রহস্যময় হোটেল
রহস্যময় হোটেল
অনেক অপেক্ষার পর অবশেষে আমাদের এসএসসি পরিক্ষা শেষ হলো।কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা তখনই তৈরি হলো।এর পর কি করা যায়!
সবাই তো নিজ নিজ ইচ্ছা মতো কলেজ এ যাবে।কেউ আবার আমাদের ছেড়ে চলে যাবে।
কলেজ এ ভর্তি হওয়ার আগের সময়টুকুকে স্মৃতির আঙ্গিনায় ধারন করে রাখা প্রয়োজন।ভবিষ্যৎ এ এটাই আমাদের আনন্দ দেবে।
মনে করিয়ে দেবে যে,আমাদের জীবন কতোইনা রঙ্গিন ছিল।
(এতো কথা বাদ,মুল গল্পে আসা যাক)
আমার নাম মুন্না।
আমরা কিছু বন্ধু মিলে ঠিক করলাম,এই অবসর সময়টুকুতে কোথাও থেকে ঘুরে আসা যাক।কি জানি এর পর সময় পাই কি-না পাই।
তো আমরা ৪-৫ জন বন্ধু রাজি হলাম।
আমি,সবুজ,রাকিব,তাপস,কামরান।
সবাই মিলে ঠিক করলাম কক্সবাজার এ যাবো।
আমাদের মধ্য সবুজ ইন্টার্নেট সম্পর্কে একটু বেশিই জানে।তাই সে কোথা থেকে জানি একটা হোটেলের খোজ পায়।যাতে অন্যসব হোটেলের তুলনায় অনেক কম ভাড়া।যাক ভালোই হলো।কম টাকা খরচ হবে।
সবুজরে জিজ্ঞাসা করলাম,এটা কোন ওয়েবসাইট এ পাইলি?
সবুজ:ডার্কওয়েব থেকে।
মুন্না:কিন্তু এটা তো বে-আইনি!
সবুজ:ছাড়তো,কম টাকায় পাইতাছি।আর কি চাই!
রাকিব:আসলেই।
আমরা ঠিক করা তারিখে সকাল ১০ টায় ঢাকা হতে রওনা দিলাম।এতো দেরি হওয়ার কারন রাকিব,কামরান। হালারা প্রচুর অলস।
যাইহোক, ভ্রমন টা ট্রেনে হচ্ছে।
অনেক ভালো লাগছে।কেমন রোমাঞ্চকর অনুভুতি হচ্ছে। সবাই খুব মজা করলাম।
অবশেষে আমাদের গন্তব্যে পৌছে গেলাম।
তাপস:এটা কি?আমরা কোথায় এলাম?এই স্টেশন এ তো একটা লোকও নেই।
কামরান:তাইতো,,এটা কেমন জায়গারে বাবা!রাত ১০:০০ টা বাজে।অথচ কোনো মানুষের আনাগোনা নেই এখানে।
মুন্না:ওই সবুজ।হোটেল এ ফোন কর।দেখ কোনো লোক পাঠায় নাকি, আমগো লইতে।
সবুজ ফোন করতে যাবেই,এমন সময় চাদর মোরানো এক আধাবয়সী বৃদ্ধ পেছন থেকে হঠাৎ সবুজের কাধে হাত রাখলো।
সবুজ ভয়ে লাফ দিয়ে উঠলো।লোকটির মুখ দেখা যাচ্ছে না।
মুন্না:আপনিতো আজব মানুষ।কথা নেই বার্তা নেই হঠাৎ কেউ পেছন থেকে এমন করে ভয় দেখায়?
লোকটি:ক্ষমা করবেন বাবু।আপনারাই তো তারাই তাইনা?যারা আমাদের হোটেল এ রুম বুক করেছেন।
(এক ভারী কন্ঠে বললো)
রাকিব:হ্যা।
লোকটি:আমার সাথে আসুন।
আমরা তার পিছু পিছু হাটতে লাগলাম।
সামনে একটি গরুর গাড়ি ছিল।লোকটি ওটাতে উঠতে বললো।
কামরান:কি?এখন আমাদের গরুর গাড়িতে করে যেতে হবে?
