প্রকৃতির ধ্বংসাত্মক রূপ
প্রকৃতির ধ্বংসাত্মক রূপ


আজ হয়তো সামান্য হোলেও স্বস্তি পেয়েছেন তারা, রোজ রাতে যার শরীরের নেশায় মত্ত হতে ছুটে যায় এই শহর তলি থেকে অনেক সভ্ভো নাগরিক.
কারণ আজ তো মহামারী !!!!
অন্যের শরীর থেকে নিজের শরীর কে দূরে সরিয়ে রাখার সময়... কমপক্ষে এক মিটার দূরত্ব....
আজ সারা বিশ্ব যখন চায় এই মহামারী প্রকোপ থেকে মুক্তি, তখন হয়তো তারা মনে মনে স্বাগত জানিয়েছে একে... আজ হয়তো এর জন্যই অনেকদিন পর বিশ্রাম পেয়েছে তাঁদের শরীর....
আজ যখন চারিদিকে মৃর্তু সংবাদ তখন কেন জানিনা মনে হচ্ছে এ যেন সেই সমস্ত যন্ত্রনা, বেদনা আর অমানবিক অত্যাচার এর বিরুদ্ধে জমে থাকা ক্ষোভ, যা আজ ধ্বংস লীলায় মেতে উঠেছে আর বলছে, যে শরীরের জন্য রোজ রাতে হাত বদল হতে হয় আমাদের, আজ সেই শরীর কেই করবি দূর দূর, নিজেদের জীবন বাঁচাতে..
আয় যদি সাহস থাকে তো এসে স্পর্শ কর আমাদের শরীর কে...
কিন্তু না... মানব সভ্যতা আজ নিজের প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে. মুখে পড়েছে মুখোশ, যাতে অন্যের নিঃশাস টুকুনীর ছোঁয়া টাও না আসে তার কাছে, সেই মুখই একদিন উন্মাদ হোতো তাঁদের শরীরকে চুম্বন করতে, তাঁদের শরীরকে নিগড়ে নিতে....
আজ মানুষ বড়ো অসহায় প্রকৃতি মায়ের কাছে. সে যেন আজ তার ধ্বংস লীলায় মত্ত.
আজ যেন সে সেইসব পাপের শাস্তি দিতে মমতাময়ী রূপ ত্যাগ করে দশভুজা রূপে সমস্ত পাপের বিনাশ এ মেতে উঠেছে...
এই মানব সভ্যতার আরোগ্য কামনা করি আর তার সাথে তাঁদের মানসিকতার আরোগ্যতাও কামনা করি...
ধুয়ে যাক সমস্ত পাপ, বিকাশ হোক শুভ চেতনার... ফিরে যাক ঘরের মেয়ে ঘরে...
আর যেন কারোর শরীরের মাশুল গুনতে না হোক রোজ রাতে.... শান্ত হোক প্রকৃতি!!!