনাকে। ওনারা রাজি হয়না পরে অনেক অনুরোধের পর তারা তিনজন রাজি হয় আমাদের সঙ্গে যেতে। রাতে তারা তিনজন আমাদের সঙ্গে ছিলো। রাত ১০টার দিকে আমরা সবাই হারু চাঁচার কান্না শুনতে পাই। আমরা কান্নার শব্দ ধরে সেইখানে যাই দেখি কেউ যেন বসে বসে কান্না করছে।


সেটা আর কেউ ছিলোনা হারু চাচা তার কাছে গিয়ে বললাম চাঁচা আমরা আপনার কাছে জানতে চাই আপনি কাঁদছেন কেন? বলল তোমরা এখানে কেন এসেছো? চলে যাও। আর এই তিনজনকেও নিয়ে যাও। এই তিনজনের জন্যে আমার জীবন গিয়েছে। আমি বললাম কেন চাচা তারা কি করেছে? বলল আমার অকালে মৃত্যু হয়। আমি কতটা কষ্ট পেয়ে মরেছিলাম তোমরা জানোনা। আমারে তারা সেদিন বাঁচাতে পারতো কিন্তু তারা সেদিন আমাকে রেখে পালিয়ে চলে যায়। তাদের জন্যে আমি আমার পরিবার থেকে দূরে চলে এসেছি।


আমার বউ বাচ্চা অনাথ হয়ে গেছে। মাহিন বলল চাচা মৃত্যুকে সবাই ভয় পায় তারা সেদিন ভয় পেয়ে পালিয়ে চলে গেছিলো। কাঠুরেরা তার কাছে ক্ষমা চাইতে লাগলো বলল বন্ধু সেদিন অনেক ভয় পেয়েছিলাম বন্ধু তাই চলে গেছিলাম। আমাদের তুই ক্ষমা করে দে। আমরা কথা দিচ্ছি যে আমরা ৩জন তোর বউ বাচ্চার সকল দায় দায়িত্ব আমরা ‍নিলাম। আমরা সবাই তার কাছে অনুরোধ করলাম। হারু চাচা আমাদের কথা শুনে ‍৩কাঠুরে চাচাকে ছেড়ে দেয়। হারু চাচা বলল আমার অতৃপ্ত আত্তা অনেক শান্তি পেয়েছে। সবাই তোমরা ভালো থেকো। বিদায়.....

গল্পটা কেমন হলো জানাবেন। প্রথমবার লিখলাম জানিনা খারাপ ভালো কেমন হয়েছে। উৎসাহ পেলে আরো লেখার চেষ্টা করব......


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Horror