আমি:আব্বে হালা,এতো কম টাকায় এর চেয়ে আর কি আশা করোস?
এই যুগেও এমন জায়গায় গরুর গাড়ির ভ্রমণ। কেমন জানি অদ্ভুদ লাগলো।আমরা চড়ে বসলাম।গাড়ি চলতে আরম্ভ করলো।আশেপাশে খুবই নিরবতা বিরাজ করছে।জনমানবহীন জনপথ।
কোনো মানুষের আনাগোনা নাই।
চারপাশ কেমন জানি থমথমে অবস্হা বিরাজ করছে।
আমরা সবাই একটু ভয় পেয়ে ছিলাম।তবে অনেক ভসলোও লাগছিল।বন্ধুদের সাথে এমন রোমাঞ্চকর অনুভুতি আসলেই মজাদার।
অবশেষে হোটেলে এসে পৌছলাম। গাড়ি থেকে নামলাম।
সামনেই বিরাট বাংলো।অনেক পুরাতন বাংলোটি।
কেমন জানি গা ঝমঝমে বেপার লুকিয়ে আছে এখানে।একদম ভুতুড়ে পরিবেশ।সবাই একটু ভয়ে ছিলাম।লোকটি আমাদের হোটেলের ভেতরে নিয়ে গেল।ভেতরে প্রবেশ করতেই কেমন এক ঠাণ্ডা হাওয়া আমাদের সকলের দেহকে কম্পন করে চলে গেল।শরীর টা শিহরীত হয়ে গেল।লোম খারা হয়ে গেল।লোকটি বললো:রাত ১১:০০টার পর বাহিরে যাবেন না বাবুরা।আশেপাশে হিংস্র জন্তু রা থাকে।
আমরা এসবে কান দিলাম না।
সকল ফর্মালিটি পুরোন করে আমরা নিজ নিজ রুম এ গেলাম।মোট ২ টি রুম নিয়েছি।
রুমে যাওয়ার একটু পর লোকটি রাতের খাবার নিয়ে আসেন।আমরা খেয়ে দেয়ে ক্লান্ত শরীর টাকে বিশ্রাম দিলাম।সবাই ঘুমিয়ে পরলাম।
হঠাৎ স্বপ্নে দেখি,একটা মেয়ে সমুদ্রের তীরে দারিয়ে আমায় ইশারা দিয়ে ডাকছে।মেয়েটি ছিল অসম্ভব সুন্দরী।১৬-১৭ বছর বয়স হবে।
আমি ঠিক বুঝলাম না।মেয়েটি কি ইশারা করছে?
কি বোঝাতে চাচ্ছে সে?
সকালে সবাই ঘুম থেকে উঠলাম।
একসঙ্গে বাগানে বসে আছি সবাই।সবাই গল্প করছিলো।
আমি সেই মেয়েটির কথা ভাবছি।
রাকিব:কিরে!কি ভাবোস?
আমি সব বললাম।রাকিব ভয় পেয়ে দাড়িয়ে পরলো।
আমি:কি হলো?
রাকিব:এটা কি ভাবে সম্ভব?আমিও তো গত রাতে ঠিক একই স্বপ্ন দেখেছি।
আমি অবাক হয়ে গেলাম।
সাথে সাথে সবুজ,তাপস,কামরানও বলে উঠলো
আমরাওতো একই স্বপ্ন দেখেছি।
মানে আমরা ৫ জনই একই স্বপ্ন দেখেছি?
এটা কিভাবে হতে পারে?
আমরা সবাই ভয় পেয়ে গেলাম।
এটা বুঝতে বাকি রইলোনা যে,
আমাদের সাথে কিছুতো একটা খারাপ হতে চলেছে।
আমরা এসব নিয়ে আর মাথা ঘামালাম না।
যেটা করতে এসেছি সেটাতেই বরং মনোনিবেশ করি।
আমরা সবাই সারা দিন অনেক মজা করলাম,সমুদ্রের তীরে খেলা করলাম,বিভিন্ন রাইটস এ উঠলাম।
সমুদ্রে গোসল করলাম।
এবং এগুলো সব ক্যামেরায় ধারন করে রাখলাম। স্মৃতির জন্য।
এদিকে সবুজ কি যেন চিন্তা করছে।
তাপস:কিরে কি হইছে?
সবুজ:.........না কিছু না।
তাপস:ওকে।আয়!
সারাদিন ওনেক ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যায় হোটেলের দিকে রওনা হলাম।
সন্ধ্যায় পথটা অনেক ভয়ংকর হয়ে ওঠে।
জীবন্ত হয়ে ওঠে চারপাশ।
আমরা পাচজন একসঙ্গে হাটছিলাম। হঠাৎ রাকিব চিৎচার দিয়ে ওঠে।
আমি:কিরে কি হইছে?
রাকিব:ঝোপের আরালে একটা মেয়েকে দেখলাম।
শরীর পুরোটা পুরে গেছে।মাংস খসে খসে পরছে দেহ থেকে।
আমি:কি বলিস,আজগবি!
কামরান :মনে হয়,ভুত!
সবুজ:ধুরু,ভিতু কোথাকার। ভুত তুত আবার হয় নাকি?এটা আমাদের মনের ভুল।
রাকিব:আরে না।আমি স্পস্ট দেখলাম।
তাপস:ভাই,এখানে থাকা উচিৎ হবে না!তারাতারি চল।
অতপর,আমরা জলদি জলদি হেটে হোটেলে পৌছালাম।
হোটেল এ রাতের খাবার খেয়ে রুমে গেলাম ঘুমানোর জন্য।আমরা পাচ জনই রুমে বসে ছিলাম।
তৎক্ষণাৎ কে যেন ডাকছে বাহিরে।
খেয়াল করলাম মেয়ে মানুষের কন্ঠ।তো রাকিব গেল দরজা খুলতে।
দরজা খুলেই রাকিব দেখতে পায়
সাদা কাপড় পরা এক মেয়ে দারিয়ে আছে।
এলোমেলো চুল,চুলগুলো সামনের দিকে ঝুলে আছে।
মেয়েটির মুখ দেখা যাচ্ছে না।
ওই মেয়েটি রাকিবের দিকে হাত বারিয়ে দিতেই রাকিব পেছনে তাকিয়ে আমাদের ডাক দিল।এরপর সামনে তাকাতেই দেখলো,মেয়েটি অদৃশ্য হয়ে গেছে।
আমারা সবাই দরজায় গেলাম,
আমি:কিরে কি হইছে?
রাকিব:আরে একটা মেয়ে ছিল দাড়িয়ে এখানে,অদ্ভুদ দেখতে।তোদের ডাকতেই মেয়েটি উধাও হয়ে গেছে।
সবুজ:এই মোটায় নিশ্চয় নেশা করছে।এক নিমিশে কেই কিভাবে উধাও হয়ে যেতে পারে?তোর ভয় পাওয়াটা আর গেলো না।
রাকিব:আমি সত্যি কইতাছি।তোরা বাল কিছু বুঝবার চাস না কেন!
কামরান:আমার মনে হয় রাকিব ঠিকই বলছে।দেখলি না এখানে আসার পর থেকে আমাদের সাথে কতো অদ্ভুদ ঘটনা ঘটছে!
আমি:আচ্চা এসব বাদ দে,এখানে আমরা মজা করতে আসছি।এসবের কারনে মজা টাই নষ্ট হয়ে যাবে।এসব ভাবনা চিন্তা বাদ দিয়ে যা,ঘুমিয়ে পর।
সবাই ঘুমাতে গেলাম,
মাঝরাতে,২:২৫ হবে।তখন কামরাম চিৎকার দিয়ে উঠলো।আমরা সবাই জেগে গেলাম।
তাপস:কিরে কি হইছে,এমনে চিৎকার দেস কেন?
কামরান:ওই মেয়েটি,আমায় মারতে আসছিল।
সবুজ:ওই যে আবার।রাকিবের মতো কামরানও পাগল হয়ে গেছে।
কামরান:ধুর না,আমি স্বপ্নে দেখলাম,একটা মেয়ে পাশের জঙ্গলে দারিয়ে আছে।আর আমায় ডাকছে।
আমি তার কাছে যেতেই সে ডানদিকে কি যেন ইশারা করে বললো,বাচাও!
আর উধাও হয়ে গেল,এমন সময় আমি খেয়াল করলাম জঙ্গলের গভিরে চলে এসেছি।আশেপাশে ঝিঝিপোকার আওয়াজ।ভয়ে আমার পেন্ট ভিজে জাওয়া জাওয়া অবস্হা। তখনি হঠাৎ করে আমার কাধে হাত দিল মেয়েটি।পেছে তাকতেই দেখি মেয়েটি নেই,আছে শুধু তার অর্ধকাটা হাতটি।পচা এই হাত আমার কাধ থেকে গলা পর্যন্ত উঠে আমার গলা টিপে ধরলো।আর আমি চিৎচার দিতেই ঘুম ভেঙ্গে গেল।
আমি:হুমম,,,,আরে বাবা। এতো ভয় পাওয়ার কি আছে?এটা তো শুধু মাত্র একটা স্বপ্ন।
সবুজ:তাইতো।যাহ ঘুমা।
অতঃপর সবাই আবার ঘুমিয়ে পরলাম।
সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে আবার আমরা বেড়িয়ে পরলাম ঘোরার জন্য।সারাদিন ঘোরাঘুরি আর খাওয়াদাওয়া করে কাটালাম।সময়টা অনেক ভালো যাচ্ছিল আমাদের।এই আনন্দের ভিতরে রাকিব এবং কামরান তাদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো ভুলেই গেছে।যাক বাবা।
সারাদিন আনন্দ করে কাটিয়ে ক্লান্ত শরীর নিয়ে হোটেল এ পৌছালম।আমাদের রাতের খাবার খেতে বসলাম একসঙ্গে টেবিলে।
হঠাৎ সবুজের কি যেন মনে পরলো।
সবুজ:তোরা থাক।আমি রুমথেকে মোবাইল টা নিয়ে আসছি।
আমি:আচ্ছা।
রাকিব:ওই তোর ভাগের খাবার আমি খেলাম
সবুজ:হালারপো,খালি ধইরা দেখ।
আমি:হালা পেটুক।
রাকিব:ওই তুই আমার ৪০ টাকা দে আগে।
আমি:আআআআরে বন্ধু,তুই আমার খাবার নে।আমি কি না করছি।
রাকিব:লাইনে আইসোস তাইলে।
সবুজ:হাহাহা,,আচ্ছা আমি আসছি।
এই বলে সবুজ রুমে চলে গেল।আমরা নিজেদের খাবার খেতে ব্যাস্ত হয়ে পরলাম।একটু পর সবুজ হাপাতে হাপাতে আমাদের সামনে এলো।তার চোখমুখ
দেখে মনে হলো সে এমন কিছু দেখেছে যা তার দেখা উচিৎ ছিল না।আমরা খাবার খাওয়া বাদ দিয়ে তাকে ধরলাম।
আমি:কিরে তোর কি হইছে?
সবুজ কিছুই বলতে পারছে না।তার শরীর সম্পুর্ন কাপছে।হৃদস্পন্দন বেরেই চলেছে।
সবুজ শুধু তার হাত দিয়ে রুমের দিকে ইশারা করলো।
আমি আর তাপস গেলাম রুমের দিকে।
রাকিব আর কামরান সবুজকে সান্ত করার চেষ্টা করছে।
রুমের দরজা খুলেই যা দেখতে পাই তা দেখার জন্যও মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না আমারা।
দেখলাম একটি অর্ধগলা লাশ আমাদের ফ্যানের সাথে ঝুলছে।তার চোখ খোলা অবস্হাতেই আছে।সাদা কাপর পরা।দেখেই আমি আর তাপস ধাপাস করে রুমের দরজা লাগিয়ে দৌরে পালিয়ে আসলাম।
এসে সবাইকে এই ঘটনা বললাম।সবাই ভয় পেয়ে যায়।
আমি বললাম,এটা অশুভ হোটেল।এখানে আসার পর থেকে এ সকল অদ্ভুদ ঘটনা আমাদের সাথেই ঘটছে।
সবুজ:এটা কোনো কাল্পনিক না।এটা বাস্তব।
রুম বুক করার আগে বলা হয়েছিল এখানে আত্মারা আছে।যা আমাদের শান্তিতে থাকতে দেবে না।
রুমে ভাড়ার রেট কম ছিল।তাই আমি ভাবছিলাম এসব বানানো গল্প।সত্যি কোনো অশরীরী হয় নাকি।
কম টাকা তাই হয়তো আমাদের তারাতে চাচ্চিল তারা।
আর এসব তোদেরকেও বলিনি।কারন আমি জানি ভুত তুত কিছুই হয়না।শুধু শুধু তোদের ভয় দেখাতে যাবো কেন।
আমি:হালা,,সেই জন্যই বলেছিল।এসব আলতুফালতু ওয়েবসাইট থেকে দুরে থাক।
তাপস:আচ্চা,আমাদের এই হেটেলের ম্যানেজার এর সাথে কথা বলতে হবে।
সবাই গেলাম ম্যানেজার এর কাছে।কিন্তু তিনি ুসব বেপারে কথা বলতে নারাজ।
অমেক জোরাজুরির পর রাজি হলো।
ম্যানেজার :আজ থেকে ৭ বছর আগে এখানকার মালিক ও তার স্ত্রী এখানে ঘুরতে এসেছিল।সদ্য বিবাহ হয়েছিল তাদের।কিন্তু মালিক ছিল অন্য মেয়ের প্রেমে পাগল।তাই সে তার স্ত্রীকে এখানে নিয়ে এসেছিল মারার জন্য।একদিন খাবারের সাথে ঘুমানোর ঔষধ মিশিয়ে দিয়ে খাইয়ে দেয় তার স্ত্রীকে। তার স্ত্রীর দেহকে সেই রুমের ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দেয়।এবং পরে তার দেহকে পাশের জঙ্গে পুতে ফেলে।এই ঘটনার কিছু বছর পর হোটেলের মালিক ও তার প্রেমিকাও আসে হানিমুনএর জন্য।কিন্তু তার আগের স্ত্রীর আত্মা তাদের নৃশংস ভাবে হত্যা করে।যে লাশ দুটি দেখেছে তারা কয়েক সপ্তাহ জ্বরে পরেছিল ভয়ে।
এতোটা নৃশংস ছিল তাদের মৃত্যু। কিন্তু ওই মেয়েটির আত্মা এতেও সন্তুষ্ট ছিল না।এই হোটেলে আশা প্রতিটি পুরুষের মধ্য সে তার স্বামীকে দেখতে পায়।এবং তাদেরও অবস্হা তার স্বামীর মতো করে।
আর তোমাদের ভাগ্য ভালো,তোমরা পাচজন ছিলে।আর একসঙ্গে থাকার কারনে তেমরা আজও বেচে আছো।-
আমরা সবাই ঢোক গিল্লাম।আমরা মৃত্যুর এতোটা কাছে ছিলাম?ভাবতেই অবাক লাগে।অনেক হয়েছে
ঘোরাঘুরি। জীবন থাকলে এমন হাজারবার ঘুরতে পারবো।আপাতত জীবন বাচাই।আমরা সবাই ঠিক করলাম এই মুহুর্তে এখান থেকে চলে যাবো।
সব কাপর চোপর গুছিয়ে নিয়ে আবার গরুর গাড়িতে রওনা দিলাম স্টেশন এর উদ্দেশ্যে।
স্টেশন এ ট্রেন আসলো সবাই উঠে পরলো।আমি উঠতে যাবো এমন সময়ে ডানদিকে তাকিয়ে দেখি ষ্টেশন এর শেষে সাদা কাপড় পরা সেই মেয়েটি দারিয়ে আছে।ওরে বাবা।
আর দেরি না করে ট্রেনে চরে বসলাম।
সবাই একসাথে একই কেবিনে বসে ফিরলাম ঢাকায়।
এমন ঘটনা আমাদের সারা জীবন মনে থাকবে।থাকারই কথা,এমন ভুতুড়ে ঘটনা ভোলার মতো না।
অল্পের জন্য প্রান বেচেছে আমদের।
:

