রবির আলোয়
রবির আলোয়


রিয়ার এখন ক্লাস সেভেন। উত্তর কলকাতার নামি সরকারি স্কুলের মেধাবী ছাত্রী। ব্যবহারেও স্কুলের সকলের প্রিয় সে। এই নিয়ে পরপর ৩ বছর ক্লাস প্রিফেক্ট ।
সকাল ১০টা থেকে ৫টা - স্কুলের এই সময়টুকু বড় ভালো কাটে রিয়ার। স্কুলের সামনেই ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে তার বাড়ি। রিয়ার এখন মাঝে মাঝেই বন্ধুদের সাথে একা বাড়ি ফিরতে ইচ্ছে করে। কিন্তু রিয়ার মা মানে পরমা কিছুতেই তা হতে দেবেন না। পরমা এখনো মনে করেন গাড়ি-ঘোড়া সামলে রাস্তা পার হবার মতো বয়স এখনো হয়নি রিয়ার।তাই অগত্যা মায়ের সাথেই উসটুম-ধুসটুম গপ্পো করতে করতে প্রতিদিনের বাড়ি ফেরা। যদিও রিয়াদের বাড়িকে ঠিক বাড়ি না বলে সেটাকে তার মাথা গোজার ঠিকানা বলাই ভালো। উত্তর কলকাতার বুকে প্রোমোটারদের থাবা বাঁচিয়ে কোনোরকমে বিপজ্জনক বাড়ির তকমা গলায় ঝুলিয়ে কঙ্কালসার কাঠামোটুকু নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তিমান বিপদ ছাড়া সেটি আর কিছুই নয়। প্রায়ই এদিক ওদিক থেকে জিভ ভ্যাংচাচ্ছে ইটের পাঁজর, এধার ওধার থেকে বিনা নোটিশে গায়ে মাথায় বেআক্কেলের মত খসে পড়ছে বা ধসে পড়ছে পলেস্তারা, মায় দেওয়াল অব্দি। তবু প্রাণ হাতে করে সেখানেই বাস গোটা চল্লিশ পরিবারের। পাড়ায় পরিচিতি মেসবাড়ি নামে তবে লোকে পেছনে ওটাকে হানাবাড়িও বলে। অধিকাংশ পরিবারের কর্তাই কোনো এক ঐতিহাসিক কালে সেই বাড়ির মালিকের অধীনে চাকরি করতেন বলে অফিস কোয়ার্টার হিসেবে পেয়েছিলেন ঘরগুলো।তারপর সেই ঘরগুলোকেই আপন মনে করে পুরুষানুক্রমে ভোগদখল করে গেছেন বছরের পর বছর। না গুনেছেন ভাড়া আর না ছেড়েছেন ঘর। বাসিন্দারা যেমন নাছোড়বান্দা তেমন প্রয়োজন বিশেষে কাজ না হওয়ায় বাড়ি খালি করার জন্য অন্য পথ নিতে হয়েছে বাড়ির মালিককেও । ইতিহাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়নের রণনীতি মনে আছে আশা করি। নেপোলিয়নের মত তিনিও প্রায় একই ভাবে unauthorised employee মানে ওই জবরদখলকারীদের হাতে না মেরে ভাতে মারার বন্দোবস্ত করেছেন। ফলে বাড়ির কোনো সংস্কার তো দুরস্ত, আলো গেলে আলো আসে না , জল গেলে জল আসে না। রিয়ার বাবার মতো হাতে গোনা ১০টি পরিবারের কর্তারা এখনো চাকরি করছেন বাড়ির মালিকের নিজস্ব অফিসে। তবে বাকি সকলের পাপের ফল ভোগ করছেন তারাও। এর মধ্যে আবার সেই কোম্পানির অবস্থাও বছরের অধিকাংশ সময় প্রায় ভেন্টিলেশনে থাকে।ফলে সংসারে প্রায় প্রতিদিনই নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। রিয়ার মা বাবা তার মধ্যেও যতটা সম্ভব স্বাচ্ছন্দ্যে সোহাগে যত্নে আগলে রাখেন রিয়াকে। নিজেদের অপ্রাপ্তির ঝুলি পূরণ করতে চান রিয়াকে দিয়ে।অনেক স্বপ্ন তাঁদের মেয়েকে নিয়ে।
রিয়াও খুব বাধ্য মেয়ে। মেসবাড়ির আর পাঁচটা ছেলে-মেয়ের থেকে তাকে সহজেই আলাদা করা যায়। শত্তুরের মুখে ছাই দিয়ে রিয়া যেন তাদের স্নেহে শাসনে পাঁকে পদ্মফুল হয়ে ফুটে উঠছে ।
রিয়ার স্কুলটিও কলকাতার প্রথম সারির মেয়েদের স্কুল। রজতাভ বা পরমার মেয়ে যে কোনোদিন ওই স্কুলে পড়তে পারে তা তাদের কোনোদিন কল্পনাতেও আসেনি কারুর । এমনকি মেয়ের বিদ্যাবুদ্ধির ওপর এতটা আস্থা ছিল না তাদের নিজেদেরও । বলা যায় ছোট্ট রিয়ার একার সাহস আর বায়নাতেই তাঁরা এই স্কুলে ভর্তির জন্য ফর্ম তুলেছিলেন । ভেবেছিলেন সরকারি স্কুল আর মাইনের যখন চাপ নেই তখন বসেই দেখুক। না হলে পাড়ার স্কুল তো রইলই। রেজাল্ট বেরোনোর দিন তাই রজতাভ তেমন কোনো গরজ দেখাননি লিস্ট দেখতে যাবার। কিন্তু সকাল থেকে রিয়া ব্যস্ত করে তুলেছিল তার বাবাকে লিস্ট দেখতে যাবার জন্য। রজতাভ অনিচ্ছাসহকারে যখন স্কুলের সিংহদরজার কাছে এলেন ততক্ষনে বন্ধ হয়ে গেছে স্কুল। কোনোমতে সেদিন মেয়ের রাগ কমিয়ে পরদিনই ছুটতে হলো স্কুলে। ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্টে একেবারে প্রথমের দিকেই রিয়ার নাম দেখে প্রথমে তো নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেননি রজতাভ। বারবার মিলিয়ে দেখেছিলেন লিস্টে থাকা পরীক্ষার্থীর অভিভাবকের নাম, ক্রমিক নম্বর। এই রিয়া যে তারই ঔরসজাত সেটা নিশ্চিত হতে চাইছিলো বারবার। এতো বড়ো সুখবর একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল তাদের কাছে। ব্যাপারটা জানতে পেরে চোখ টেরিয়ে গিয়েছিলো বাড়ির আর পাঁচজনের। সমালোচনা কম হয়নি।এমনকি অনেক উৎসাহী এতবড়ো খবর বিশ্বাস করতে না পেরে নিজেরা লুকিয়ে দেখে এসেছিলেন স্কুলের নোটিশবোর্ডে ঝোলানো নামের তালিকা।
যাই হোক মেসবাড়ির আঁশটে গন্ধ বাঁচিয়ে মেয়েকে আস্তে আস্তে এভাবেই বড় করছিলেন তারা। সেই পথে চলতে গিয়ে দুজনকেই ছাড়তে হয়েছে অনেক কিছু , করতে হয়েছে অনেক ত্যাগ স্বীকার। দেখতে দেখতে আজ সেই রিয়া ক্লাস সেভেন। রিয়ার প্রসংশায় পাড়ার সকলেই পঞ্চমুখ। অনেকেই নিজের ছেলে মেয়েকে মানুষ করার সময় রিয়ার উদাহরণ দেন। গর্বে ভরে ওঠে পরমার বুক। ছোট থেকেই রিয়া বুঝতে শিখেছে অনেক কিছু। চোখ খুলে দেখতে শিখেছে চারপাশ। এখন মেয়েকে নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিন্ত রায়দম্পতি।
আজ স্বাধীনতা দিবস। সকাল সকাল স্কুলে গেছে মেয়ে। রিয়া খুব ভালো প্যারেড করে। এবছর প্রথমবার লিড করছে সূর্যমুখী হাউসকে। পরমাও গেছে মেয়ের স্কুলে। আজকের মত দিনগুলোতে পরমা রিয়ার আরশিতে যেনো খুঁজে পায় তার ফেলে আসা মেয়েবেলা। টুকরো টুকরো রঙিন স্মৃতিরা ভীড় জমায় চোখের কোণে ।
রজতাভ বাড়িতে অপেক্ষা করছিলেন পরমা আর রিয়ার ফিরে আসার জন্য। ফিরে এলে ওদের নিয়ে আবার বিকেল বেলা যেতে হবে অশোকনগর।
সময় মতোই স্কুল থেকে এসে চটপট তৈরী হয়ে নিলো রিয়া। রজতাভ আর দেরি করলেন না। অত দূর আজকের দিনে সপরিবারে যাবার তেমন ইচ্ছে ছিল না তাঁর। নেহাত অনিমেষের বিয়ে আর এমন অফিসতুত বন্ধুর নিমন্ত্রন রক্ষা না করলে অন্যায় হবে তাই ছুটির দিনের বিছানার আলসেমি ছেড়ে বাধ্য হয়ে বেরোবেন বলে মনস্থির করেন|
সেই মত সবাইকে নিয়ে দুপুর দুপুর বেরিয়ে পড়লেন রজতাভ। বনগাঁ লাইনের ট্রেনে এমনিতেই ছুটির দিনেও ভিড় হয় আর তাছাড়া তাড়াতাড়ি ফিরেও আসতে হবে। কাল তো আবার অফিস। সেই সাথে কাল আবার পরপর দুটো জরুরি মিটিংও আছে। তাই চাইলেও অফিস ডুব দিয়ে বাড়ি বসে ল্যাদ খাবার জো নেই। অফিস পৌঁছতে দেরি হলে আবার বড়োসাহেবের গালমন্দ শুনতে হবে। এই বয়সে এসব আর নেওয়া যায় না।
বাস পেতে দেরী হল খানিক। উল্টোডাঙা পৌঁছেও আবার কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন। ফলে ফস্কে গেল ৩টে ৩৫এর হাবড়া লোকাল। মিনিট কুড়ি পর ৪টের বনগাঁ লোকালে উঠতে হলো। বেজায় ভিড়। কামরায় তিল ধারণের জায়গা নেই|কে বলবে আজ ছুটির দিন! কোনোরকমে রিয়া আর পরমা নিজেদের কামরার ভেতর গুঁজে দিতে পারলেও রজতাভ বাদুড়ঝোলা হয়েই থাকলো।
একটার পর একটা স্টেশন আসতে লাগলো। ভিড়ের চাপ বাড়তে লাগলো ক্রমশ। ঘামের নোনা দুর্গন্ধে বারবার নিঃস্বাস বন্ধ হয়ে আসছিলো রিয়ার। কোনোরকমে পাশের হ্যান্ডেলটা ধরে পা উঁচু করে দম নিতে যাচ্ছিলো এমন সময়ই পাশের জনের ফলের ঝাঁকাতে বেশ জোরে ঠুকে গেলো মাথাটা। হাওয়াতো খাওয়া হলোই না উল্টে ওই ঝাঁকাতে সুন্দর করে বাঁধা চুল জড়িয়ে পেঁচিয়ে যাচ্ছেতাই ব্যাপার হলো। ততক্ষনে ট্রেন ধুঁকতে ধুঁকতে বিরাটি স্টেশন ঢুকছে। ঝাঁকাওয়ালা হন্তদন্ত হয়ে এগিয়ে গেলো নামবে বলে আর প্রায় পরমুহুর্তেই শশব্যস্ত হয়ে কোনদিকে না তাকিয়ে রিয়ার চুলের গোছা সমূলে উপরে নিয়ে হুড়মুড়িয়ে নেমে পড়লো। রিয়ার ব্যথা বেদনা চিৎকার-কান্না সবই হারিয়ে গেলো জনস্রোতে। পরমা মেয়ের মাথায় ব্যস্ত হাতে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে অপেক্ষা করতে লাগলেন নরকযাত্রা শেষ হবার। তারও বেশ কিছুক্ষণ পর অবশেষে এলো বহু কাঙ্খিত অশোকনগর স্টেশন।
রিয়া দূর থেকে শুনতে পেলো বাবার গলা-" মামনি, তোর মায়ের হাত ধরে নেমে পড়। এসে গেছি।" ট্রেন ঝাঁকুনি দিয়ে থামতেই মায়ের সাথে হাত গেলো ফস্কে। সামনে দরজা তখনো মানুষের প্রাচীরে অবরুদ্ধ। আর কয়েক পা। শরীরটাকে সব শক্তি দিয়ে দরজার দিকে টেনে নিয়ে এগোতেই আচমকা বুকের দুপাশে টের পেলো যেন লোহার দুটো থাবা কেউ চেপে বসিয়ে পেছন দিকে টানছে।রিয়া প্রাণপণে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলো। কিন্তু তার সব চেষ্টা ব্যর্থ করে সেই বজ্রকঠিন মুষ্ঠির নির্মম দানবীয় পেষনে পিষ্ট হয়ে তার সদ্যকৈশোরের ছোঁয়া পাওয়া শরীর। রিয়া হাত পা ছঁুড়ে জোরে চিৎকার করতে লাগলো। আর একটু পরেই ছেড়ে দেবে ট্রেন। বাইরে থেকে শোনা যাচ্ছে মা বাবার উদ্বিগ্ন গলা। কিন্তু রিয়ার ছোট্ট শরীর ওই মুঠো আলগা করে একচুলও এগোতে পারছে না। ক্রমশ গরম লোহার তালের মতো চেপে ধরছে তাকে। প্রচন্ড যন্ত্রনায় আর অজানা ভয়ে আতঙ্কে কুঁকড়ে যাচ্ছে শরীর মন। পেছন ফিরে দেখারও অবস্থা নেই। এরই মধ্যে বেজে উঠলো ট্রেন ছাড়ার হুইসেল। রিয়া স্টেশনের ওপর দেখতে পেলো বাবাকে। জীবনের সব শক্তি দিয়ে চেঁচিয়ে উঠলো-বাবা, বাঁচাও। কিন্তু চারপাশের কোলাহলে রজতাভ শুনতেই পেলো না সেই ডাক | এমন সময় রিয়ার কান্না শুনে দরজার সামনে থেকে রিয়ার হাত ধরে প্রায় চলতে শুরু করা ট্রেন থেকে টেনে স্টেশনের ওপর নামালো আরেকটি হাত। না রজতাভ নয় কিন্তু রিয়ার কাছে রজতাভর মতোই কেউ। হয়তো সেই ব্যক্তি আপনি হয়তো বা হয়ত আপনার মতোই কোনো মহানুভব।
ট্রেন চলে গেছে অনেক্ষন। কিন্তু একঘন্টার এই ট্রেন সফরে রিয়া পেরিয়ে এসেছে তার জীবনের অনেকটা পথ। ট্রেন থেকে মেয়ে নামতেই পরমা বেশ উদ্বেগের সাথে প্রশ্ন করেছিলেন - " কিরে, তুই আটকে পড়লি কি ভাবে? আমার হাতটা চেপে ধরে থাকতে পারলি না!" কথাগুলো বলার সময় একটা চোরা ভোয়ের স্রোত যেনো ছুঁয়ে গেছিল তাঁকে। হাজার হোক মেয়ের মা।
রিয়া একবার ভেবেছিল কাউকে বলবে না কিছু। মাকেও নয় । ভালো ভাবেই বুঝেছিল যে খারাপ লোকটা ওই জঘন্য কাজটি করছিলো তাকে সে যেমন দেখতে পায়নি , বাকিরাও পাবে না। কিন্তু পর মুহূর্তেই নিজের ভুল বুঝতে পেরে জোর করে কাটিয়ে উঠেছিল মনের ওপর অন্যায় ভাবে চেপে বসে থাকা সংকোচের চাপ। এ তো তার অপরাধ নয়, তার লজ্জা নয়। তবে কিসের ভয়? আজ যে স্কুলের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে জোর গলায় গেছে কবিগুরুর সেই গান-
" সঙ্কোচের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান।
সঙ্কটের কল্পনাতে হোয়ো না ম্রিয়মাণ।
মুক্ত করো ভয়, আপনা-মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়।
দুর্বলেরে রক্ষা করো, দুর্জনেরে হানো,
নিজেরে দীন নিঃসহায় যেন কভু না জানো।
মুক্ত করো ভয়, নিজের 'পরে করিতে ভর না রেখো সংশয়।..."
রিয়া খুলে বলল সব। পরমা শুনে চুপ করে রইলেন কিছুক্ষন। তারপর বললেন - " তুই বড় হচ্ছিস রিয়া। আরো সাবধানী হতে শেখ। সব বিপদ এত অল্পের ওপর দিয়ে নাও যেতে পারে। তোর বাবারও উচিৎ হয়নি এতো ভিড় ট্রেনে নিয়ে আসা।" রজতাভ মাথায় হাত রেখে বললেন - " সত্যি আমার ভুল। তাই তোকে এতটা কষ্ট পেতে হল। তবে কষ্টটা শরীরেই মিলিয়ে যেতে দে। ছড়াতে দিস না মনে আর বয়েও বেড়াস না। দোষ তো তোর নয়। " রিয়া আলতো হেসে বলল " একদমই না বাবা। বরং আমি তো গল্পটা বন্ধুদের কাছে বলবো, যাতে তারা নিজেরাও সাবধান হতে পারে আর সুযোগ পেলে রুখে দাঁড়াতে পারে। স্কুলে জানো তো বাবা সামনের মাস থেকে ক্যারাটে শেখাবে। একবার শিখতে পারলে, দেখো আর এভাবে ছেড়ে দেবো না ঐ খারাপ লোকগুলোকে।" রজতাভ পিঠ চাপ়ড়ে বললেন -"একদম। রবি ঠাকুর তো কবেই বলেই গেছেন - ' বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা--বিপদে আমি না যেন করি ভয়।' নিজের লাঠি নিজেই হতে শেখ মা। " তারপর পরমার দিকে ফিরে বললেন - " মেয়ে আমাদের সত্যি বড় হয়ে গেছে। তুমি কিন্তু সেই খুকিটিই রয়ে গেছো। পা চালিয়ে চলো এবার । রিক্সা ধরে যেতে হবে এখনো খানিকটা।" বলেই হাঁক দিলেন " এই রিক্সাআআ.."