STORYMIRROR

Sangita Duary

Romance Classics Others

4  

Sangita Duary

Romance Classics Others

পরিপূরক

পরিপূরক

7 mins
269

"এইনে, খেয়ে নে তো এগুলো..." পাশের ঘরের থেকে অহনার মা হাতে ইয়া বড় একটি প্লেট নিয়ে অহনার ঘরে ঢুকলেন।


পেল্লাই সাইজের ডিমের ডেভিলগুলো দেখে রিঙ্কার জিভে জল। চক্ষুলজ্জা বাঁচিয়ে বলতেই হলো, "এসব কেন কাকিমা..."


রিঙ্কার উস্কো মাথায় হাত বুলিয়ে কাকিমা বললেন, "সেই কখন দুটো খেয়ে বেড়িয়েছিস... হ্যাঁ রে তোর মা এখন কেমন?"


একটি ডেভিলে কামড় বসাতে গিয়েও থমকে গেল রিঙ্কা, "ভালো"!


শুধু অহনার মা কেন, শ্রেয়া, টুম্পা, প্রিয়াঙ্কা সবার মা'র কাছেই রিঙ্কা একটু বেশিই স্নেহধন্য। সবার বাড়িতে গেলে সবাই একটু বেশিই খাতির করে রিঙ্কাকে। ভালো মন্দ খেতে দেয়, মা'র খোঁজখবর নেয়। কারণটা রিঙ্কা ভালোই জানে।


আজ প্রায় দেড় বছর মা বিছানায়। শরীরে ঠিক অসুখটা কী সেটা একমাত্র মা'ই জানে। দেড় বছর আগে আলসার অপারেশনের পর থেকে আজ পর্যন্ত মাকে রিঙ্কা সুস্থ দেখেনি। প্রথম প্রথম খুব ভয় করতো। বাবার সঙ্গে মা'র পাশে গিয়ে বসতো, মাকে মোটিভেট করতো। কিন্তু একটা মানুষ, যে নিজে থেকে সুস্থ হতে চায়না, তাকে কোম্পানি দেওয়াটা স্রেফ সময় নষ্ট ছাড়া কিছু না।


বাবাও নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে ধীরে ধীরে। বাগানের কাজে ব্যস্ত করে ফেলেছে নিজেকে, আর রিঙ্কা, কলেজ, টিউশন আর এগুলো না থাকলে বন্ধুদের বাড়ি, পার্ক ইত্যাদি।


বাড়িতে থাকলেই তো মা'র ওই নির্জীব অসুস্থ মুখ। চাঁপা দি'র রান্না মুখে তোলা দায়, তবু খেতে হয়।


কেন যে মা আগের মত হতে পারে না, সেই আগের মত...


সয়াবিন একেবারেই পছন্দ ছিলোনা রিঙ্কার। মা তাই সয়াবিন স্ম‍্যাশ করে কাটলেট বানিয়ে দিত, রিঙ্কা চিকেন কাটলেট ভেবে খেয়েও নিত ,বুঝতেই পারতোনা। তারপর, টিফিনে, সবাই যখন কেক আর বিস্কিট নিয়ে যেত, রিঙ্কার টিফিনে মা কোনোদিন টেস্টি ভেজ রাইস কিংবা নাগেটস অথবা ফ্রুট কাস্টার্ড করে দিত। সবাই রিঙ্কাকে বলতো, "কী লাকি রে তুই, আন্টি কী সুন্দর টিফিন দেয়!"


রিঙ্কা ডেভিলের শেষ টুকরো মুখে চালান করে। একেই বোধহয় নজর লাগা বলে।


***********


পানসির টব থেকে শুকনো পাতাগুলো পরিষ্কার করছেন অশোক। মাঝে মাঝে দেখে নিচ্ছেন পাশের ডালিয়া টবের দিকে। দারুণ সুন্দর ফুটেছে। ওপাশে রজনীগন্ধার শীষগুলোও বেশ মোটা মোটা গজিয়েছে। পুরোনো ফুলদানিতে মানাবে দারুন। অশোকের মা'র আমলের পুরোনো নকশা কাটা তামার ফুলদানীতে রজনীগন্ধা ভরা ছবিটা কল্পনা করে চিলতে হাসি উঁকি দিলো অশোকের ঠোঁটে। দিয়েই মিলিয়ে গেল। কী হবে, ঘর সাজিয়ে? যে ঘরে একটা মানুষ নিরলস বিছানায় সেই ঘরে কি আর ফুলের সুখ মানায়!


অথচ এই সুমিত্রাই একসময় ফুল কী ভালোই না বাসতো! কোথাও বেরোনোর হলে অন্যান্য সাজগোজের সঙ্গে খোঁপায় জুঁইয়ের গোড়ে লাগাতে ভুলতনা কখনও। বসার ঘরের মাঝের টেবিলে সব সময় রজনীগন্ধা সাজিয়ে রাখতো, বলতো, "আমাদের যদি মাছ খাওয়ার সামর্থ্য থাকে রোজ, তাহলে ফুল দিয়ে ঘর সাজানোর সামর্থ্যও থাকবে। রুচিটাই আসল, রুটিটা তো নিছক প্রয়োজন।"


সেই সুমিত্রা অশোকের নিজের হাতে বানানো বাগান আর ফিরে দেখে না। কত সুখ ছিল বাড়িটার। হঠাৎ করে সব যেন থমকে গেল। শরীরের অসুখ ওষুধ সরিয়ে দেয়, কিন্তু যে অসুখ মন সারাতে পারেনা তাকে কার সাধ্যি হটানোর?


************


কষ্ট করে বিছানা ছেড়ে রান্নাঘরে উঁকি দিলেন সুমিত্রা। রান্নাঘরের মেঝেতে ধেবড়ে বসে চাঁপা পেঁয়াজ কাটছে। সিঙ্কের পাশে দুটো ডিম। সুমিত্রা না ঢুকেই হুকুম করেন, "সরু করে কাট, কালও ওমলেটে মোটা মোটা পেঁয়াজ ছিল। রিঙ্কা খেলোই না!"


এক পলক মালকিনকে দেখে চাঁপা আবার মন দিয়েছে পেঁয়াজে, "রিঙ্কা দিদি অনেকক্ষন কলেজ বেরিয়ে গেছে।"


সেকি, আজও না খেয়ে বেরিয়ে গেল মেয়েটা!


সারাদিন দৌড়ঝাঁপ, রাস্তার খাবার, দু'দিন ছাড়া পেটের অসুখ, তবু বাড়ির খাবারে অরুচি মেয়েটার। সুমিত্রা ঘরের দিকে পা বাড়াতেই পিছনে চাঁপা, "বাবু আজ ফুলকপি রোস্ট বানাতে বললো, পুরোটা বানিয়ে ফেলবো?"


সুমিত্রা বটির পাশে রাখা মাঝারি কপিটাকে জরিপ করলেন, "বানা, অল্প মসলা দিস! আর শোন, হাত খালি হলে একটু চা পাঠাস তো ঘরে!"


বলে আবার নিজের শয্যায় ফিরলেন সুমিত্রা। ঘাড়ের কাছটা আবার ব্যথা করছে। পিছনে বালিশ দিয়ে ঠেস দিয়ে বসলেন, পা মেলে দিয়ে মাথাটা পিছন দিকে নুইয়ে দিলেন, একটু যেন স্বস্তি। সবে পঞ্চান্ন, এই বয়সেই বাতে ধরলো নাকি? ভাল্লাগছে না, কিচ্ছু ভাল্লাগছেনা। একটা সময় কত পরিশ্রম হতো, ভোর থেকে মাঝরাত, কৈ তখনও তো এত ক্লান্তি আসতোনা! আর এখন এইতো ঘর থেকে রান্নাঘর, গুনে গুনে বাইশ পা হাঁটলেই হাফ ধরে যায়, বুক ধড়ফড় করে। সেরকম সত্যিই তো কোনো অসুখ নেই সুমিত্রার। অশোক ধরে ধরে সমস্ত টেস্ট করিয়েছেন, ডায়ালিসিস করিয়েছেন, কোনো রিপোর্টে কোনো গরমিল নেই, তবু কোথায় একটা যেন কষ্ট!


পাশের টেবিলে অ্যালবামটা পরে রয়েছে। ওটা এখন কে বের করলো?


সুমিত্রা উঠতে গিয়েও কাত হলেন, আবার সেই যন্ত্রনা। যন্ত্রণাটা পিঠ ঠেকে শুরু হয়, তারপর ধীরে ধীরে কোমর পর্যন্ত গড়ায়। চিনচিনে ভাবটা তখন এতটাই তীব্র হয়, মনে হয় প্রাণটা বুঝি বেরিয়ে গেল!


সাবধানে বিছানা থেকে নেমে অ্যালবামটা আলমারিতে ঢোকাতে গিয়েও কি মনে হলো, সুমিত্রা ওটা নিয়েই বিছানায় ফিরলেন।


প্রথম পাতায়, বিয়ের ছবি, সিঁদুর দানের। অষ্টাদশী সুমিত্রাকে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন বাইশের অশোক। ছবিটা সাদা কালো, তবে সুমিত্রার মনে আছে সিঁথির সিঁদুর নাকে লেগে একাকার হয়ে ছিল। সবাই চিবুক ছুঁয়ে বলেছিল, "স্বামী সোহাগী হবি রে"!


পুরোনো স্মৃতি মনে করে আরও একবার লজ্জায় রাঙা হলেন সুমিত্রা। স্বামী সোহাগীই তো ছিলেন তিনি। অফিসের ওই আটটি ঘন্টা ছাড়া সব সময় বউকে চোখে হারাতেন অশোক।


মনে পড়ে বিয়ের প্রথম রাত, সেই হানিমুনের দিনগুলি। দিঘা। সালোয়ারে অভ্যস্ত ছিলেননা সুমিত্রা, অশোক জোর করে পরিয়েছিলেন। সাগর জলে স্নানের সময় সুমিত্রার ভিজে গাল থেকে নোনতা জল মুছিয়ে অশোক বলেছিলেন, "আজ থেকে তোমার ঐ দুচোখের নোনতা জলও আমার কাছে বন্দক রইলো।"


সুমিত্রা অ্যালবামের পাতা ওল্টালেন। রিঙ্কার মুখেভাতের ছবি। মাথায় ফুলের মুকুট গলায় মালা... আবার স্মৃতিসাগরে ডুবলেন সুমিত্রা, যেদিন রিঙ্কা হলো, অশোক সারা হাসপাতালে মিষ্টি খাইয়েছিলেন। বলেছিলেন, "ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছি, আজ মা আবার আমার কাছে ফিরে এসেছেন!"


মেয়ের জন্য রোজ কিছু না কিছু নিয়ে আসতেন।


অফিস ফেরত ক্লান্ত চোখে ঘুমন্ত মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতেন নিষ্পলক।


আরও একটা পাতা ওল্টালেন সুমিত্রা, রিঙ্কার পাঁচ বছরের জন্মদিন। কি ঘটাই না করেছিলেন অশোক! মেয়ের জন্য কেক, মেয়ের নাম করে মন্দিরে কাঙালী ভোজন!


