পুরোনো ডায়েরি
পুরোনো ডায়েরি
পুরনো মনের ডায়েরির কয়েকটি পাতা খুললাম আজকে
আছে বলতে ও তো এই পুরোনো কয়েকটি পাতা
দুর্বল হয়ে গেছে ওরা প্রচন্ড
কিন্তু এখনও আমার লেখা প্রত্যেকটি শব্দকে খুব যত্ন করে ধরে রেখেছে
হয়ত এখন পড়া যায় না স্পষ্ট ভাবে
কিন্তু লেখার ধাঁচের ছায়াই চোখে জল আনার জন্যে যথেষ্ট
আর আসবে নাই বা কেন কত দিনের কত কিছু লুকিয়ে রেখেছি এই লেখাতে
কত গোপনিয়তা যা শুধু আমি ছাড়া আর কেউ জানে না যা আমিই হয়ত ভুলে গিয়েছিলাম তাই মনে করিয়ে দেয় এই লেখাগুলো
কিন্তু লেখা গুলো খুব জীর্ণ হয়ে যায় সময়ের সাথে চলতে চলতে
দেখি কয়েকজনের চোখে চশমাও হয়েছে
আমি বলি "ডাকনি কেন আমাকে একবার?"
সে বলে "যার যা দায়িত্ব তাকে তো তা নিতেই হবে। তোমার দায়িত্ব লেখা আমার দায়িত্ব লেখা গুলোকে যত্ন করে রাখা।
যার যা কাজ তাকে তো তা করতেই হবে"
আমি ভাবি সব দায়িত্ব কি তার একার
আমার কি কিছুই দায়িত্ব নেই
শুধু লিখে যাওয়া ছাড়া
আর আমার লেখা গুলোকে নিয়ে সে প্রতিনিয়ত আগুপিছু করে সাজিয়ে রাখবে
এটাই কি ভবিতব্য
আমি লিখে হারিয়ে যাব নতুন লেখার খোঁজে আর ও আমার লেখা গুলোকে স্নান করিয়ে
নতুন জামা কাপড় পড়িয়ে ও রোজ রেখে দেবে কোন একদিনের জন্যে
যেদিন হঠাৎ করে এসে আমি পড়ব
সেই কোনএকদিনের জন্যে ওরা রোজ তৈরী থাকে?
কিন্তু আমার আসতে দেরি হয়ে গেলেও ওরা তৈরীই থাকে সবসময়
জামাপ্যান্টটি শুধু একটু ফেটে যায়
চোখের সেই তেজ হয়ত একটু কমে যায়
বা হয়ত জলের আড়ালে লুকিয়ে পড়ে
আমার খুব ইচ্ছা হয় এ আমাকে বকুক আমাকে মারুক
কৈফেয়ত চাক কেন এত দেরী হল
সেই স্বার্থপর সহকর্মীর মত বলুক "সব দায়িত্ব কি আমার একার?"
কিন্তু ও বলে না কিচ্ছু বলে না
বরং আমার মাথাটি জড়িয়ে ধরে শুধু বলে অনেকদিন হাসিস নি একটু হাস তো
আর আমি নিজেই বুঝতে পারিনা কখন সেই হাসি মধ্যে দিয়ে আমার কত দিনের অপূর্ণ কান্না আমি কেঁদে নিই