সত্যি অতীত কত সহজে বয়ে যায়! সেই রিঙ্কা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকলো। মনে হয়, এইতো সেদিনের ঘটনা...এইতো সেদিন, মা'র হাত ধরে প্রথম স্কুলে গেল রিঙ্কা। বাড়ি ফিরেও সুমিত্রার ঔৎসুক্য গেল না, কি করছে মেয়েটা... নিশ্চয় কাঁদছে... উঃ কখন যে তিনটে বাজবে... সেদিন দুপুরে ঠিক মত খেতেই পারেননি সুমিত্রা।


মেয়ে কিন্তু প্ৰথম থেকেই স্কুলের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিল।


তারপর তো রিঙ্কার সকালের টিউশন, স্কুল, অশোকের অফিসের রান্না, গৃহস্থালির টুকিটাকি, সুমিত্রা সকালের খাওয়ার ছেড়েই দিলেন প্রায়। ওই ঘুম ভেঙে এককাপ চা আর দুটো ক্রীমক্রাকার বিস্কিট। ব্যাস, তারপর তো সকালের ঝড় সামলে, ঝিয়ের পিছন লাগা শেষ করে যখন ঘড়ি দেখতেন, তখন বারোটার টং টং।


আর কি, দুপুরের ভাত খেয়ে বিছানায়।


বিকেলে উঠে সেই মেয়ের, বরের টিফিন, সন্ধ্যের চা, রাতের ডিনার।


ভালোই চলছিল। বাধা পড়লো রিঙ্কার হাইয়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষার পর। আলসার ধরা পড়লো সুমিত্রার। অপারেশনের পর, কেমন যেন ঝরে গেলেন সুমিত্রা। সারাদিন ক্লান্তি, বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে করেনা, কিচ্ছু করতে ইচ্ছে করেনা।


রিঙ্কা অশোক দুজনেই খুব ভয় পেয়েছিল প্রথমে। কিন্তু একটা মানুষ যখন দীর্ঘদিন বিছানায় থাকে, তখন তার প্রতি সমবেদনার পরিবর্তে বিরক্তিই চলে আসে ধীরে ধীরে।


সুমিত্রা কি বোঝেননা? সব বোঝেন। এই যে এই বছরেই রিটায়ার্ড করলেন অশোক, বাড়িতে থেকে একটু তো সময় দিতে পারতেন স্ত্রীকে। বদলে তিনি সারাদিনই বাগান করায় ব্যস্ত। অবশ্য নির্জীব স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটানোর চেয়ে সজীব গাছ অনেক সুখের। রিঙ্কাও আজকাল কাছে বসেনা।


কি করবেন সুমিত্রা, একটু উঠলেই মনে হয় পড়ে যাবেন, বুক ধড়ফড় করে। পাশ ফিরে শোন সুমিত্রা, চোখ বোজেন, ঘুমও আসেনা এখন। বাইরে কিসের শোরগোল! কে চ্যাঁচাচ্ছে? চাঁপা? সুমিত্রা খাটের বাজুতে ভর দিয়ে জানলার বাইরে তাকালেন। একি, কি হয়েছে অশোকের? বাগানে ওভাবে পরে রয়েছে কেন? সুমিত্রা উঠে দাঁড়ালেন। দৌড়ে গেলেন বাইরে। ডান গালটা বেঁকে গেছে অশোকের। চাঁপাকে ডাকলেন সুমিত্রা, "শিগগির ফোনটা নিয়ে আয় আমার।"


চাঁপা ঘরে দৌড়োলো। সুমিত্রা থেবড়ে বসে অশোকের মাথাটা নিজের কোলে তুলে নিলেন। নিজের পিঠটা আবার যন্ত্রনা জানান দিলো। দিক, এখন নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় নয়।


স্বামীর হাতের তালু ঘষছেন জোরে। চাঁপা ফোন নিয়ে এসেছে, সঙ্গে জলও। জলের ছিটে স্বামীর মুখে ছড়িয়ে মেয়েকে ফোনে ধরলেন সুমিত্রা। নট রিচএবিল। উফ! কোথায় রিঙ্কা?


হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি খেললো।"চাঁপা ড্রয়ার থেকে লোকাল ক্যাবের কার্ডটা নিয়ে আয়..."


**********


পাঁচ নম্বর কেবিনে লাগোয়া সোফায় মা মেয়ে বসে। সামনের বেডে ঘুমাচ্ছেন অশোক। মাইল্ড স্ট্রোক। সঙ্গে সঙ্গে স্টেপ নেওয়ায় বাড়াবাড়ি কিছু হয়নি। আপাতত তিনদিন অবজারভেশন।


রিঙ্কা মায়ের কাঁধে হাত রাখে, "তুমি ঠিক আছো মা?"


সুমিত্রা সোফায় চিৎ হওয়ার ভঙ্গিতে মেয়েকে বললেন, "এই ছটা ঘন্টায় আমি ভুলেই গিয়েছিলাম, জানিস, যে আমি নিজেই একটা রুগী। তোর বাবাকে ওভাবে পরে থাকতে দেখে আমি নিজের সব কষ্ট ভুলে গিয়েছিলাম। ভাগ্যিস চাঁপা ছিল, তোকে তো ফোনে পেলামই না!"


রিঙ্কা কাঁদতে কাঁদতে মাকে জড়িয়ে ধরেছে, "সরি মা..."


সুমিত্রা মেয়ের কপালে চুমো এঁকে দিলেন, "সরি কেন, তুই ছিলিনা বলেই না আমি নিজের কনফিডেন্স ফিরে পেলাম। আমার অপারেশনের পর বাড়ি ফিরে দেখলাম, তোরা নিজের মত করে চালিয়ে নিচ্ছিস। আমি একটু বেশি ঘুমলেও তোদের অসুবিধে হত না, প্রথম প্রথম ভালো লাগলেও ধীরে ধীরে অভিমান হলো এবং সেই অভিমান ধীরে ধীরে অসুখ হলো। কিচ্ছু ভালো লাগতো না। সারাদিন বিছানায় অলসবিলাসী রোগে ধরলো। ফলে পিঠে ব্যথা কোমরে যন্ত্রনা।


তোর বাবার এই স্ট্রোকটা আমায় বুঝিয়ে দিলো, একটা পরিবার তখনই সুস্থ থাকে যখন একটা মা সুস্থ থাকে। তাই না?"


রিঙ্কা মা'র কোলে মাথা রাখলো, "কতদিন আদর করোনি মা, একটু মাথায় হাত বুলিয়ে দাওনা...."


***********


গাড়ি থেকে নেমে একদিকে মেয়ে আর অন্যদিকে স্ত্রীর কাঁধে ভর দিয়ে গেট পার করলেন অশোক। এতদিন হাসপাতালে, না জানি তাঁর বাগানটা কি অবস্থায়!


বাগানে ঢুকেই হাসি ফুটলো ঠোঁটে, চারিদিকে কত ফুল, পানসির কুঁড়িগুলোও পাঁপড়ি মেলেছে!


রিঙ্কা বললো, "এতদিন আমি আর মা মিলে রোজ তোমার বাগান দেখেছি, এবার আমরা তিনজনে এই পুরো ঘর সামলাবো।"


অশোক ডান দিকে স্ত্রীর দিকে তাকালেন।


সুমিত্রা মৃদু হাসলেন, "এখনও ব্যথা আছে শরীরে, তবে রিঙ্কাকে প্রমিস করেছি, ওর পুরোনো মাকে ফেরত দেব, আর তোমায় প্রমিস করছি, সেই পুরোনো খুশি ফিরিয়ে আনবো"।


রিঙ্কা বললো, "কাল থেকে আমরা তিনজনে মর্নিং ওয়াকে বেরুবো, এক্সারসাইজ করবো, সুস্থ পরিবার গড়বো!"


বাইরে নরম হাওয়ায় বাগানে ফুলেরা পাঁপড়ি মেললো খুশিতে।


৩০শে সেপ্টেম্বর'২০১৯



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance